শিক্ষনীয় গল্প⁉️

এক গ্রামে একজন কৃষক ছিলেন।

তিনি দুধ থেকে দই ও মাখন তৈরি করে বিক্রি করতেন।  

একদিন কৃষকের স্ত্রী মাখন তৈরি করে কৃষককে দিলেন বিক্রি করতে।


কৃষক তা বিক্রি করার জন্য গ্রাম থেকে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।

 মাখনগুলো গোল-গোল রোল আকৃতিতে রাখা ছিল। 

যার প্রত্যেকটির ওজন ছিল ১ কেজি করে। 

শহরে পৌঁছে কৃষক প্রতিবারের ন্যায় পূর্ব নির্ধারিত দোকানে মাখনগুলো দিয়ে,পরিবর্তে চা চিনি তেল ও তার সংসারের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসতেন। 


আজ কৃষক চলে যাওয়ার পরে দোকানদার মাখনের রোলগুলো একটা একটা করে ফ্রিজে রাখার সময়

ভাবলেন মাখনের ওজন সঠিক আছে কিনা আজ একবার পরীক্ষা করে দেখা যাক। 

মাখনের রোলগুলো ওজন করতেই উনি দেখলেন মাখনের ওজন আসলে ১ কেজি নয় তা প্রতিটা আছে ৯০০ গ্রাম করে। 


পরের সপ্তাহে আবার কৃষক উক্ত দোকানে মাখন বিক্রি করতে গেলেন।

 দোকানের সামনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার কৃষকের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন,বেরিয়ে যাও আমার দোকান থেকে। 


এবার থেকে কোন বেঈমান চিটিংবাজের সাথে ব্যবসা কর। আমার দোকানে আর কোনদিন পা রাখবে না। 

৯০০ গ্রাম মাখন ১ কেজি বলে বিক্রি করা লোকটার মুখ আমি দেখতে চাইনা।”


কৃষক বিনম্রভাবে কম্পিত স্বরে দোকানদারকে বললেন ”দাদা!

 দয়া করে রাগ করবেন না।

আসলে আমি খুবই গরিব মানুষ,দাড়িপাল্লার বাটখারা কেনার মতো পয়সা আমার নেই।

তাই আপনার থেকে প্রতিবার যে এক কেজি করে চিনি নিয়ে যেতাম,সেটা দাড়িপাল্লার একপাশে রেখে অন্য পাশে মাখনের রোল মেপে নিয়ে আসতাম!!


শিক্ষণীয় বিষয়: 


আপনি অপরকে যেটা দেবেন,সেটা কোন না,কোন ভাবে আপনার কাছে ফিরে আসবেই,?

সেটা সম্মান হোক কিংবা ঘৃণা⁉️

Post a Comment

0 Comments