পেন্সিল থেকে জীবন পরিবর্তনের শিক্ষা ......... সুন্দর উপস্থাপনঃগৌর গোপাল দাস
আপনারা সকলেই পেন্সিল সম্বন্ধে অবগত। একটু গভীটরভাগে লক্ষ করলে দেখা যাবে, পেন্সিলের দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে এর সুদৃশ্য কাষ্ঠনির্মিত বিচিএ রং দ্বারা অঙ্কিত বহিরাবরণ; অপরটি হচ্ছে তার ভেতরে অবস্হিত গ্রাফাইট যা এর মূল বৈশিষ্ট্য ধারন করে। একইভাবে আমাদের জীবনেও বাহিক্য ও অভ্যন্তরীণএ দুটো দিক আছে। বাহিক্য দিকটি হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিত্ব, আমদের দৃষ্টি,আমদের অবস্থান। আমি প্রায়ই বলি,"কেউই তার ফেসবুক প্রোফাইল ছবির মতো দেখতে এত সুন্দর নয়; আবার, কেউই তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সএর ছবির মতো কুৎসিত নয়।" বাহিক্য গুনগুলোর মধ্যে আরো বলা যায়_অনন্যসাধারণ প্রতিভা, দক্ষতা, উপস্থাপণা, কথা বলার ধরন, বিশ্বাস, আচরণ ইত্যাদি।
আর আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎ তৈরি চরিএ, নীতি, সততা, সংস্কার ইত্যাদি দ্বারা। বাহিক্য বিষয়গুলো আমাদের জাগতিক সম্পদ। বর্তমান জগতে ব্যক্তিকে জাগতিক সম্পদের নিরিখে মূল্যায়ণ করা হয়। আমরা প্রকৃতপক্ষে কে, তার চেয়ে বেশি দেখা হয়, আমরা কোথায় থাকি, কী পরিধান করি, কোন গাড়ি ব্যবহার করি_এসব বিষয়ের ওপর।।।
আধুনিক সমাজে এ সমস্ত বিষয়কে অতিমাএায় গুরুত্ব দেয়া হয়। বাহিক্য দিকটি হচ্ছে আমাদের জাগতিক সম্পদ আর অভ্যন্তরীণ দিকটি হচ্ছে আমাদের মূল্যবোধ। যখন আমরা বাহিক্য বিষয়গুলোতে গুরুত্ব প্রদান করি, তখন আমাদের অভ্যন্তরীণ দিকটিকে ভুলে গেলে চলবে না। এই দুটি বিষয়ের ভারসাম্য রাখা অতীব আবশ্যক। অবশ্যই এ জগতে অবস্থানের জন্য আমাদের বাহিক্য দিকটিকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাই বলে তা কখনোই আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎকে বিসর্জন দেয়ার মূল্যস্বরুপ নয়।।।
জাগতিক বিদ্যা আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে আমরা আমাদের দক্ষতা ও মেধার উপযোগ সাধন করে বাহিক্য দিক থেকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারব, যার অধিকাংশ অর্থের অঙ্ক মূল্যায়ন করা যায় বা অর্থের বিনিময়ে লাভ করা যায়। আধ্যাত্মিক শিক্ষা আমাদের শিক্ষা দেয়, কীভাবে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারব। পেন্সিল থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটি বিষয় আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন।
★অভ্যন্তরীণ সওার বিকাশ★
-যতখন পর্যন্ত পেন্সিলের সীসটি এর বহিরাবরণের বাইরে না আসে, ততক্ষন সে পেন্সিল দ্বারা কাগজের উপর কোনকিছুই লেখা বা আঁকা সম্ভব না। একইভাবে আমাদের জীবনেও যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের অভ্যন্তরীণ সওা বিকশিত না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের নিজের জীবন বা অন্যের জীবন কোনোটিই আলোকিত করতে পারব না।
ল্যাটিন শব্দ EDUCARE শব্দ থেকে ইংরেজি EDUCATION শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে বিকশিত হওয়া_আমাদের অন্তর্নিহিত আত্নার গুনসমূহকে বিকশিত করা। আমাদের ব্যক্তিত্ব হয়ত অন্যকে অভিভূত করতে পারে, কিন্তুু আমাদের অন্তর্নিহিত অার্দশ ব্যক্তিসওা কেবল অভিভূতই নয়, তাদের অনুপ্রানিত করবে। একইভাবে, আমাদের অনন্য প্রতিভা, জাগতিক সম্পদ অপরকে অভিভূত করতে পারে, কিন্তুু আমাদের চরিএ মূল্যবোধ কেবল অভিভূতই নয়, তাঁদের অনুপ্রানিতও করবে।
এভাবে নিজের ও অন্যের জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য আমাদের নীতি ও মূল্যবোধের ভিওিতে জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। এই নীতি ও মূল্যবোধই আত্মসংস্কারের সার।।।
ছোট বেলায় একদিন টমাস তার স্কুল থেকে একটি পএ নিয়ে এসে তার মায়ের হাতে দিয়ে বললেন, "মা, আমার শিক্ষক এই পএটি তোমাকে দিয়েছেন।" তার মা কাগজের ছোট্ট টুকরাটি হাতে নিয়ে পড়লেন। পড়তে পড়তে তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে গেল। তিনি কেঁদে ফেললেন। তিনি বললেন, "টমি, তোমার শিক্ষক বললেন, "টমাস অত্যন্ত শান্ত ও মেধাবী ছেলে। এই বিদ্যাপীঠ তার জন্য যথেষ্ট নয় এবং তাকে শিক্ষা দানের যোগ্য শিক্ষক এখানে নেই। তাই ভালো হয়, তার আর স্কুলে আসরা দরকার নেই বরং তাকে তাকে আপনি ঘরে শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করুন।"
কয়েক বছর পর; টমাসের মা যখন গত হয়েছিলেন, তখন তিনি সেই শতাব্দীর একজন বিখ্যাত আবিষ্কারকে পরিনত হলেন। একদিন তিনি তার মায়ের কক্ষ পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ একটি ড্রয়ারে ভাঁজ করা এক টুকরা কাগজ দেখতে পেলেন। এটি ছিলে কয়েক বছর পূর্বে তার মাকে দেওয়া শিক্ষকের পএ। টমাস আলভা এডিসন কাগজটি খুললেন এবং পড়তে লাগলেন। পড়তে পড়তে তিনি অঝোরে ক্রন্দন করতে লাগলেন। কারন, কাগজে লেখা ছিল "ম্যাডাম, আপনার ছেলে টমাস একটা মূর্খ, সে মানসিক অসুস্থ। সে এই বিদ্যাপীঠে পড়ার অযোগ্য;;
তাই আমরা তাকে আজ এই বিদ্যাপীঠ থেকে বহিঃস্কৃত করে দিলাম।"
টমাস আলভা এডিসন এর নিচে আরো কিছু কথা যোগ করে লিখলেন, "যদিও টমাস একটা মূর্খ, মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলে, তবুও তার মায়ের কারনে সে শতাব্দীর শ্রেষ্ট আবিস্কারকের মর্যাদা লাভ করেছে।" তার মায়ের কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব ছিল না, তার কোন অলৌকিক অসাধারণ প্রতিভা ছিল না, ছিল না তার প্রচুর সম্পদ। তিনি ছিলেন একজন নিষ্কলুষ চরিএের অধিকারী, অসাধারণ মূল্যবোধসম্পন্ন, যার ফলস্বরুপ তিনি টমাস আলভা এডিসনের জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পেরেছেন।।
আপনিও খেয়াল করে দেখবেন, আপনার জীবনেও একজন ব্যক্তি এক আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলতে পারে; তিনি হতে পারেন আপনার শিক্ষক, অভিভাবক, বন্ধু, অথবা অন্য কেউ। এমনকি আপনিও কারো জীবনে এরুপ আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলে অনুপ্রেরনার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।।।
**আপনি যখন কোনকিছু লিখেন, লেখা শেষ হওয়ার আগেই আমাদের অনেক ভূল হয়ে থাকে।।ভূলগুলো আমরা তৎক্ষনাৎ মুছে সঠিক করে পুনরায় লিখি। সুধীবৃন্দ👏এমনকি আমাদের জীবনেও আমরা অনেক ভূল করি, কিন্তুুু আশ্চর্যের বিষয়_ভগবান আমাদের ভূল সংশোধ করতে এবং পুনরায় সমাধান করতে অনেক সুযোগ প্রদান করেন। আমরা অজস্র ভূল করছি, কিন্তুু যদি সংশোধন করার সুযোগ থাকে, তবে তা ভূলে গিয়ে সংশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুনরায় নতুন করে আমাদের জীবন গড়ে তুলতে হবে।।।।হরেকৃষ্ণ
আর আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎ তৈরি চরিএ, নীতি, সততা, সংস্কার ইত্যাদি দ্বারা। বাহিক্য বিষয়গুলো আমাদের জাগতিক সম্পদ। বর্তমান জগতে ব্যক্তিকে জাগতিক সম্পদের নিরিখে মূল্যায়ণ করা হয়। আমরা প্রকৃতপক্ষে কে, তার চেয়ে বেশি দেখা হয়, আমরা কোথায় থাকি, কী পরিধান করি, কোন গাড়ি ব্যবহার করি_এসব বিষয়ের ওপর।।।
আধুনিক সমাজে এ সমস্ত বিষয়কে অতিমাএায় গুরুত্ব দেয়া হয়। বাহিক্য দিকটি হচ্ছে আমাদের জাগতিক সম্পদ আর অভ্যন্তরীণ দিকটি হচ্ছে আমাদের মূল্যবোধ। যখন আমরা বাহিক্য বিষয়গুলোতে গুরুত্ব প্রদান করি, তখন আমাদের অভ্যন্তরীণ দিকটিকে ভুলে গেলে চলবে না। এই দুটি বিষয়ের ভারসাম্য রাখা অতীব আবশ্যক। অবশ্যই এ জগতে অবস্থানের জন্য আমাদের বাহিক্য দিকটিকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাই বলে তা কখনোই আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎকে বিসর্জন দেয়ার মূল্যস্বরুপ নয়।।।
জাগতিক বিদ্যা আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে আমরা আমাদের দক্ষতা ও মেধার উপযোগ সাধন করে বাহিক্য দিক থেকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারব, যার অধিকাংশ অর্থের অঙ্ক মূল্যায়ন করা যায় বা অর্থের বিনিময়ে লাভ করা যায়। আধ্যাত্মিক শিক্ষা আমাদের শিক্ষা দেয়, কীভাবে আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারব। পেন্সিল থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটি বিষয় আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজন।
★অভ্যন্তরীণ সওার বিকাশ★
-যতখন পর্যন্ত পেন্সিলের সীসটি এর বহিরাবরণের বাইরে না আসে, ততক্ষন সে পেন্সিল দ্বারা কাগজের উপর কোনকিছুই লেখা বা আঁকা সম্ভব না। একইভাবে আমাদের জীবনেও যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের অভ্যন্তরীণ সওা বিকশিত না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের নিজের জীবন বা অন্যের জীবন কোনোটিই আলোকিত করতে পারব না।
ল্যাটিন শব্দ EDUCARE শব্দ থেকে ইংরেজি EDUCATION শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে বিকশিত হওয়া_আমাদের অন্তর্নিহিত আত্নার গুনসমূহকে বিকশিত করা। আমাদের ব্যক্তিত্ব হয়ত অন্যকে অভিভূত করতে পারে, কিন্তুু আমাদের অন্তর্নিহিত অার্দশ ব্যক্তিসওা কেবল অভিভূতই নয়, তাদের অনুপ্রানিত করবে। একইভাবে, আমাদের অনন্য প্রতিভা, জাগতিক সম্পদ অপরকে অভিভূত করতে পারে, কিন্তুু আমাদের চরিএ মূল্যবোধ কেবল অভিভূতই নয়, তাঁদের অনুপ্রানিতও করবে।
এভাবে নিজের ও অন্যের জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য আমাদের নীতি ও মূল্যবোধের ভিওিতে জীবনকে পরিচালনা করতে হবে। এই নীতি ও মূল্যবোধই আত্মসংস্কারের সার।।।
ছোট বেলায় একদিন টমাস তার স্কুল থেকে একটি পএ নিয়ে এসে তার মায়ের হাতে দিয়ে বললেন, "মা, আমার শিক্ষক এই পএটি তোমাকে দিয়েছেন।" তার মা কাগজের ছোট্ট টুকরাটি হাতে নিয়ে পড়লেন। পড়তে পড়তে তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে গেল। তিনি কেঁদে ফেললেন। তিনি বললেন, "টমি, তোমার শিক্ষক বললেন, "টমাস অত্যন্ত শান্ত ও মেধাবী ছেলে। এই বিদ্যাপীঠ তার জন্য যথেষ্ট নয় এবং তাকে শিক্ষা দানের যোগ্য শিক্ষক এখানে নেই। তাই ভালো হয়, তার আর স্কুলে আসরা দরকার নেই বরং তাকে তাকে আপনি ঘরে শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করুন।"
কয়েক বছর পর; টমাসের মা যখন গত হয়েছিলেন, তখন তিনি সেই শতাব্দীর একজন বিখ্যাত আবিষ্কারকে পরিনত হলেন। একদিন তিনি তার মায়ের কক্ষ পরিষ্কার করছিলেন। হঠাৎ একটি ড্রয়ারে ভাঁজ করা এক টুকরা কাগজ দেখতে পেলেন। এটি ছিলে কয়েক বছর পূর্বে তার মাকে দেওয়া শিক্ষকের পএ। টমাস আলভা এডিসন কাগজটি খুললেন এবং পড়তে লাগলেন। পড়তে পড়তে তিনি অঝোরে ক্রন্দন করতে লাগলেন। কারন, কাগজে লেখা ছিল "ম্যাডাম, আপনার ছেলে টমাস একটা মূর্খ, সে মানসিক অসুস্থ। সে এই বিদ্যাপীঠে পড়ার অযোগ্য;;
তাই আমরা তাকে আজ এই বিদ্যাপীঠ থেকে বহিঃস্কৃত করে দিলাম।"
টমাস আলভা এডিসন এর নিচে আরো কিছু কথা যোগ করে লিখলেন, "যদিও টমাস একটা মূর্খ, মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলে, তবুও তার মায়ের কারনে সে শতাব্দীর শ্রেষ্ট আবিস্কারকের মর্যাদা লাভ করেছে।" তার মায়ের কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্ব ছিল না, তার কোন অলৌকিক অসাধারণ প্রতিভা ছিল না, ছিল না তার প্রচুর সম্পদ। তিনি ছিলেন একজন নিষ্কলুষ চরিএের অধিকারী, অসাধারণ মূল্যবোধসম্পন্ন, যার ফলস্বরুপ তিনি টমাস আলভা এডিসনের জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পেরেছেন।।
আপনিও খেয়াল করে দেখবেন, আপনার জীবনেও একজন ব্যক্তি এক আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলতে পারে; তিনি হতে পারেন আপনার শিক্ষক, অভিভাবক, বন্ধু, অথবা অন্য কেউ। এমনকি আপনিও কারো জীবনে এরুপ আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলে অনুপ্রেরনার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।।।
**আপনি যখন কোনকিছু লিখেন, লেখা শেষ হওয়ার আগেই আমাদের অনেক ভূল হয়ে থাকে।।ভূলগুলো আমরা তৎক্ষনাৎ মুছে সঠিক করে পুনরায় লিখি। সুধীবৃন্দ👏এমনকি আমাদের জীবনেও আমরা অনেক ভূল করি, কিন্তুুু আশ্চর্যের বিষয়_ভগবান আমাদের ভূল সংশোধ করতে এবং পুনরায় সমাধান করতে অনেক সুযোগ প্রদান করেন। আমরা অজস্র ভূল করছি, কিন্তুু যদি সংশোধন করার সুযোগ থাকে, তবে তা ভূলে গিয়ে সংশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুনরায় নতুন করে আমাদের জীবন গড়ে তুলতে হবে।।।।হরেকৃষ্ণ
0 Comments