"মঙ্গলময় ভীষ্ম পঞ্চক!
জয়পতাকা স্বামীর পক্ষ থেকে,
যারা ভীষ্ম পঞ্চক পালন করতে চান, তাদের ব্রতটি পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত ব্রত পালন করা উচিত। এই বছর মায়াপুরে এই ব্রতটি ৪ ই নভেম্বর থেকে ৮ ই নভেম্বর পর্যন্ত পালিত হচ্ছে। সাধারণত এই ব্রতটি পাঁচদিনের। আপনাদের রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ অথবা অন্য যেকোন বিগ্রহকে ঘৃত প্রদীপ এবং ফুল নিবেদন করা উচিত। প্রথম দিন ভগবানের শ্রীচরণপদ্মে পদ্মফুল নিবেদন করা হয়। দ্বিতীয় দিন উরুতে বেলপাতা নিবেদন করা হয়। তৃতীয়দিন ভগবানের নাভিদেশে গন্ধদ্রব্য নিবেদন করা হয়। চতুর্থদিন ভগবানের স্কন্ধে জবাফুল নিবেদন করা হয়। আর পঞ্চমদিনে ভগবানের মস্তকে মালতীফুল নিবেদন করা হয়। যদি আপনি গঙ্গায় স্নান করতে এবং তর্পণ করতে যেতে না পারেন, তাহলে আপনি তিনবার ""গঙ্গা"" উচ্চারণ করতে পারেন এবং ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে তর্পণ, অর্ঘ্য এবং প্রণাম নিবেদন করার সময় নিম্নোক্ত তিনটি মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন।
তর্পণ
ওঁ বৈয়াগ্রপদ্য গোত্রায়
সংস্কৃতি প্রবরায় চ।
অপুত্রায় দদাম্যেতৎ
সলিলং ভীষ্মবর্মণে।।
অর্ঘ্য
বসুনামাবতারায়
শান্তনোরাত্মজায় চ।
অর্ঘ্যং দদামি ভীষ্মায়
আজন্ম ব্রহ্মচারিণে।।
প্রণাম
ওঁ ভীষ্ম শান্তনবো বীরঃ
সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।
অভিরদ্ভিরবাপ্নোতু
পুত্রপৌত্রচিতাং ক্রিয়াম্।।
আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী সর্বদা,
জয়পতাকা স্বামী
আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য,
ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত
================
ব্রতটি ৮ই নভেম্বর (শুক্রবার) একাদশীর দিন থেকে শুরু হয় এবং ১২ই নভেম্বর রাসপূর্ণিমার দিন পর্যন্ত চলবে (চাতুর্মাস্যের শেষ দিন, কার্তিক মাসের শেষ দিন, হাতি শোভাযাত্রার প্রথম দিন)। এই ব্রত রাসপূর্ণিমার দিন সূর্যাস্ত (অথবা চন্দ্রোদয়) পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। সাধারণত একাদশীতে সম্পূর্ণ উপবাস এবং তারপর পরবর্তী চারদিন ফলমূল গ্রহণ করতে বলা হয়। অথবা কেউ পাঁচদিনই ফলমূল গ্রহণ করতে পারে।
ব্রতের ৩টি স্তর:
---------------------
ভক্তরা তাদের সুবিধামতো নিম্নোক্ত স্তরগুলোর যেকোনটি অনুসরণ করতে পারেন। এটি যেন তাদের সাধারণ ভক্তিমূলক সেবা ও দৈনন্দিন সাধনায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করে।
১ম স্তর:
পঞ্চগব্যের একেকটি একেক দিনে গ্রহণ করা যেতে পারে।
১ম দিন: গোময়
২য় দিন: গোমূত্র
৩য় দিন: দুধ (ক্ষীর)
৪র্থ দিন: দধি
৫ম দিন: গোময়, গোমূত্র, দুগ্ধ, দধি ও ঘিয়ের মিশ্রণে তৈরি পঞ্চগব্য।
২য় স্তর:
যদি কেউ ১ম স্তর অনুসরণ করতে না পারেন তবে ফলমূল গ্রহণ করা যেতে পারে। যেসব ফলে প্রচুর বীজ রয়েছে যেমন - পেয়ারা, ডালিম, পেঁপে, শসা প্রভৃতি বর্জন করা উচিত। আলু, কাঁচাকলা বা মিষ্টিআলু সেদ্ধ করে গ্রহণ করা যেতে পারে। স্বাদের জন্য সৈন্ধব লবণ ব্যবহার অনুমোদিত। কাজুবাদাম, কিসমিস ও খেজুর গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোন দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না। নারকেল ও নারকেলের জল গ্রহণ করা যাবে।
৩য় স্তর:
যদি কেউ ২য় স্তর পালনে অসমর্থ হন তবে ""হবিষ্যান্ন"" গ্রহণ করতে পারেন।
উৎস: পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মখণ্ড- ২৩ অধ্যায়; স্কন্দ পুরাণ, বিষ্ণুখণ্ড- কার্তিক মাহাত্ম্য- ৩২ অধ্যায়; গরুড় পুরাণ, পূর্বখণ্ড- ১২৩ অধ্যায়।
শ্রী শ্রী হরিভক্তিবিলাসের ১৩ অধ্যায়ের ১০-১৩ নং শ্লোকে হবিষ্যান্নের উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে:
---------------------
নিম্নোক্ত উপাদানগুলো হবিষ্যান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। সাধারণত হবিষ্য চাল এবং মুগ ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়। যারা একাদশী থেকে একাদশী পর্যন্ত চাতুর্মাস্য পালন করছেন, নিয়মানুযায়ী তাদের কার্তিক মাস একাদশী পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে, তাই তারা তাদের হবিষ্যে মুগ ডাল গ্রহণ করতে পারেন। যাইহোক, অধিকাংশ ভক্তগণ পূর্ণিমা থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত একাদশী ব্রত পালন করেন, তাই ভীষ্ম পঞ্চকের হবিষ্যে মুগ ডাল অনুমোদিত হবে না। সকল প্রকার তেল পরিত্যাজ্য।
* আতপ চাল
* ঘি
* সৈন্ধব লবণ
* পাকা কলা
* কাল শাক
* গম
* বার্লি
এই উপাদানগুলোও গ্রহণ করা যেতে পারে:
* ফল (স্কন্দপুরাণের নাগরখণ্ডে অবশ্যই একটি ছোট বীজের অথবা কম বীজপূর্ণ ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে)
* আম
* কাঁঠাল
* লাবালী ফল
* কেয়া ব্যতীত সকল মূল
* পিপলী
* হরিতকি
* আমলকি
* নারঙ্গ
* ইক্ষুদ্রব্য (গুড় ব্যতীত)
* ননীপূর্ণ গোদুগ্ধ
নিম্নবর্ণিত দ্রব্যগুলো হবিষ্যান্নের অন্তর্ভুক্ত হলেও তা কার্তিক মাসে বর্জন করতে বলা হয়েছে:
* মুগ ডাল
* তিল তেল
* বেতো শাক
* সাত্ত্বিক শাক
* মূলা
* জিরা
* তেঁতুল
একজন ব্যক্তির প্রতিদিন গঙ্গার মত পবিত্র নদীতে স্নান করা উচিত। নিম্নলিখিত মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে তিনবার ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা উচিত:
তর্পণ মন্ত্র
(তর্পণ দেয়ার সময় উপবীতকে পেছনদিকে নিয়ে (যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এবং উভয় হাতে জল নেয়া হয়। মন্ত্র উচ্চারণ করা হয় এবং দুই হাত ডানদিকে এবং নিচে কাত করে নিবেদন করা হয় যাতে জল ডান বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এটি পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য নিবেদনের একটি উপায়। আপনারা ভীষ্ম পঞ্চকে এটি ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে করেন।)
ওঁ বৈয়াগ্রপদ্য গোত্রায়
সংস্কৃতি প্রবরায় চ।
অপুত্রায় দদাম্যেতৎ
সলিলং ভীষ্মবর্মণে।।
অর্ঘ্য
বসুনামাবতারায়
শান্তনোরাত্মজায় চ।
অর্ঘ্যং দদামি ভীষ্মায়
আজন্ম ব্রহ্মচারিণে।।
প্রণাম
ওঁ ভীষ্ম শান্তনবো বীরঃ
সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।
অভিরদ্ভিরবাপ্নোতু
পুত্রপৌত্রচিতাং ক্রিয়াম্।।
** যদি আপনার কাছাকাছি কোন পবিত্র নদী না থাকে:
যারা ""গঙ্গা, গঙ্গা, গঙ্গা"" উচ্চারণ করেন, তারা এই পবিত্র নদীতে স্নান করার সুফল লাভ করেন, যা যেকোন স্থানেই করা সম্ভব। ভক্তেরা নদী, হ্রদ অথবা সমুদ্রে স্নান করতে পারেন।
ভগবানের নিকট নিবেদন:
-------------------------
ভক্তরা নিম্নের ফুলগুলো বিগ্রহকে নিবেদন করতে পারেন:
১ম দিন- শ্রীবিগ্রহের শ্রীচরণে অবশ্যই পদ্মফুল,
২য় দিন- শ্রীবিগ্রহের উরুতে বিল্বপত্র,
৩য় দিন- শ্রীবিগ্রহের নাভিদেশে গন্ধদ্রব্য
৪র্থ দিন- শ্রীবিগ্রহের স্কন্ধদেশে জবাফুল ও বিল্বপত্র এবং
৫ম দিন- শ্রীবিগ্রহের মস্তকে মালতী ফুল নিবেদন করা উচিত।
যদি কখনো দু'টি তিথি একত্রে পড়ে তবে ঐদিন দুইদিনের উদ্দিষ্ট ফুলগুলো একই দিনে নিবেদন করতে পারেন।
** যদি আপনার নিকট ফুলগুলো না থাকে, তবে ভগবানের নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত ফুলগুলো আপনি মানসিকভাবে নিবেদন করতে পারেন।
উৎস: গরুড় পুরাণ"
নিম্নের প্রবচন এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ কর্তৃক শ্রীধাম মায়াপুরে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ই নভেম্বর প্রদত্ত হয়েছে। প্রবচনটি পদ্ম ভবনের ছাদে প্রদত্ত হয়েছে এবং এটি আগত ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত এবং তার আবশ্যক অঙ্গ সম্পর্কিত।
"৪ নভেম্বর ভীষ্ম পঞ্চকের প্রথম দিন। ভীষ্ম পঞ্চক একটি ঐচ্ছিক ব্রত, একাদশীর দিন থেকে শুরু হয়ে পূর্ণিমা পর্যন্ত থাকে। সাধারণত এটি ৫ দিনের হয়। এতে একটি বিশেষ খাদ্যতালিকা থাকে যে অনুযায়ী কোন ব্যক্তি পঞ্চগব্য অথবা ফলমূল অথবা চাল, গম, বার্লি * এরকম অল্পকিছু দানাসহ হবিষ্যান্ন গ্রহণ করতে পারে। এই ব্রত কোন ব্যক্তিকে ভগবৎপ্রেম প্রদান করে। একজন ব্যক্তির মাধবের বিগ্রহকে পুষ্পও নিবেদন করা উচিত। একদিন তাঁর চরণকমলে পদ্মফুল নিবেদন করা হয়। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন ফুল নিবেদনের নিয়ম রয়েছে।
প্রশ্ন: যাদের পিতা জীবিত তারাও কি তর্পণ করতে পারবে?
গুরুমহারাজ: আপনারা ভীষ্মদেবের উদ্দেশ্যে তর্পণ করছেন, আপনাদের পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে নয়।
প্রশ্ন: একজন ব্যক্তি কতবার আহার গ্রহণ করতে পারে সেব্যাপারে কোন নিয়ম আছে কি?
গুরুমহারাজ: নির্ধারিত কোনকিছু বলা নেই।
প্রশ্ন: মন্দিরে ফুলগুলি পাওয়া যাবে কি?
গুরুমহারাজ: মাধব বিগ্রহের পুজারী ব্যবস্থা করবেন এবং আপনাদের বিগ্রহকে প্রদীপও নিবেদন করা উচিত। সকাল এবং সন্ধ্যায় গীতা ভবনে আমরা প্রসাদের আয়োজন করব।
ভীষ্ম পঞ্চক গোবিন্দের নিকট বিশেষ প্রিয় এবং আপনি অতি সহজেই কৃষ্ণভক্তি লাভ করতে পারেন। (ভক্তগণ: হরিবোল) এটি হরিভক্তিবিলাসে উল্লেখ করা আছে। এটি একটি ঐচ্ছিক ব্রত। আপনাকে পূর্ণিমার দিন সূর্যাস্তের পর এবং চন্দ্রোদয়ের সময় ব্রতের পারণ করতে হবে। তা প্রায় ৫ টায়। তো সেদিন আমরা বিকালের প্রসাদ পাইনা। কেননা ৫ টায় আমরা ব্রত শেষ করব। সেটি একটি মহাভোজ হবে। তো অধিকাংশ ব্যক্তি ফলমূল গ্রহণ করে। তাই আমরা আলু, মূল এবং ফল যেমন কলা, আপেল, কূল, পানিফল, খেজুর, বাদাম, আখরোট, হেলেনটস প্রদান করি। বিভিন্ন ফলের মত এগুলিও ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। কাজু, চীনাবাদাম এগুলিও ফল হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রশ্ন: আখের রস কি গ্রহণ করা যাবে?
গুরুমহারাজ : আখের রস এবং ইক্ষুদ্রব্য যেমন মিছরি গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু গুড় এবং মোলাসেস অনুমোদিত নয়।
যেহেতু উদ্দেশ্যটি হল আপনাদের নিয়মিত ভগবদ্ভক্তি চালিয়ে যাওয়া, এমন নয় যে, আমি উপবাস করছি তাই আমি কিছু করব না। যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা যারা সম্পূর্ণ উপবাস করতে পারবেন না তারা হবিষ্যান্ন পেতে পারেন। যে ব্যাপারটি চিত্তাকর্ষক সেটি হল, ভীষ্মদেব তাঁর পিতার কারণে বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। এর পেছনে পুরো একটি কাহিনী রয়েছে। তো প্রার্থনায় আছে, 'আজন্ম ব্রহ্মচারিণে', তো আমরা তাঁর জন্য তর্পণ করছি। তাঁর কোন সন্তান নেই, তিনি কখনো বিয়ে করেননি। তো এটি আশ্চর্যজনক যে, কীভাবে সারা ভারত এবং সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভীষ্মদেবের জন্য ভীষ্ম পঞ্চক করছেন এবং তারা তর্পণ করছেন, কিন্তু তাঁর কোন সন্তান নেই। এবং তিনি গঙ্গামাতার সন্তান। তাই যখন এখানে ভক্তেরা গঙ্গায় যান, গঙ্গাদেবী প্রসন্ন হন যে তাঁর পুত্র সম্মানপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
প্রশ্ন: মাতাজীরা তর্পণ করতে পারেন?
গুরুমহারাজ : আমি যতদূর জানি তারা পারেন। আমি জানিনা। মন্ত্রসমূহের মধ্যে তর্পণ, অর্ঘ্য এবং প্রণাম রয়েছে। আমি মনে করি প্রত্যেকে প্রণাম এবং অর্ঘ্য প্রদান করতে পারে। কিন্তু তর্পণের ব্যাপারে ঐতিহ্য কী আমি জানিনা। প্রভুপাদ মাতাজীদের ব্রাহ্ম গায়েত্রী প্রদান করেছেন। যেটা সাধারণত করা হয়না। তিনি এমন কিছু করতেন যা ছিল ব্যতিক্রম।
প্রশ্ন: জেপিএস ওয়েবসাইটে কি এই ব্যাপারে ঘোষণা করা যায় যে, আমরা আমাদের ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত উদযাপনের ফল গুরুমহারাজকে নিবেদন করতে পারি কিনা? আমি কি এখানে সকল গুরুভ্রাতা ও গুরুভগ্নীকে এব্যাপারে অনুরোধ করতে পারি?
গুরুমহারাজ : আমি চাই আপনারা সকলে পারমার্থিক সুফল লাভ করুন। তো বলা হয়েছে যে, এর মাধ্যমে আপনারা কৃষ্ণের চরণকমল লাভ করবেন। (ভক্তগণ : হরিবোল) আমি ইতিমধ্যেই বলেছি, তারা নিজেদের জন্য ৪ বার এবং আমার জন্য ৪ বার তুলসী পরিক্রমা করতে পারে।
প্রশ্ন: একাদশীর দিন উপবাস করার পর পরেরদিন কী খেয়ে আমাদের পারণ করা উচিত? ফলমূল?
গুরুমহারাজ : আমরা একটি সংকল্প করি যে, আমরা ভীষ্ম পঞ্চক পালন করছি। সংকল্প করার মাধ্যমে এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আপনি যদি হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন তবে দ্বিতীয় দিন দানা গ্রহণ করতে পারেন। ভক্তিচারু স্বামী দেখেন যে, এতে বহু বৈচিত্র্য রয়েছে। তো তিনি নির্জলা একাদশী পালন করেন। একাদশীর পরদিন তিনি জল গ্রহণ করেন। ১ম এবং ২য় স্তরের ক্ষেত্রে আপনি পাঁচ দিন দানা গ্রহণ করবেন না। এই অনুযায়ী আপনি পাঁচদিন দানা গ্রহণ করবেন না অর্থাৎ পাঁচদিন দানা নিষিদ্ধ। তারপর ৫ম দিন আপনি ব্রতের পারণ করবেন। এবং আপনি যদি সত্যিই এব্যাপারে চিন্তিত হন, তবে আপনি নির্জলা করতে পারেন। "🌹
0 Comments