🙏🙏একটি শিক্ষনীয় পোষ্ট🙏🙏
পূর্বে গয়ায় এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। সে খুবই অনাচারী ছিল।
ব্রাহ্মণ হয়ে সে চর্ম্ম পাদুকা বেচা কেনার কাজ করতেন। এক মুচির সঙ্গে সে এই ব্যবসা করত। ব্রাহ্মণের কাজ ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী পাঠ করা কিন্তু তিনি তা করতেন না।
হরি ভজন করার সময় দিনের বেলায় তার ছিল না । সন্ধ্যাকালে বাড়ি ফিরে স্নান করে সে রান্না করত এবং খাবার প্রস্তুত হলে ভগবানকে সমর্পণ করে সে খাবার খেত।
শয়নের সময় হরিনাম নিয়ে সে শয়ন করত। হঠাৎ একদিন সে রাত্রি বেলায় সর্পাঘাতে মারা গেলেন।
যমদূতরা নিয়ে যেতে এলে সেখানে বিষ্ণুদূতরা এসে সেই ব্রাহ্মণকে নিয়ে গেল বৈকুণ্ঠ ধামে। তখন যমদূতরা রেগে গিয়ে ধর্মরাজকে বললো আমরা আর এই কাজ করব না।
কারণ, যে ব্রাহ্মণ সব সময় নীচ কাজ করত তাকে কেন বিষ্ণুদূতরা নিয়ে গেল?
তখন চিত্রগুপ্ত তার খাতা দেখে বললো যে, সেই ব্রাহ্মণ শয়নের সময় হরি নাম নিয়েছিল, এই জন্য তাকে বিষ্ণুদূতরা নিয়ে গিয়েছে।
এরপর ধর্মরাজ বিশদ ভাবে তাদের বোঝালেন যে, শয়নে ও মরনে যারা হরিনাম নেয়, তাদের তোমরা নিয়ে এসো না।
যে সব সময় হরিনাম করে, মরনের সময় যারা গঙ্গার জল স্পর্শ পায় তাদের তোমরা নিয়ে এসো না। যাদের গলায় তুলসী মালা থাকে, যাদের কাছে শ্রীহরির কবচ থাকে, যাদের কপালে গঙ্গামাটির তিলক থাকে, যাদের তুলসী বেদীর মাটি ও তুলসী পাতা অঙ্গে থাকে, তাদেরকে তোমরা কদাচিৎ ছোঁবে না। যারা মরনকালে গুরু দর্শন পায় তাদেরকে ও তোমরা ছোঁবে না।
🙏🌷 হরে কৃষ্ণ 🌷🙏
0 Comments