শ্রীশ্রী নৃসিংহ চতুর্দশীর মাহাত্ম্য.... যা পাঠ বা শ্রবণ মাত্রই অনন্ত ফল লাভ হয়.........


শ্রীশ্রী নরসিংহায় নমঃ


সুপ্রিয় গৌরভক্তবৃন্দ

আগামী,

২৮ই মধুসূদন, ৫৩৬ গৌরাব্দ

২০ই বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

০৪ঠা মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ


বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব তাঁর পরম ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষাহেতু এ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ বছর সেই দিনটি পড়েছে আগামী ০৪ঠা মে, রোজ বৃহস্পতিবার।


#পারন :-

★(শুক্রবার৫.২৬ থেকে ৯.৫২ এর মধ্যে )


জয় শ্রীনৃসিংহদেব!!

 ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, নৃসিংহ_চতুর্দশী,,,,,,,,,,


🌹শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশীর ব্রত মাহাত্ম্যঃ 🌹


১নৃসিংহ চতুর্দশী=১০০০ একাদশী= ১০০০০০০ দূর্গাষ্টমী।


আগামী, ০৪/০৫/২০২৩ বৃহস্পতিবার অতি পুণ্যফলদায়ক অবশ্য পালনীয় শ্রীশ্রী নৃসিংহ চতুর্দশী। মহাদেব শিবজী, ব্রহ্মাজী, দূর্গাদেবীসহ দেবলোকের সকল দেবদেবীগণ নিষ্ঠাভরে নৃসিংহদেবের এই উপবাস করেন। ১০ লক্ষ দূর্গাষ্টমী ব্রত করলে যে ফল হয়, ১০০০টি একাদশী ব্রত প্রভাবে যে ফল হয়, শুধুমাত্র ১টি নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত করলে সে ফল হয়।


যেখানে শিব, ব্রহ্মা, কালীসহ সকল দেবদেবীই এই নৃসিংহদেবের চতুর্দশী উপবাস করেন সেখানে আমি আপনি সাধারণ মানুষের তো কথাই নেই। তাই নৃসিংহদেবের অহৈতুকী কৃপালাভ থেকে বঞ্চিত না হতে কেউই আগামীকাল মহামঙ্গলময় উপবাস না থাকার কথা ভুলেও ভাববেন না। কেউ যদি একাদশী বা অন্য কোনো ব্রত নাও করে থাকেন অন্তত এই নৃসিংহ চতুর্দশীতে কৃপা করে গোধূলি (সন্ধ্যার কিছু আগে) পর্যন্ত উপবাস করুন এবং প্রতিবছরের জন্য এই মহাপবিত্র দিনে উপবাস থাকা বাধ্যতামূলক করে রাখুন। কেননা এই ব্রত শুধুমাত্র নৃসিংহদেবের ভক্তরা নয়, সাধারণ মানুষ সবাই করতে পারবে। গোধূলির পর অনুকল্প মহাপ্রসাদ (ফলমূল) খাওয়া যাবে। পরদিন যথাসময়ে পারণ করতে হবে।


বৃহৎনারদীয়সিংহ পুরাণে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব পরম ভক্ত প্রহ্লাদকে বললেন-


বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মম সন্তুষ্টি কারণম।

মহা গুহ্যমিদং শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভব ভীরুভিঃ।


অনুবাদঃ প্রতি বছর আমার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত্য কর্তব্য। জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়ে মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।


বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে শ্রীনৃসিংহদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাই এই তিথিতে ব্রত পালন পূর্বক তার পূজা ও উৎসব করতে হয়।


শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে। যদিও আমার ভক্তরা এই ব্রত করে থাকে তবুও প্রত্যেকের এই ব্রতে অধিকার আছে।


প্রহ্লাদ বললেন, হে ভগবান, হে নৃসিংহ রূপ, হে সকল দেবগণের আরাধ্য প্রভু আপনাকে প্রণাম জানাই।


আমি জিজ্ঞাসা করছি, হে প্রভু, তোমার প্রতি আমার ভক্তি কিরূপ উৎপন্ন হল? কিরূপ আমি তোমার প্রিয় ভক্ত হলাম?


শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, হে বুদ্ধিমান একান্ত মনে শোনো। প্রাচীন কল্পে তুমি ব্রাহ্মণ ছিলে, কিন্তু বেদপাঠ করনি। তোমার নাম ছিল বসুদেব এবং তুমি ছিলে বেশ্যাসক্ত। তোমার কোন সুকর্ম ছিল না, কেবল একটি মাত্র আমার ব্রত করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তোমার এরকম আমার প্রতি ভক্তি হয়েছে।


প্রহ্লাদ বললেন, হে নৃসিংহ, হে অচ্যুত, হে প্রভু, আমি কার পুত্র হয়ে কি করতাম? বেশ্যাসক্ত অবস্থায় কিভাবে তোমার ব্রত করলাম? দয়া করে বলুন।


শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, ""পুরাকালে অবন্তীপুরে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ ছিল। তার নাম ছিল বসুশর্মা। ধর্মপরায়ণ ও বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে তৎপর। তার ভার্যা জগৎ প্রসিদ্ধা সুশীলা পতিব্রতা সদাচারিণী। তাদের পাঁচ পুত্র ছিল। চারজন ছিল সদাচারী, বিদ্ধান, পিতৃভক্ত। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিল অসদাচারী, সর্বদা বেশ্যাসক্ত, সুরাপায়ী। সেই কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিলে তুমি। নিত্য বেশ্যাগৃহেই তুমি বসবাস করতে। এক বনমধ্যে তুমি ও সেই তোমার বান্ধবী বেড়াতে গিয়েছিলে। তোমরা মনে করেছিলে দিনটি বেশ ভালোই কাটবে। কিন্তু তোমাদের নিজেদের মধ্যে চরিত্র বিষয়ে বিশেষ রকমে কলহ বেধে যায়। তোমাদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারনে মৌনভাবে তোমরা আলাদাভাবে একটি স্থানে এসে বসেছিলে। সেখানে তুমি অতি পুরানো ধ্বংসাবশেষ গৃহ নিদর্শন স্বরূপ কিছু ইট পাথর দেখেছিলে। সেই নির্জন স্থানে আলাদাভাবে উপবেশন করে তোমরা দুইজন ক্রন্দন করছিলে আপন আপনভাবে। সারাদিন তোমরা

অনাহারী ছিলে, এমনকি জল পর্যন্ত পান করনি। সারারাতও তোমরা জাগরিত ছিলে। ক্লান্ত শরীরে দুঃখিত অন্তরে মনোমালিন্য ভাবে তুমি সেখানে শুয়ে পড়ে প্রার্থনা করছিলে,


 ‘"হে ভগবান, হে শ্রীহরি, এই জগতের কত লোক সুন্দর! আমার মা-বাবা কত সুন্দর ধর্মপ্রাণ। আমার ভাইয়েরা কত সুন্দর। তাঁরা নিষ্ঠাবান, চরিত্রবান। কিন্তু আমি অধঃপতিত। আমি মহা মন্দমতি। আমি চরিত্রহীন। পথের পাগলের চেয়েও অধপতিত। হে ভগবান, ভাল লোকেরা তোমার শরণাগত। আমি মূর্খ। কারো শরণাগত নই। আমি নিঃসঙ্গ। আমি বড় অসহায় অবস্থায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, হে ভগবান, আমাকে বিশুদ্ধ জীবন দান করো।"


এভাবে তুমি ক্রন্দন করছিলে। আর তোমার বান্ধবী, সেও একান্ত মনে প্রার্থনা করছিল, "হে ভগবান, আমি এই সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য স্তরের জীব। সভ্য সমাজ থেকে আমি বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন। এই জগতে অনেক নিষ্ঠাবতী সাধ্বী সুন্দরী নারী রয়েছে। আর আমি মহাপাপী গণিকাবৃত্তি করেই জীবন নষ্ট করেছি। প্রতিদিনই কেবল পাপের বোঝা বাড়িয়েছি। নরকযাতনা কতই না এই পোড়া কপালে অপেক্ষা করছে। ভদ্র সমাজে কেউ কোনওদিন আমাকে তাকাতেও চায় না। আমিও এই জগতের কোনও পথ খুঁজে পাই না। হে পরম করুণাময় নৃসিংহদেব ভগবান, যদি তোমার অহৈতুকী

কৃপাদৃষ্টি আমার প্রতি থাকে তবে দয়া করে আমার এই জীবন পরিবর্তন করে দাও।" এভাবে সে আকুল অন্তরে ক্রন্দন করতে লাগল।""


ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, ""হে প্রহ্লাদ, সেই স্থানটি ছিল আমার প্রাচীন মন্দির। সেই দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী- আমার আবির্ভাবের দিন। তোমরা উপবাসী ছিলে, রাত্রি জাগরণ করেছিলে, জীবনের কল্যাণ প্রার্থনা করেছিলে। অর্থাৎ অজ্ঞাতসারেই তোমরা আমার পরম-মঙ্গলময় চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তুমি এ জন্মে আমার প্রিয় ভক্তরূপে জন্মগ্রহণ করেছ। আর সেই বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে স্বর্গলোকে অপ্সরা জীবন লাভ করে ত্রিভুবনে সুখচারিণী হয়েছে।


হে প্রহ্লাদ! আমার ব্রতের প্রভাব শোনো। সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন। ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন।


যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসার পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্ত পুত্র লাভ করে,

দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে,

রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুস্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে,

স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্র প্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন,দিব্য সুখ প্রদ।


স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তমব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি।


হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।""


হে নৃসিংহদেব প্রভু, জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে করা সকল অপরাধ ক্ষমা করো ভগবান। হে ভগবান তোমাতে একান্ত ভক্তি প্রদান করো ভগবান ।


কৃপা করে সবাই নৃসিংহ ভগবানের চতুর্দশীর ব্রতের উপবাস থাকবেন।


নিচে দেখুন শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম,শ্রীনৃসিংহ দেবেন পছন্দের ভোগ, শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম, শ্রীনৃসিংহ স্তুতি, কবচং,শ্রীনৃসিংহ লীলা।


আসছে সামনে........... #নৃসিংহ_চর্তুদশী।


#যে ১০০০/টা দূর্গাপুজা করলে যে পূণ্য হয়, একটা একাদশী ব্রত করলে সে পূণ্য হয়, কারণ দূর্গাপুজা যে ব্রত করা হয় সেটাকে ব্রত বলা হয়, আর কলিযুগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু একাদশীকে মহাব্রত বলেছে। আর ১০০০/টা একাদশী ব্রত করলে যে পূ্ণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতূর্দশী কেউ ভক্তি ভরে করলে তার সেই পূণ্য হয়।


★উপবাস : গোধূলি লগ্নে শ্রীনৃসিংহদেবের অভিষেক। তারপর অভিষেকের চরণামৃত দিয়ে উপবাস ভেঙ্গে একাদশীর ন্যায় অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে। অভিষেক করতে না পারলে বা নৃসিংহদেবের শ্রী বিগ্রহ বা চিত্রপট না থাকলে শ্রী নারায়ণ বিগ্রহ বা চিত্রপটে ভোগ নিবেদন করে (পঞ্চশস্য ব্যতীত একাদশীর মতো) প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে তবে নিজ্জলা ব্রতই উত্তম।


🙌🙌🙌যারা সদা গ্রহাদির পীড়ন ভোগ করছেন তারা নৃসিংহ চতুর্দশী তিথিতে উপবাস থেকে ১০৮ জোড়া তুলসীপাতা দ্বারা নৃসিংহ দেবের অষ্টোত্তর শতনাম (ছবিতে দেয়া আছে খেয়াল করুন) পাঠ করে চরণে অর্পণ করলে সমস্ত অপগ্রহাদির উপদ্রুব বিদূরিত হয়৷ 

📣এছাড়াও শ্রী ভবিষোত্তর পুরাণে রক্ষোভূবন মাহাত্ম্যে শ্রী শনৈশ্চরকৃত নৃসিংহ স্তুতি অর্থাৎ শ্রী শনিদেব নৃসিংহদেবের কাছে যে প্রার্থনা করেছিলেন তা পাঠ করতে পারেন।


শ্রী শনিদেব বললেনঃ

হে ভগবান নৃসিংহদেব, হে দয়ার সাগর, আমার প্রতি প্রসন্ন হোন। হে দেবদেব,আমার শনিবার যেন আপনার প্রিয় হয়। হে বিশ্বপাবন যে সমস্ত ভক্তরা আমার গ্রথিত এই স্তব শ্রবণ বা কীর্তন করেন তাদের সমস্ত বাসনা পূরণ করুন। হে ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।


এরপর ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব🙏🙏🙏 বললেন- হে শনি তাই হোক। যেহেতু  আমি বিশ্বরক্ষক (রক্ষভূবন),আমার ভক্তের সকল বাসনা পূরণ করি। আরো জানো ১২-৮ অবস্থানের গ্রহ বা অন্য কুসময়ে জন্মের দ্বারা যারা যৎপরোনাস্তি দুঃখ পেয়েই যাচ্ছে তারা যদি এটা পাঠ করে বা শুনে তার কোনো ভয় থাকবেনা।) কারো সম্পূর্ণ স্তব প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানান অথবা ইনবক্সে জানাবেন) 


🔔🔔চতুর্দশী তিথিতে ভগবান নৃসিংহ দেবকে এক বিশেষ প্রকার পানীয় নিবেদন করা হয় যাকে বলে  পনকম্। এটি একটি সুস্বাদু পানীয় এবং এই পানীয় ভগবান রামচন্দ্রকে রাম নবমীতে এবং সর্ববিঘ্ন বিনাশক ভগবান নৃসিংহদেবকে নৃসিংহ চতুর্দশীতে নিবেদন করা হয়ে থাকে । 


নিচে পানাকাম বানানোর রেসিপি দেয়া হলোঃ-

চার কাপ ঠাণ্ডা জল 

অর্ধেক চামুচ এলাচি ক্রাশ করা

এক চামুচ আদা রস

অল্প কেশর

একটি লেবু

এক বাটি গুঁড়

এই সবগুলো উপাদান এক সাথে মিশিয়ে তারপর ছেঁকে ভগবান নৃসিংহ দেবকে নিবেদন করতে পারেন।


বি.দ্রঃ-ভক্তসংখ্যানু্যায়ী উপকরণের পরিমাণ বাড়বে। 


🔔🔔এছাড়া আলু ছোট করে টুকরো করে বাদাম দিয়ে এক বিশেষ ভোগ দিতে পারেন (তেলের ক্ষেত্রে ঘৃত বা সূর্যমুখী ব বাদাম তেল অথবা নরমালি ভাজা বাদাম)। 


🔔🔔#পারন:পরের দিন সকালে ভগবানের নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ একান্তই বাঞ্ছনীয়।

জেনে নিন


 🔔🔔 #নৃসিংহ চতুর্দশী কী?

        কেন_শ্রীনৃসিংহদেবের_চতুর্দশী_ব্রত_পালন_করব

ও মাহাত্ম্য কি ?

 🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿

করবেন তো? নিজে করুন এবং অন্যকে করতে বলুন


শ্রীশ্রীনৃসিংহের ধ্যান মন্ত্র :-


ওঁ মাণিক্যাদ্রিসমপ্রভং নিজরুচা সন্ত্রস্তরক্ষোগণং,

জানুন্যস্তকরাম্বুজং ত্রিনয়নং রত্নোল্পসদ্‌ভূষণম্‌ ।

বাহুভ্যাং ধৃতশঙ্খচক্রমনিশং

দংষ্ট্রোগ্রবক্ত্রোল্পসজ্জ্বালাজিহ্বমুদারকেশরচয়ং বন্দে নৃসিংহং বিভূম্‌।।


শ্রীশ্রীনৃসিংহের মন্ত্র :-

ওঁ উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।

নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুংনমাম্যহম্।।


শ্রীশ্রীনৃসিংহ-গায়ত্রী মন্ত্র: -

ওঁ বজ্রনখায় বিদ্মহে তীক্ষ্ণদংষ্ট্রায় ধীমহি।

তন্নো নরসিংহ প্রচোদয়াৎ।।


ওঁ গুহ্যাতিগুহ্যগোপ্তী ত্বং গৃহাণাস্মৎকৃতং জপম্‌।

সিদ্ধির্ভবতু মে দেব ত্বৎপ্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।


শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব ও প্রণাম


নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদহ্লাদ-দায়িনে । 

হিরণ্যকশিপোর্বক্ষঃ শিলাটঙ্ক-নখালয়ে ।। 

ইতো নৃ্সিংহঃ পরতো নৃ্সিংহঃ ।। 

যতো যতো যামি ততো নৃ্সিংহঃ ।। 

বর্হিনৃ্সিংহ হৃদয়ে নৃ্সিংহো । 

নৃ্সিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে ।। 

তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃঙ্গং 

দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্ । 

কেশব ধৃত-নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে ।।


অনুবাদ– হে নৃসিংহদেব, আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আপনি প্রহ্লাদ মহারাজকে আনন্দ দান করেন এবং পাথর কাটার ধারালো টঙ্কের মতো আপনার নখের দ্বারা আপনি হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলেন।

শ্রীনৃসিংহদেব, আপনি এখানে রয়েছেন এবং সেখানেও রয়েছেন, যেখানেই আমি যাই, সেখানেই আমি আপনাকে দর্শন করি। আপনি আমার হৃদয়ে এবং বাইরেও রয়েছেন। তাই আমি আদি পুরুষ, পরমেশ্বর ভগবান, শ্রীনৃসিংহদেবের শরণ গ্রহণ করি।

হে নৃসিংহদেব, আপনার পদ্মের ন্যায় হস্তে নখের অগ্রভাগগুলো অদ্ভুত এবং সেই হস্তে হিরণ্যকশিপুর দেহ ভ্রমরের মতো বিদীর্ণ করেছেন।

হে কেশব, আপনি নৃসিংহদেব রূপ ধারণ করেছেন, হে জগদীশ আপনার জয় হোক।


ওঁ ইতঃ পূর্ব্বং প্রাণবুদ্ধি দেহধর্ম্মাধিকারতো জাগ্রৎস্বপ্নসুষুপ্ত্যবস্থাসু মনসা বাচা হস্তাভ্যং পদ্ভ্যামুদরেণ শিশ্মা যৎ স্মৃতং যদুক্তং যৎ কৃতং তৎসর্ব্বং ব্রহ্মার্পণং ভবতু স্বাহা,

মাং মদীয়ং সকলং সম গশ্রীশ্রীনৃসিংহদেবতায়ৈ সমর্পয়ামি ওঁ তৎ সং।


ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু

ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু

ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু

ওঁ বিষ্ণু


ওঁ ঋচং বাচং প্রপদ্যে মনো যজূঃ প্রপদ্যে সাম প্রাণং প্রপদ্যে চক্ষুঃশ্রোত্রং প্রপদ্যে বাগৌজঃ সহৌজ ময়ি প্রাণাপানৌ।

ওঁ ষন্মে ছিদ্রং চক্ষুষোর্হৃদয়স্য মনসো বাতিতৃণ্নং বৃহস্পতিতে তদ্দধাতু।

শন্নো ভবতু ভুবনস্য যস্পতিঃ।।

ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।

স্বস্তি নস্তাক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দ্দাধাতু।।

ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।


সবাই এই স্তব কয়েক বার পড়ুন (পাঠ করুন কীর্তন আকারে কীর্তন করুন) অনেক অনেক ভক্তি এবং পারমার্থিক শক্তি সঞ্চিত হবে।। যা এ সময়ে অকল্পনীয়।। জয় নৃসিংহদেব ভগবান কি জয়।।


🔔🔔শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব


জয় নৃসিংহ শ্রী নৃসিংহ।

জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ।।

উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং

জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।

নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং

মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহুম্।।

শ্রীনৃসিংহ জয় নৃসিংহ জয় জয় নৃসিংহ।

প্রহ্লাদেশ জয়পদ্মামুখ পদ্মভৃঙ্গং।।

অনুবাদ– জয় শ্রীনৃসিংহদেব, জয় শ্রীনৃসিংহদেব, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক! জয় হোক! জয় হোক! সর্বদিক প্রজ্জ্বলনকারী উগ্র বীর, মহাবিষ্ণু, যিনি মৃত্যুরও মৃত্যুস্বরূপ সেই ভীষণ ভদ্র শ্রীনৃসিংহদেবকে প্রণাম জানাই। প্রহ্লাদের প্রভু, পদ্মা অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবীর মুখপদ্মের প্রতি ভ্রমর রূপ শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, জয় হোক।


🔔🔔#কেন_শ্রীনৃসিংহদেবের_চতুর্দশী_ব্রত_পালন_করব ?


'বৈশাখ মাসের এই শুক্লা চতুর্দশীতে শ্রীনৃসিংহদেব আবির্ভুত হন তাই এই দিনে ব্রতপালন পুর্বক ভগবান নৃসিংহদেবের পুজা ও উৎসব করা হয়।

শ্রীনৃসিংহদেব প্রহ্লাদ মহারাজকে বলেছেন, আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সুর্য যতদিন থাকবে ততদিবসে নরক যাতনা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেকের এই ব্রত পালন করার অধিকার আছে।


#হিরণ্যকশিপুর কঠোর তপস্যা করে ব্রহ্মা তাকে দর্শন দেই ও তার কাছে বর চাইলেন, অমরত্ব বর।


কিন্তু ব্রহ্মা বললেন হে হিরণ্যকশিপুর তুমি যে বর চেয়েছ সেটা আমি দিতে পারব না, কারণ আমি নিজেই অমরত্ব না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারব, তখন হিরণ্যকশিপুর চিন্তা করল আমি এমন বর চাইব যা আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপুর বর চাইতে লাগলেন যে,,হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা, আপনি যদি অামার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার কোন সৃষ্টির কোনও প্রাণী বা পথে, ঘাটে,দিনের বেলা,রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে,জল, ভূমি,বা আকাশে, কোনও পশু,বা কোনও অস্ত্রের দ্বারা এসবের দ্বারা আমাকে বধ করতে না পারে,, বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই,,ব্রহ্মা বলল তথাস্তু।তারপর শুরু হল হিরণ্যকশিপুরের অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তার শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে প্রহল্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহল্লাদ মহারাজ বিষ্ণুদেবের অারাধনা করছিল,


#তখন তার পিতা তাকে বলত লাগে তোমার ভগবান, কে?? ? সে বলত আমার ভগবান বিষ্ণুদেব, তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষীপ্ত হয়ে বলতে লাগল যে আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান,, কিন্তু প্রহল্লাদ বলল না তুমি আমার ভগবান না,আমার ভগবান বিষ্ণুদেব তিনি জগতপালক শ্রীহরি তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা তুমি,ত কেবল আমর এই জড়জগতের পিতা, আর বিষ্ণুদেব আমার নিত্য পিতা,,তখন হিরণ্যকশিপুর তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেই, হাতির পায়ের নিচে দেই,জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে আর প্রহল্লাদ শুধু তার প্রভু বিষ্ণুদেবকে শরণ করতে থাকে।কথায় আছে না,(যে মারে কৃষ্ণ রাখেকে, রাখে কৃষ্ণ মারেকে) ভগবান যদি চাই তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে?? না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হল না তখন প্রহল্লাদকে কারাগারে নিহ্মেপ করল শিকল দিয়ে বেধে রাখল আর মারতে লাগল আর প্রহল্লাদ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগল তখন হিরণ্যকশিপুর এসে বলল আজ তোকে কে বাচাই দেখী তোর ভগবান কোথায়?????

তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লহ্মীদেবী বলল হে প্রভু এখন কি হবে প্রহল্লাদকে কে রহ্মা করবে হিরণ্যকশিপুর, ত অমরত্ব মত বর লাভ করেছে তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রহ্মা করবে কে????, 

তখন ভগবান বলেন যে অমরত্ব মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রক্ষা করবে তার ভক্তি, তার ভক্তি তাকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রক্ষা করবে,,,,,

তখন হিরণ্যকশিপুর বলল তোর ভগবান কি এখানে আছে প্রহল্লাদ বলল হা আমার প্রভু সর্বত্র বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠে পিলারে আঘত করতে লাগে, তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান শ্রীহরি ভগবান বিষ্ণুদেব তখন হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে তাকে বধ করতে লাগলেন,,যে ঘরেও না বাইরেও না ঘরের চৌকাঠে কোন নর না পশুও না কিন্তু অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, কিন্তু নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে, সকালে না রাতেও না,কিন্তু গোধূলি লগ্নে অর্ধেক দিনও রাত মানে সন্ধায়, জলেও না মাটিতে না আকাশেও না,কিন্তু হাটুতে রেখে নখের দ্বারা বধ করে তাহলে চিন্তা করে দেখেন প্রভুর লীলা জগতেকে বোঝতে পারে যে ভক্তের ডাকে ভগবান তার ভক্তকে যেকোন উপায়ে রক্ষা করে এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মান্ড কেপে ওঠে এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বোঝতে পারেনি,ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি তখন দেবতারা বলল একমাত্র একজন পারে সে তার ভক্ত প্রহল্লাদ তখন প্রহল্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে তখন প্রভু ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তোলে নেই ও প্রভু বলে হে ভক্ত প্রহল্লাদ আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা কর আমার কাছে আমি তোমাকে বর দেব,তখন ভক্ত কি আর কিছু চাওয়ার আছে যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বলল তুমি একটা বর চাও যেহেতু আমি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি তখন ভক্ত প্রহল্লাদ বলতে লাগল প্রভু তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা,,তখন ভগবান বলল হে ভক্ত প্রহল্লাদ তথাস্তু কিন্তু তোমার শুধু এই পিতা মুক্তি লাভ করবে না যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত হবে তার, ২১/কোল আপনা থেকে উদ্ধার হবে, পিতৃকুল ১০/কোল,মাতৃকুল ১০/কোল, ও নিজের এক কোল মুক্তি লাভ করবে।


প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করে বললেন,

 ''হে অনাদিরাদি, হে নৃসিংহদেব, হে সকল দেবগণের আরাধ্য প্রভু, আপনাকে প্রণাম জানাই। 

হে প্রভু ,''আপনি কৃপা করে বলুন আপনার প্রতি আমার ভক্তি কিরুপে উৎপন্ন হল? কিরুপে আমি আপনার প্রিয় ভক্ত হলাম ?''


শ্রীনৃসিংদেব বললেন,, হে প্রহ্লাদ, হে বুদ্ধিমান একান্ত মনে শোনো। প্রাচীন কালে তুমি ব্রাহ্মণ ছিলে, কিন্তু বেদপাঠ করনি। তোমার নাম ছিল বসুদেব এবং তুমি ছিলে বেশ্যাসক্ত। তোমার কোন সুকর্ম ছিল না। কেবল একটি মাত্র আমার  ব্রত করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তোমার এরকম আমার প্রতি ভক্তি হয়েছে।।


প্রহ্লাদ বললেন, '' হে নৃসিংহদেব, হে অচ্যুত, হে প্রভু, আমি কার পুত্র ছিলাম এবং কি করতাম ? 

বেশ্যাসক্ত অবস্হায় কিভাবে আপনার ব্রত পালন করলাম ? 

দয়া করে বলুন।

শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, 'পুরাকালে অবন্তীপুরে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ ছিল। তার নাম ছিল বসুশর্মা। ধর্মপরায়ণ ও বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে তৎপর ছিলেন। এবং তাঁর স্ত্রী জগৎপ্রসিদ্ধা সুশীলা পতিব্রতা সদাচারিণী ছিলেন। তাদের পাঁচ পুত্র ছিল। চারজন ছিল সদাচারী, বিদ্বান, পিতৃভক্ত। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিল অসদাচারী, সর্বদা বেশ্যাসক্ত,সুরাপায়ী। 

সেই কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিলে তুমি। নিত্য বেশ্যাগৃহেই তুমি বসবাস করতে। এক বনমধ্যে তুমি ও তোমার সেই বান্ধবী বেড়াতে গিয়েছিলে। তোমরা মনে করেছিলে দিনটা বেশ ভালোই কাটবে। কিন্তু তোমাদের নিজেদের মধ্যে চরিত্র বিষয়ে বিশেষ রকমের কলহ বেধে যায়। তোমাদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে মৌনভাবে তোমরা আলাদাভাবে একটি স্হানে এসে বসেছিলে। সেখানে তুমি অতি পুরনো ধ্বংসাবশেষ গৃহ নিদর্শন স্বরুপ কিছু ইট পাথর দেখেছিলে। সেই নির্জন স্হানে আলাদাভাবে উপবেশন করে তোমরা দুইজন ক্রন্দন করছিলে আপন আপনভাবে। সারাদিন তোমরা অনাহারী ছিলে, এমনকি জল পর্যন্ত পান করনি। সারারাতও তোমরা জাগরিত ছিলে। ক্লান্ত শরীরে দুঃখিত অন্তরে মনোমালিন্য ভাবে তুমি সেখানে শুয়ে পড়ে প্রার্থনা করছিলে, 'হে ভগবান, হে শ্রীহরি, এই জগতের কত লোক সুন্দর! আমার মা-বাবা কত সুন্দর ধর্মপ্রাণ। আমার ভাইয়েরা কত সুন্দর! তারা নিষ্ঠাবান, চরিত্রবান। কিন্তু আমি অধঃপতিত। আমি মহা মন্দমতি। আমি চরিত্রহীন। পথের পাগলের চেয়েও অধম। 

হে ভগবান, ভালো লোকেরা তোমার শরণাগত। আমি মুর্খ তাই তোমার শরণাগত নই। আমি অতি নিঃসঙ্গ। আমি বড় অসহায় অবস্হায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, 'হে ভগবান !  আমাকে বিশুদ্ধ জীবন দান করো। এভাবে তুমি ক্রন্দন করছিলে।


আর তোমার বান্ধবী,সেও একান্ত মনে প্রার্থনা করছিল, হে ভগবান,, আমি সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য স্তরের জীব। সভ্য সমাজ থেকে আমি বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন। এই জগতে অনেক নিষ্ঠাবতী স্বাধ্বী সুন্দরী নারী রয়েছে। আর  আমি মহাপাপী গণিকাবৃত্তি করেই জীবন নষ্ট করেছি। প্রতিদিনই কেবল পাপের বোঝা বাড়িয়েছি। নরকযাতনা কতই না এই পোড়া কপালে অপেক্ষা করছে। ভদ্র সমাজে কেউ কোনদিনও আমার দিকে তাকাতেও চায় না। আমিও এই জগতের কোনও পথ খুঁজে পাই না। 

হে পরম করুনাময় ভগবান ! যদি তোমার অহৈতুকী কৃপাদৃষ্টি আমার প্রতি থাকে তবে দয়া করে আমার এই জীবন পরিবর্তন করে দাও! এভাবে সে আকুল অন্তরে ক্রন্দন করতে লাগলো।


শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, 'হে প্রহ্লাদ, সেই স্হানটি ছিল আমার প্রাচীন মন্দির। সেই দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী আমার আবির্ভাবের দিন। তোমারা উপবাসী ছিলে, রাত্রি জাগরণ করছিলে, জীবনের কল্যাণ প্রার্থনা করছিলে। অর্থাৎ অজ্ঞাতসারেই তোমরা আমার পরম-মঙ্গলময় চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তুমি এ জন্মে আমার প্রিয় ভক্তরুপে জন্মগ্রহণ করেছ। আর সেই বেশ্যাও স্বর্গলোকে অস্পরা জীবন লাভ করে ত্রিভুবনে সুখচারিনী হয়েছে।

হে প্রহ্লাদ ! এবার আমার ব্রত মাহাত্ম্য শোনো


🔔🔔 👏#শ্রীনৃসিংহ_চতুর্দশী_ব্রত_মাহাত্ম্যঃ-

            ─────────────────────


সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন।

ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন। বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিণী হয়েছে। যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসারে পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে, দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে, রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে। স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্রপ্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন, দিব্য সুখপ্রদ। স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তম ব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি। হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।রাবনের দাসমুক্ত হওয়ার জন্য শনিদেব আমার এই ব্রত পালন করেছে।

স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন। যেমন, সেই বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিনী হয়েছে। ১০০০ টা একাদশী ব্রত পালনের যে ফল তা এই ১ টি ব্রত পালনে লাভ হয়ে থাকে।


👉👉👉শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম কি?

শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, বৈশাখী শুক্লা চতুর্দশী ব্রত পালনকারীরা পাপাচারীদের সঙ্গে কথা বলবে না, মিথ্যা আলাপ বর্জন করবে, স্ত্রীসম্ভাষণ বর্জন করবে, দ্যূতক্রীড়া ত্যাগ করে আমার রূপগুণলীলার কথা স্মরণ করবে। দুপুরে পবিত্র জলে স্নান করবে। তারপর ঘরে এসে গোময় দিয়ে মণ্ডপ লেপন করে অষ্টদলপদ্ম রচনা করবে। সেই পদ্মের উপর রত্নযুক্ত তামার কলসী বসাতে হবে। তার উপর চালভর্তি একটি পাত্র রাখতে হবে। চাউলের উপর লক্ষ্মীসহ নৃসিংহদেবকে স্থাপন করতে হবে।

কিংবা মণ্ডপে পবিত্রফুল সাজিয়ে তার উপর পঞ্চামৃতে লক্ষ্মীনৃসিংহকে স্নান করিয়ে পূজা আরম্ভ করতে হবে। আগে প্রহ্লাদের পূজা তারপর লক্ষ্মীনৃসিংহের  পূজা। এই অভিষেক ও পূজা আরতি সন্ধ্যাকালে সম্পন্ন করতে হয়। নৃত্য গীত বাদ্য ও হরিনাম সংকীর্তন, নৃসিংহস্তুতি, নৃসিংহলীলা পাঠ কীর্তন পূর্বক রাত্রি জাগরণ এবং পরদিন সকালে স্নান সেরে যত্নসহ পূজা ও সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করতে হয়। তারপর ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দান ও প্রসাদ সেবন করতে হয়। অপারগ লোকেরা কমপক্ষে সন্ধ্যার পর অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করে থাকেন। রাত দশটা পর্যন্ত জেগে থাকেন। পরদিন মঙ্গল আরতিতে নৃসিংহস্তব করতে থাকেন।


👉#জেনে_রাখুন_বৈষ্ণববৃন্দঃ

─────────────────


-🚩 সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা এই নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন,


-🚩 ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, 


-🚩 স্বর্গসুখ লাভের জন্য দেবতারা শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন করে থাকেন, এবং


-🚩 বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিনী হয়ে থাকেন।


📜#যারা_পালন_করবেন_না_তাঁদের_উদ্দেশ্যেঃ

──────────────────────────


শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, "আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন তাঁরা নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে।"


             ♥শ্রীনৃসিংহ লীলা পর্ব♥


    আজকের লীলা- ""ভক্তের দৃষ্টিশক্তি লাভ""


শ্রীধাম মায়াপুরে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে.....


#ভগবান নৃসিংহদেব ভয়ঙ্কর — তাই কি ?

বিশেষ করে মায়াপুর মন্দিরে মঙ্গলারতির সময় যখন সূৰ্যোদয়ের পূর্বে অন্ধকার থাকে , তখন যারা মায়াপুরের শ্ৰীনসিংহদেবের শ্ৰীবিগ্ৰহ দৰ্শন করেছেন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেন , তার মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কেমন ভয়ঙ্কর-রুপ প্ৰকাশিত হয় । তাতে ২০০টি তৈল প্ৰদীপের আলোয় তিনি উদ্ভাসিত হন। তখন তার চোখ এবং দাঁতগুলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং সিংহের মতো উন্মুক্ত মুখগহ্বর দৰ্শন করা যায়।

মূল গৰ্ভমন্দিরে পূজারী বিশাল একটি কর্পূর এবং একটি ঘি-এর জ্বলন্ত প্ৰদীপ দিয়ে আরতি করেন। বাইরে অনেক ভক্ত তা দৰ্শনের জন্য ভীড় করে থাকেন, যেহেতু তারা জানেন, এই মঙ্গল আরতি খুব অল্পস্থায়ী মাত্ৰ তিন চার মিনিটের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যায়। তাই ভক্তগন অধীর আগ্রহে নৃসিংহদেব ভগবানের বেদীতে অপেক্ষা করেন।


প্রথম দিকে নৃসিংহদেব ভগবানের পুজা-সেবার ভার শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুর যমজ ভাই শ্রীপাদ পঙ্কজাঙঘ্রী দাস ব্রহ্মচারী প্রভুকে প্রধান পুজারী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার সহযোগী পুজারী হিসাবে অল্পবয়সী এক নবীন ব্রহ্মচারী ভবিসিদ্বি প্রভুকে বেছে নেন। কিন্তু ভবসিদ্বি প্রভু ভগবান নৃসিংহদেবকে ভীষন ভয় পেতেন। নৃসিংহদেবের প্রথম থেকেই লাল চক্ষু খোদাই ছিল যা ভাস্বর প্রান প্রতিষ্ঠা করার সময় লাগিয়েছিল। খুব উজ্জ্বল ভীতিকর চক্ষুদ্বয়।

তাই জননিবাস প্রভু এই ভীতির কারনে ভগবান নৃসিংহদেবের চক্ষু বদলিয়ে দুটো সাদা চক্ষু স্থাপন করেন।

কিন্তু এই চক্ষু বদল ভগবান নৃসিংহদেব মেনে নেননি।

গ্ৰীসের আত্মরতি দাসী ইসকনে ১৯৮০ সালে যোগদান করেন। তিনি সেই সময়ে শ্ৰীধাম মায়াপুরে বসবাস করছেন। তার স্বামীর নাম গোকুলানন্দ দাস এবং কন্যার নাম গৌরলীলা দাসী। আত্মরতি দাসীর কোন কারণে এক সময় চোখের দৃষ্টি অনেকটা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। একদিন ভগবান নৃসিংহদেবের পরমভক্ত প্ৰহ্লাদ মহারাজ সমীপে কৃপা প্ৰাৰ্থনার সময় তিনি দেখতে পান শ্ৰীনৃসিংহদেব বলছেন, ''তার চোখ ফিরিয়ে দিলে আত্মরতির চোখ ভাল হয়ে যাবে''।

সংশ্লিষ্ট পূজারী ভবসিদ্বিকে এই ঘটনা জানালে ভগবান নৃসিংহদেবের চোখ পরিবর্তন করার কথা তিনি শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুকে জানান।

জননিবাস প্রভু তার ভুল বুঝতে পেরে তার পরদিনই ফের সেই লাল চক্ষু লাগিয়ে দেন।

সেইদিন ভোরের মঙ্গল আরতিতে এসে আত্মরতি মাতাজী দেখেন তার চোখে কোন সমস্যা নেই বরং তিনি আগের চেয়ে অনেক ভাল দেখতে পারছেন।

তার একদিন পর ভবসিদ্বি তার বাঙ্কে ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ তার বাঙ্কটি কেঁপে উঠল। সে ভাবল— সময় হয়ে গেছে, মঙ্গল আরতিতে যেতে হবে, তাই নীচে পূজারী শুয়ে থাকা বোধ হয় তাকে ডাকছে।

চোখ মেলে দেখে— শ্ৰীনসিংহদেব তার তার বিছানায় বসে। সেই ভাগ্যবান আতঙ্কিত পূজারী ওঠার চেষ্টা করতেই ভগবান তার দুইকাঁধ চেপে ধরেন। তার করদ্ধয় যেন ব্ৰহ্মাণ্ডের ভার বহন করছে।

ভগবান তাকে সাত্মনা দিয়ে বললেন— “ শান্ত হও! শান্ত হও! আমি তোমায় শুধু বলতে এসেছি যে, যখন তুমি মন্দিরে আমার সেবা কর, আমাকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভয় ত্যাগ কর”।

তারপরেই তিনি অন্তর্হিত হলেন।

কিন্তু ভবসিদ্ধি চক্ৰভবনের বারান্দায় এক প্ৰান্ত থেকে অপর পান্ত পৰ্যন্ত ছুটোছুটি করতে থাকে। ভক্তরা তাকে জিজ্ঞাসা করবে— “কি হয়েছে ? ” — তারা কিছু অসংলগ্ন উত্তর পায়। 

শেষে ভবসিদ্ধি ছুটে যায় নৃসিংহদেবের মন্দিরে এবং আকুতিভরে ভগবানকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণতি নিবেদন করে প্রার্থনা জানাতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে সে একটু শান্ত হয় এবং ঘরে ফিরে আসে। সে ভাবতে থাকে, কেন সবাই তার দিকে অজ্ঞতভাবে তাকিয়ে আছে। তারপর সে উপলব্ধি করে— তাইতো , সে রাতের পোশাক পরেই মন্দিরে গিয়েছিল।

তারপর গত গৌর-পূৰ্ণিময় ভবসিদ্ধির সাথে শ্রীপাদ পঙ্কজাঙঘ্রীর দেখা হয়েছিল— ও এখন আমেরিকায় থাকে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ও বলেছিল— “ হ্যা! আমার কাধে এখনও ভগবান নৃসিংহদেবের দুই হাতের চিহ্ন বৰ্তমান। যদিও অনেকটা মুছে গেছে , তবুও বোঝা যায়”।

সেই কেবল নৃসিংহদেবের দৰ্শন পেয়েছে তা নয়। এমন আরও অনেক ভক্ত ভগবান নৃসিংহদেবের দর্শন লাভ করেছেন...... (১)


 হরেকৃষ্ণ ''জয় নৃসিংহ ভগবান কি... জয়!''


**শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম**

        প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা একবার হতেই পারে, ।


(১) ওঁ নরসিংহায় নমঃ

(২) ওঁ মহাসিংহায় নমঃ

(৩) ওঁ দিব্যসিংহায় নমঃ

(৪) ওঁ মহাবলায় নমঃ

(৫) ওঁ উগ্রসিংহ্যায় নমঃ

(৬) ওঁ মহাদেবায় নমঃ 

(৭) ওঁ স্তম্ভজায় নমঃ 

(৮) ওঁ উগ্রলোচনায় নমঃ

(৯) ওঁ রৌদ্রায় নমঃ

(১০) ওঁ সর্বাদ্ভুতায় নমঃ

(১১) ওঁ শ্রীমতে নমঃ

(১২) ওঁ যোগানন্দায় নমঃ

(১৩)ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ

(১৪) ওঁ হরয়ে নমঃ

(১৫) ওঁ কোলাহলায় নমঃ

(১৬) ওঁ চক্রিনে নমঃ

(১৭) ওঁ বিজয়ায় নমঃ

(১৮) ওঁ জয়বর্ধনায় নমঃ

(১৯) ওঁ মহানন্দায় নমঃ

(২০) ওঁ পঞ্চননায় নমঃ 

(২১) ওঁ পরব্রহ্মণে নমঃ

(২২) ওঁ অঘোরায় নমঃ

(২৩) ওঁ ঘোরবিক্রমায় নমঃ

(২৪) ওঁ জ্বলন্মুখায় নমঃ

(২৫) ওঁ মহোজ্বলায় নমঃ

(২৬) ওঁ জ্বলমালিনে নমঃ

(২৭) ওঁ মহাপ্রভবে নমঃ

(২৮) ওঁ নীতলাক্ষায় নমঃ

(২৯) ওঁ সহস্রাক্ষায় নমঃ

(৩০) ওঁ দুর্নিরীক্ষায় নমঃ

(৩১) ওঁ প্রতাপনায় নমঃ

(৩২) ওঁ মহাদংষ্ট্রায়ুধায় নমঃ

(৩৩) ওঁ প্রজ্ঞায় নমঃ

(৩৪) ওঁ চন্ডকোপিনে নমঃ

(৩৫) ওঁ সদাশিবায় নমঃ

(৩৬) ওঁ হিরণ্যকশিপুধ্বংসিনে নমঃ

(৩৭) ওঁ দৈত্যদানবভঞ্জনায় নমঃ

(৩৮) ওঁ গুণভদ্রায় নমঃ

(৩৯) ওঁ মহাভদ্রায় নমঃ

(৪০) ওঁ বলভদ্রায় নমঃ

(৪১) ওঁ করালায় নমঃ

(৪২) ওঁ বিকরালায় নমঃ

(৪৩) ওঁ বিকর্তে নমঃ

(৪৪) ওঁ সর্বকর্তৃকায় নমঃ

(৪৫)ওঁ শিশুমারায় নমঃ

(৪৬) ওঁ ত্রিলোকাত্মনে নমঃ

(৪৭) ওঁ ঈশায় নমঃ

(৪৮) ওঁ সর্বেশ্বরায় নমঃ

(৪৯) ওঁ বিভবে নমঃ

(৫০) ওঁ ভৈরবডম্ভরায় নমঃ

(৫১) ওঁ দিব্যায় নমঃ

(৫২) ওঁ অচ্যুতায় নমঃ

(৫৩) ওঁ মাধবায় নমঃ

(৫৪) ওঁ অধোক্ষজায় নমঃ

(৫৫) ওঁ অক্ষরায় নমঃ

(৫৬) ওঁ সর্বায় নমঃ

(৫৭) ওঁ বনমালিনে নমঃ

(৫৮) ওঁ বরপ্রদায় নমঃ

(৫৯) ওঁ বিশ্বম্ভরায় নমঃ

(৬০) ওঁ অদ্ভুতায় নমঃ

(৬১) ওঁ ভব্যায় নমঃ

(৬২) ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ

(৬৩) ওঁ পুরুষোত্তমায় নমঃ

(৬৪)ওঁ অনঘাস্ত্রায় নমঃ

(৬৫) ওঁ নখাস্ত্রায় নমঃ

(৬৬) ওঁ সূর্যজ্যোতিষে নমঃ

(৬৭) ওঁ সুরেশ্বরায় নমঃ

(৬৮) ওঁ সহস্রবাহবে নমঃ

(৬৯) ওঁ সর্বজ্ঞায় নমঃ

(৭০) ওঁ সর্বসিদ্ধিপ্রদায়কায় নমঃ

(৭১) ওঁ বজ্রদংষ্ট্রায় নমঃ

(৭২) ওঁ বজ্রনখায় নমঃ

(৭৩) ওঁ পরন্তপায় নমঃ

(৭৪) ওঁ সর্বমন্ত্রৈকরূপায় নমঃ

(৭৫) ওঁ সর্বযন্ত্রাত্মকায় নমঃ

(৭৬) ওঁ সর্বযন্ত্রবিদারকায় নমঃ

(৭৭) ওঁ অব্যক্তায় নমঃ

(৭৮) ওঁ সুব্যক্তায় নমঃ

(৭৯) ওঁ ভক্তবৎসলায় নমঃ

(৮০) ওঁ বৈশাখশুক্লোদ্ভুত্যায় নমঃ

(৮১) ওঁ শরণাগত বৎসলায় নমঃ

(৮২) ওঁ উদারকীর্তয়ে নমঃ

(৮৩) ওঁ পূণ্যাত্মনে নমঃ

(৮৪) ওঁ মহাত্মনে নমঃ

(৮৫) ওঁ চন্ডবিক্রমায় নমঃ

(৮৬) ওঁ বেদত্রয় প্রপূজ্যায় নমঃ

(৮৭) ওঁ ভগবতে নমঃ

(৮৮) ওঁ পরমেশ্বরায় নমঃ

(৮৯) ওঁ শ্রীবৎসাঙ্কায় নমঃ

(৯০) ওঁ শ্রীনিবাসায় নমঃ

(৯১) ওঁ জগদব্যাপিনে নমঃ

(৯২) ওঁ জগন্ময়ায় নমঃ

(৯৩) ওঁ জগতপালায় নমঃ

(৯৪) ওঁ জগন্নাথায় নমঃ

(৯৫) ওঁ মহাকায়ায় নমঃ

(৯৬) ওঁ দ্বিরূপভৃতে নমঃ

(৯৭) ওঁ পরমাত্মনে নমঃ

(৯৮) ওঁ পরংজ্যোতিষে নমঃ

(৯৯) ওঁ নির্গুনায় নমঃ

(১০০) ওঁ নৃকেশরীণে নমঃ

(১০১) ওঁ পরমাত্মায় নমঃ

(১০২) ওঁ পরতত্ত্বায় নমঃ

(১০৩) ওঁ পরমধাম্নে নমঃ

(১০৪) ওঁ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহায় নমঃ

(১০৫) ওঁ সর্বাত্মনে নমঃ

(১০৬) ওঁ ধীরায় নমঃ

(১০৭) ওঁ প্রহ্লাদপালকায় নমঃ

(১০৮) ওঁ লক্ষ্মীনৃসিংহায় নমঃ

      জয়  নৃসিংহ দেব 

      জয় প্রহ্লাদ মহারাজ

      জয় শ্রীল প্রভুপাদ


আমাদের সনাতনী সমাজের প্রতি অনুরোধ, আসুন আমরা প্রতিদিন ভক্তি সহকারে ভগবান নৃসিংহদেব কে স্মরণ করে এই কবচটি পাঠ করি। 


এই কবচ অনেক শক্তিশালী সমস্ত বিগ্ন বিনাশ করার জন্য। আশা করি সবরকম ভয়াবহতা থেকে নৃসিংহ ভগবান আমাদের রক্ষা করবেন।

              নৃসিংহকবচং


              নারদ উবাচ

ইন্দ্রাদিদেব বৃন্দেশ তাতেশ্বর জগত্পতে ।     মহাবিষ্ণোর্নৃসিংহস্য কবচং ব্রুহি মে প্রভো য়স্য প্রপঠনাদ্ বিদ্বান্ ত্রৈলোক্যবিজয়ী ভবেত্ 

॥ ১॥ 


ব্রহ্মোবাচ শৃণু নারদ বক্ষ্যামিপুত্রশ্রেষ্ঠ তপোধন । 

কবচং নরসিংহস্য ত্রৈলোক্যবিজয়াভিধম্ 

॥ ২॥


য়স্য প্রপঠনাদ্ বাগ্মী ত্রৈলোক্যবিজয়ী ভবেত্ । স্রষ্ঠাঽহং জগতাং বত্স পঠনাদ্ধারণাদ্ য়তঃ

॥ ৩॥ 


লক্ষ্মীর্জগত্ত্রয়ম্ পাতি সংহর্তা চ মহেশ্বরঃ । পঠনাদ্ধারণাদ্দেবা বভুবুশ্চ দিগীশ্বরাঃ

॥ ৪॥ 


ব্রহ্ম মন্ত্রময়ং বক্ষ্যে ভূতাদিবিনিবারকম্ । 

যস্য প্রসাদাদ্দুর্বাসাস্ত্রৈলোক্যবিজয়ী মুনিঃ । 

পঠনাদ্ ধারণাদ্ য়স্য শাস্তা চ ক্রোধভৈরবঃ 

॥ ৫॥ 


ত্রৈলোক্যবিজয়স্যাস্য কবচস্য প্রজাপতিঃ । ঋষিশ্ছন্দশ্চ গায়ত্রী নৃসিংহ দেবতা বিভুঃ । 

চতুর্বর্গে চ শান্তৌ চ বিনিয়োগঃ প্রকীর্ত্তিতঃ 

॥ ৬॥ 


ক্ষ্রৌং বিজং মে শিরঃ পাতু চন্দ্রবর্ণো মহামনুঃ । উগ্রবীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তঃ সর্বতোমুখম্ । 

নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহম্ 

॥ ৭॥ 


দ্বাত্রিংশাদক্ষরো মন্ত্রঃ মন্ত্ররাজঃ সুরদ্রুমঃ । 

কণ্ঠং পাতু ধ্রুবম্ ক্ষ্রৌং হৃদ্ভগবতে চক্ষুষী মম 

॥ ৮॥


নরসিংহায় চ জ্বালামালিনে পাতু মস্তকম্ । 

দীপ্তদংষ্ট্রায় চ তথাগ্নিনেত্রায় চ নাসিকাম্ 

॥ ৯॥ 


সর্বরক্ষোঘ্নায় দেবায় সর্বভূতবিনাশায় চ । সর্বজ্বরবিনাশায় দহ দহ পচ দ্বয়ম্ 

॥ ১০॥

 

রক্ষ রক্ষ সর্বমন্ত্রম্ স্বাহা পাতু মুখং মম । 

তারাদি রামচন্দ্রায় নমঃ পায়াদ্গূহ্যং মম 

॥ ১১॥

 

ক্লীং পায়াত্পাণিয়ুগ্মংশ্চ তক্রম্ নমঃ পদম্ ততঃ । নরায়ণাঽপ্রসবম্ চ আং হ্রীং ক্রৌং ক্ষ্রৌং চং হুং ফট্ 

॥ ১২॥ 


ষডক্ষরঃ কটিং পাতু ওঁ নমো ভগবতে  পদম্।

বাসুদেবায় চ পৃষ্ঠং ক্লীং কৃষ্ণায় উরুদ্বয়ম্ 

॥ ১৩॥


ক্লীং কৃষ্ণায় সদা পাতু জানুনী চ মনূত্তমঃ ।

ক্লীং গ্লৌং ক্লীং শ্যামলাঙ্গায় নমঃ পায়াত্পদদ্বয়ম্ 

॥ ১৪॥ 


ক্ষ্রৌং নরসিংহায় ক্ষ্রৌংশ্চ সর্বাঙ্গং মে সদাঽবতু 

॥ ১৫॥   


ইতি তে কথিতং বত্স সর্বমন্ত্রৌঘ বিগ্রহম্ । তবস্নেহান্ময়া খ্যাতং প্রবক্তব্যং ন কস্যচিত্ 

॥ ১৬॥ 

গুরুপূজা বিধায়াথ গৃহণীয়াত্ কবচং ততঃ । সর্বপুণ্যয়ুতো ভূত্বা সর্বসিদ্ধিয়ুতো ভবেত্ ॥ ১৭॥ 


শতমষ্টোত্তরং চৈব পুরশ্চর্যাবিধি স্মৃতঃ ।

 হবনাদীন্ দশাংশেন কৃত্বা সাধকসত্তমঃ 

॥ ১৮॥ 


ততস্তু সিদ্ধ কবচঃ পুণ্যাত্মা মদনোপমঃ ।

স্পর্দ্ধামুদ্ধয় ভবনে লক্ষ্মীর্বাণী বসেত্ ততঃ 

॥ ১৯॥ 

পুষ্পাঞ্জল্যাষ্টকম্ দত্বামূলে নৈব পঠেত্ সকৃত্ । 

অপি বর্ষসহস্রাণাম্ পূজায়াঃ ফলমাপ্নুয়াত্ 

॥ ২০॥ 


ভূর্জে বিলিখ্য গুটিকাম্ স্বর্ণস্থাম্ ধারয়েত্ য়দি ।

কণ্ঠে বা দক্ষিণে বাহৌ নরসিংহো ভবেত্ স্বয়ম্ 

॥ ২১॥ 


য়োষিদ্বামভুজে চৈব পুরুষো দক্ষিণে করে । 

বিভৃয়াত্ কবচং পুণ্যম্ সর্বসিদ্ধিয়ুতো ভবেত্ 

॥ ২২॥ 


কাকবন্ধ্যা চ য়া নারী মৃতবত্সা চ য়া ভবেত্ । 

জন্মবন্ধ্যা নষ্টপুত্রা বহুপুত্রবতী ভবেত্ 

॥ ২৩॥ 


কবচস্য প্রসাদেন জীবন্মুক্তো ভবেন্নরঃ । 

ত্রৈলোক্য ক্ষোভয়ত্যেব ত্রৈলোক্যং বিজয়ী ভবেত্ ॥ ২৪॥ 


ভূতপ্রেতপিশাচাশ্চ রাক্ষসা দানবশ্চ য়ে । 

তং দৃষ্ট্বা প্রপলায়ন্তে দেশাদ্দেশান্তরং ধ্রুবম্ 

॥ ২৫॥ 


য়স্মিন্ গেহে চ কবচং গ্রামে বা য়দি তিষ্ঠতি । 

তং দেশন্তু পরিত্যাজ্য প্রজান্তি জাতি দূরত্ব।।

Post a Comment

0 Comments