ছবিতে দেখা যাচ্ছে- একজন লোক 

একটি হাতিকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে তুলছে। 

এমন নয় যে, লোকটির ধাক্কায় হাতিটি উপরে উঠে যাবে। বিষয়টি হলো- লোকটি হাতির পেছনে হাত রাখাতে হাতিটি বুঝতে পারছে তাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য কেউ আছে। এই ভরসায় হাতিটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে সমর্থ হবে। এটাই প্রেরণা। জীবনে প্রত্যেক টা সফল মানুষের পিছনে একটা গল্প থাকে। 


আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছেন যারা ব্যর্থ হয়েছেন, কারণ তাদের সমর্থন বা উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না; উঠে দাঁড়ানোর জন্যেও কারো হাত লাগে।


আমরা অন্যকে সহযোগিতা করতে সক্ষম নাও হতে  পারি; তবে কারো কঠিন সময়ে তার পাশে থেকে উৎসাহ নিশ্চয়ই দিতে পারি। ভালোবাসা, ইতিবাচক সহযোগিতা এবং ভরসার মাধ্যমে যদি কেউ উঠে দাঁড়াতে পারে, কারো জীবন পরিবর্তন হয়, এর চেয়ে উত্তম কাজ আর কিছু নেই।


একইভাবে আমাদের গুরুবর্গ ও ভক্তরা অনাদি কাল হতে মায়াজাল হতে উদ্ধার করে ভগবানের ধামে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উৎসাহে আমরা যদি একটু চেষ্টা করি কলিযুগে সহজে ভগবানের ধামে প্রত্যবর্তন করতে পারি। ভগবান শ্রীমদ্ভগবদ গীতায় বলছেন -

অন্তকালে চ মামেব স্মরন্মুক্তা কলেবরম্।

যঃ প্রয়াতি স মদ্ভাবং যাতি নাস্ত্যত্র সংশয়ঃ।।৮/৫।।

অনুবাদঃ মৃত্যুর সময়ে যিনি আমাকে স্মরণ করে দেহত্যাগ করেন, তিনি তৎক্ষণাৎ আমার ভাবই প্রাপ্ত হন। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।


ভগবানকে সর্বদায় স্মরণ করার কৌশল শিক্ষা দিয়েছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। আমরা যদি প্রতিদিন ভগবানের দিব্য নাম জপ ও কীর্তন করি তাহলে মৃত্যুর সময় সহজে ভগবানের দিব্য নাম স্মরণ করতে পারবো।


আসুন প্রতিদিন নিজের পরম উপকারের জন্য ভগবানের দিব্য নামের আশ্রয় নিয়।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।

 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 



Post a Comment

0 Comments