উনি কি সাধারণ কেউ?🤔🤔


গুরুমহারাজ বাসুদেব মুকুন্দ দওের ভজনস্থলী তীর্থস্থানকে উদ্ধার করেছেন। কোথায় আছে কি তার একটা প্রুফ বলি আপনাদেরকে। ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর ১৯২৯সালে পুন্ডরিকধাম উদ্ধার করতে এসেছিলেন। শেষে না পেরে ধামের ধূলা নিয়ে গিয়ে চট্টগ্রামের নন্দনকাননের সামনে পি এন টি অফিসের সামনে যেখানে এখন পুলিশ টাওয়ার হয়েছে, সেখানে ৬৪ গৌড়ীয় মঠের একটি, বিদ্যানিধি গৌড়ীয় মঠ স্থাপন করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর   প্রভুপাদকে দীক্ষা দেন,তখন রাধাকুণ্ডের পরিক্রমার সময় তিনি প্রভুপাদকে বলেছিলেন," গৌড়লীলার সবচেয়ে মহিমান্বিত  চারটি স্থান:

 ¡. মায়াপুর ধাম মানে যোগপীঠ।যোগপীঠ তখন গৌড়ীয়দের কাছে আসে নি। পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

¡¡. একচক্রাধাম, সেটাও আমাদের হাতে নেই। ¡¡¡.শান্তিপুর ধাম, সেইটাও আমাদের হাতে নেই।

¡\/.বাকি রইলো পুন্ডরিক ধাম।এইটা আমি উদ্ধার করতে চেয়েছিলাম। সেটাও পারিনি। "

জগৎগুরু শ্রীল প্রভুপাদ উনার গুরুদেবের আক্ষেপ পূরণের জন্য  মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।


১৯৬৯ সনে প্রভুপাদ আমাদের পরমারাধ্য গুরুমহারাজ, তমাল কৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজ, বায়াসখী প্রভু, নিষ্ঠুলা প্রভু, রসিক প্রভু, ভক্তি বিকাশ মহারাজ, তখন উনার নাম হচ্ছে ইলাপতি দাস ব্রহ্মচারী, এবং পরে সুভ্গ স্বামী মহারাজ, প্রভাবিষ্ণ মহারাজকে পুন্ডরিকধামে প্রেরণ করেছিলেন। গুরুমহারাজ  পুন্ডরিক ধাম পুনরুদ্ধার করে,  বাসুদেব দত্ত- মুকুন্দ দত্তের যে ভজনস্থলী আছে সেখানে গিয়েছেন। মুকুন্দ দত্তের ভজনস্থলী থাকলেও, বাসুদেব দত্তের ভজনস্থলীটা কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল।

এটা ৮৬ সনের কথা বলছি। তখন ওরা জায়গাটা দিতে রাজি হয়েছে। ওখানে গিয়ে গুরুমহারাজ কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং অশ্রুপাত করলেন। এরপর উনি মুকুন্দ দত্তের মন্দিরের সামনে থেকে  উনার পা দিয়ে ঠিক ২২টা কদম এগিয়ে এসে বললেন, এই স্থানেই  বাসুদেব দত্তের ভজন কুটি রয়েছে। খনন করো, এখানে ভজন কুটির প্রাপ্ত হবে। লোকাল মানুষও এই বিষয়ে জানতো না।

গুরুমহারাজের নির্দেশে  নিষ্ঠুলা প্রভুরা খনন শুরু করলো। খননে ৫-১০ ফুট নিচে যাবার পর দেখা গেলো সত্যিই সেই ভজন কুটির ভগ্নাংশ এবং  সেবিত বিগ্রহ পাওয়া গেল।

 চিন্তা করে দেখুন, উনি কি সাধারণ কেউ? উনি হচ্ছেন ভগবানের নিত্য পার্ষদ, মহাপ্রভুর নিজজন,যিনি সমস্ত কিছু জানেন।।  ইসকন সমগ্র ধাম সহ, এখন সারা পৃথিবীতে,কৃষ্ণভক্তি প্রচার করছে

প্রবচনে 

(~শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, অধ্যক্ষ,পুণ্ডরীক ধাম,চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ)

ছবিতে:শ্রীল জয়পতাকা স্বামী ও শ্রীপাদ চারুচন্দ্র প্রভু।

Post a Comment

0 Comments