*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*

   _*❀বহু আড়ম্বরে শ্রাদ্ধকর্ম নিষিদ্ধ কেন?❀*_

_*❀শ্রাদ্ধে জীবহিংসা,আমিষ ভোজন নিষিদ্ধ❀*_

_*❈অনর্থক পশুহত্যা সর্বতোভাবে পরিত্যজ্য❈*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*

_*❈❀বর্তমানে দেখা যায় পিতা মাতাদির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বহু আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে, বহু আড়ম্বর সহকারে ও মাছ মাংসাদি আমিষ ভক্ষণ করিয়ে রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থা করা হয়। যজ্ঞের নামে অনর্থক পশুহত্যা করা হয়। কিন্তু শ্রাদ্ধকর্ম কেমনভাবে করা উচিত, শ্রাদ্ধে আমিষ প্রদান করা আমিষ ভোজন করা উচিত কিনা শাস্ত্রসম্মতভাবে আলোচনা করার প্রয়াস করছি।*_


_*❈❀━┉┈শ্রীমদ্ভাগবতে (৭/১৫/১-২) নারদ মুনি বললেন--*_

_*“কর্মনিষ্ঠা দ্বিজাঃ কেচিৎ তপোনিষ্ঠা নৃপাপরে।*_

_*স্বাধ্যায়েঽন্যো প্রবচনে কেচন জ্ঞানযোগয়োঃ*_

_*জ্ঞাননিষ্ঠায় দেয়ানি----যথার্হতঃ”*_


_*❈❀━┉┈“হে রাজন্, কোন কোন ব্রাহ্মণেরা সকাম কর্মের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, কোনও ব্রাহ্মণেরা তপস্যার প্রতি আসক্ত, এবং অন্য অনেকে বেদ অধ্যয়নে আসক্ত, কিন্তু কয়েকজন, সংখ্যায় অল্প হলেও তাঁরা জ্ঞানের অনুশীলন করেন এবং যোগের, বিশেষ করে ভক্তিযোগের অনুশীলন করেন।”*_


_*❈❀━┉┈শ্রাদ্ধকর্মাদি দ্বারা পিতৃপুরুষদের মুক্তিকামী ব্যক্তি(ঐ সমস্ত ব্রাহ্মণগণের মধ্যে) যাঁরা জ্ঞাননিষ্ঠ ব্রাহ্মণ তাঁদের দান করবেন। (যদি ওই প্রকার উচ্চস্তরের ব্রাহ্মণ না পাওয়া যায়) অভাবে কর্মনিষ্ঠ বা কর্মকাণ্ড ব্রাহ্মণকে দান করা যেতে পারে।”(কিন্তু সবচেয়ে উত্তম শুদ্ধ বৈষ্ণবকে দান করা,কারণ তাঁরা ব্রাহ্মণগুণসম্পন্ন এবং জ্ঞানকাণ্ড, কর্মকাণ্ডের প্রভাব লেশমাত্রও থাকে না। তাঁরা 'অন্যাভিলাষিতাশূণ্যং জ্ঞানকর্মাদ্যনাবৃতম্'--অন্য অভিলাষ শুণ্য, জ্ঞান, কর্মাদিহীন শুদ্ধ ভগবদ্ভক্তির পন্থা অবলম্বন করেন। তাই বৈষ্ণবকে দান করলে জ্ঞানকাণ্ড কর্মকাণ্ড পরায়ণ ব্রাহ্মণদের প্রয়োজন হয় না।*_

    _*এর সর্বশ্রেষ্ট দৃষ্টান্ত হল-- শ্রীঅদ্বৈত আচার্য তাঁর পিতৃশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করার পর শ্রাদ্ধপাত্র ব্রাহ্মণকে বাদ দিয়ে শুদ্ধ বৈষ্ণব হরিদাস ঠাকুরকে (যিনি যবনকুলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন) দান করেছিলেন।*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*


_*“দ্বৌ দৈবে পিতৃকার্যে ত্রীনেকৈকমুভয়ত্র বা।*_

_*ভোজয়েত সুসমৃদ্ধোঽপি শ্রাদ্ধে কুর্যান্ন বিস্তরম্॥”*_


_*❈❀━┉┈শ্রাদ্ধকর্মে “দেবপক্ষে কেবল দুইজন ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্রণ করা উচিত, এবং পিতৃপক্ষে তিনজন ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্রণ করা উচিত, অথবা উভয় পক্ষেই কেবল একজন শুদ্ধ ব্রাহ্মণকে ভোজন করানোই যথেষ্ট। অত্যন্ত ঐশ্বর্যশালী হলেও এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ব্যয়বহুল(আড়ম্বরপূর্ণ) আয়োজন করা উচিত নয়।”*_

   _*ভগবান স্বয়ং বলেছেন--“ন মেঽভক্তশ্চতুর্বেদী মদ্ভক্তঃ শ্বপশঃ প্রিয়ঃ”--“আমার ভক্ত হতে হলে বৈদিক জ্ঞানে মহা পণ্ডিত হতে হয় না, চণ্ডাল কুলোদ্ভুত ব্যক্তিও আমার অত্যন্ত প্রিয় ভক্ত হতে পারে। তাই আমার ভক্তকেই দান করা উচিত, এবং আমার ভক্ত যা প্রদান করে তাই গ্রহণ করা উচিত।” সুতরাং সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ বা বৈষ্ণব মহাত্মাকে পিতৃশ্রাদ্ধে ভোজন করানো উচিত।*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*


বাকি পরেরগুলো এডিট করে যুক্ত করে দেবো🙏🙏

Post a Comment

0 Comments