জগন্নাথের নবকলেবর


#ভগবানজগন্নাথেরলীলা🛑

              

             🌿পর্ব-🔸১৪🔸

         

         ✅#জগন্নাথের_নবকলেবর✅


🌿সাধারণ ভক্তের মনে নব কলেবর কেন হয় এবং এর বিশেষত্ব কি এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যে বছর জোড়া আষাঢ় পড়ে সেই বছরটি শ্রী জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার নব কলেবর হয়। নব কলেবর অর্থাত্‍ প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রা ও সুদর্শনের নতুন বিগ্রহ প্রস্তুতির পরে ব্রহ্ম পরিবর্তন নবযৌবন দর্শন এবং রথ যাত্রা উত্‍সব।


▪️বিগ্রহের প্রস্তুতির জন্য দারু অন্বেষণ যা কাকটপুরের মা মঙ্গলার স্বপ্নাদেশে বনযাগ যাত্রা নামে বলা হয়।

এই যাত্রা থেকে নব কলেবরের প্রস্তুতি পর্ব আরম্ভ। নব-কলেবর সম্বন্ধে কিছু তথ্য-


▪️যে বছর জোড়া আষাঢ় পড়ে সেই বছরটি শ্রী জগন্নাথ, বলভদ্র ও দেবী সুভদ্রার নব কলেবর হয়। সাধারণত জোড়া আষাঢ় ৮, ১২ ,১৬ কিম্বা ১৯ বছর পর পড়ে। বিংশ শতাব্দীর নব কলেবর যাত্রা প্রথমে ১৯১২, ১৯৩১, ১৯৫০, ১৯৬৯, ১৯৭৭ এবং ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। ২০১৫ সালে নব কলেবর যাত্রা ১৯ বছর বাদে পড়েছে।


✅বনযাগ যাত্রা-


▪️পুরীর গজপতি রাজা শ্রী দিব্য সিংহ দেব রাজগুরুকে পৈতে, বস্ত্র এবং সুপুরি প্রদান করে বনযাগ যাত্রার জন্য আদেশ দেন। এই পরম্পরাকে গজপতি "রাজার আজ্ঞা" বলে বলা হয়। সেই থেকে বনযাগ যাত্রার শুভারম্ভ হল।


🔸নব কলেবর নিমিত্ত তিন ঠাকুরের জন্য যে বৃক্ষ চিহ্নিত করা হয় তার লক্ষণ গুলো নিম্ন লিখিত অনুসারে নির্বাচন করা হয়-


✅১. বৃক্ষটি নিম বৃক্ষ হওয়া প্রয়োজন।

✅২. বৃক্ষের অনতিদূরে ঊই ঢিপি, নদী, শ্মশান কিংবা পুকুর থাকা অনিবার্য। বৃক্ষের কাছে বেল গাছ, তুলসী গাছ থাকা প্রয়োজন।

✅৩. বৃক্ষে কোন পাখির বাসা থাকবে না, ঊই ঢিপির কাছে গোখরো সাপ গাছটিকে পাহারা দিতে দেখা যাবে।

✅৪. বৃক্ষের কোন অংশ কীট পতঙ্গ দ্বারা আক্রান্ত, কিংবা বজ্র পাতের চিহ্ন থাকবে না। পূর্বে কোন ডাল কাটা থাকবে না। কোন রকম খুঁত থাকা চলবে না।

✅৫. সেই বৃক্ষে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম চিহ্ন থাকা প্রয়োজন।

✅৬. বৃক্ষটি ১২ ফুট লম্বা, সোজা এবং মোটা হওয়া প্রয়োজন যাতে অনায়াসে বিশ্বকর্মার দ্বারা বিগ্রহ নির্মাণ কর্ম সুসম্পন্ন হবে।


উপরোক্ত লক্ষণ গুলো অনিবার্য এবং তারপর অন্বেষণকারী দল ঠিক করে পবিত্র দারু নির্বাচন করেন। এরপর দারু নির্বাচন কার্য সুসম্পন্ন হয়।


Post a Comment

0 Comments