, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল পিতৃপক্ষ। ২ অক্টোবর মহালয়া অমাবস্যায় এর অবসান হবে। দেবীপক্ষের আগে ১৫ দিন ধরে চলে পিতৃপক্ষ। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথি হল পিতৃপক্ষের সময়। তারপরেই শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ। পিতৃপক্ষের সময় পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা হয়, তাঁদের সন্তুষ্ট করার জন্য এবং আত্মার শান্তির জন্য, তর্পণ, পিন্ড দান, শ্রাদ্ধ কর্ম করা হয়ে থাকে। শাস্ত্র মতে, পূর্বপুরুষরা এই সময়ে মর্ত্যে নেমে এসে তাঁদের বংশধরদের থেকে জল গ্রহণ করেন।


🏀🧨!! পিতৃপক্ষ কি,,,,,,,,,,,,,,,   ,,,,,,,,,, ? !!♦️


মহাভারত অনুসারে জানা যায়, মহাবীর কর্ণের আত্মা স্বর্গে গেলে সেখানে তাঁকে শুধুমাত্র মণিমাণিক্য খেতে দেওয়া হত। কোনো প্রকার অন্ন বা জলের ব্যবস্থা ছিলনা। কিন্তু মণিমাণিক্য যতই মূল্যবান হোক না কেন, তাতো আর খাদ্য নয়। তাই তিনি দেবরাজ ইন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করলেন, "হে দেবরাজ আমার খাদ্য হিসেবে এসব মণিমাণিক্য দিয়ে উপহাস করার অর্থ কি? " দেবরাজ বললেন, " উপহাস নয় কর্ণ, তুমি সারাজীবন এসব মণিমাণিক্য দান করেছো, কিন্তু পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে কখনো জলও প্রদান করনি। তাই তোমার জন্যে এই ব্যবস্থা।" কর্ণ বললেন, "হে দেবরাজ, আপনি জানেন যে আমি আমার পালক পিতামাতার কাছে প্রতিপালিত হয়েছি। আমার প্রকৃত পূর্বপুরুষগন কারা সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিলনা। যখন জানলাম পান্ডবদের মাতা দেবী কুন্তী আমারও জন্মদাত্রী তখন আর আমার কিছুই করার ছিলনা। কেননা তার পরপরই আমি আমার নিজের কনিষ্ঠ ভ্রাতার দ্বারা বীরগতি প্রাপ্ত হই। এমত অবস্থায় আমি কিই বা করতে পারি ?" মহাবীর কর্ণের কথার যথার্থতা অনুধাবন করেন দেবরাজ ইন্দ্র।এরপর তিনি কর্ণকে এক পক্ষকালের জন্য মর্তে ফিরে গিয়ে পিতৃপুরুষদের জল ও অন্ন দেওয়ার অনুমতি দেন। দেবরাজ ইন্দ্রের নির্দেশ মতো মহাবীর কর্ণ মর্ত্যে ফিরে গিয়ে এক পক্ষকাল যাবৎ পিতৃপুরুষগনকে অন্ন ও জল দান করেন। এইভাবে কর্ণের পাপ স্খলন হয়।এই যে পক্ষকাল যাবৎ কর্ণ মর্ত্যে এসে পিতৃপুরুষদের অন্ন জল প্রদান করেছিলেন সেই পক্ষটিকেই পিতৃপক্ষ বলা হয়।

Post a Comment

0 Comments