একদিন এক যুবক তাঁর গুরুকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আমি মৃত্যুকে ভয় করি।আমি কীভাবে এই ভয় থেকে মুক্তি পেতে পারি?গুরুমশাই উত্তর দিয়েছিল, তুমি যখন কয়েকটি মুদ্রা ধার কর,তখন কি পরে সেগুলি শোধ দিতে ভয় পাও?”


 শিক্ষার্থী অবাক হয়ে জবাব দিয়েছিল"অবশ্যই না!তবে এর সাথে আমার মৃত্যুভয়ের কী সম্পর্ক?”


 শিক্ষক তখন  মাটি থেকে একটি ছোট  মাটির টুকরা তুলে নিলেন এবং বললেন,“তুমি তোমার শরীরটি কে ধার স্বরূপ লাভ করেছো এবং সেই ঋণ সময়মতো পরিশোধ ও করতে হবে।তোমার দ্বারা খাওয়া প্রতিটি রুটি,পান করা প্রতিটি চুমুক সেই ঋণকেই প্রতিমুহূর্তে  বাড়িয়ে তোলে।তুমি যে ধূলায় চলছো সেই ধূলিকণা থেকেই তুমি তৈরি হয়েছ এবং অবশেষে  মাটির ভিতরেই তুমি বিলীন হয়ে যাবে।আর সেটিই প্রত্যেক মানুষেরই সর্বশেষ পরিণতি।কথাটা শেষ করে বৃদ্ধ শিক্ষক মশাই হাতে রাখা মাটির টুকরোটি হাওয়ায় ভাসিয়ে দিল এবং অপেক্ষা করতে লাগল যতক্ষণ না মাটিতে টুকরো টি পড়ে।শিক্ষক মশাই আরও বললেন,তুমি যতই উঁচুতে ওঠ না কেন,হয়তো অনেকক্ষণ ধরে বিমানে র মধ্যে রয়েছ,তবুও তোমাকে নিচে নেমে পড়তেই হবে।”


তিনি যুবক কে বললেন"এই পতনের ভয় মোকাবি লা করা খুবসহজ-নিজেকে নিজের দেহের অধীশ্বর ভাবা বন্ধ কর।তুমি কেবল একজন ভাড়াটিয়া মাত্র এবং তুমি যেহেতু তোমার ভাড়া দেওয়ার সময় সীমার দৈর্ঘ্য জানো না তাই মনে রাখো যে সেটি যে কোনও মুহূর্তে শেষ হতে পারে।আমরা সকলেই ঋণগ্রস্ত  এবং আমাদের ঋণ  অবশ্যই পুনরুদ্ধার হবে সে আমরা ভয়পাই বা না পাই।তাহলে জীবনে র সত্যটি জানার পর আমাদের ভয় পাওয়ার কি সত্যিই কোনো কারণ আছে।"


যুবকটি তার গুরুমশাইয়ের প্রত্যেকটি কথার মর্মার্থ বুঝতে পারল এবং চুপ করে রইল।


🕉️🙏জয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জয়🙏🕉️

Post a Comment

0 Comments