#সহ্য_শক্তি

 

এক শিষ্যা তার গুরুদেবকে বললেন, গুরুমহারাজ আমি যেখানে আছি সেখানকার ভক্তদের অনেক অনেক সমস্যা। এটা ভালো না ওটা ভালো না।গুরুদেব অনেক শাস্ত্র দিয়ে বুঝানোর পরও শিষ্যার হৃদয়ের পরিবর্তন হলো না। শিষ্যার শিক্ষার জন্য গুরুমহারাজ উত্তরে বললেন ঠিক আছে তাদের সঙ্গ করো না অন্য ভক্তি সেন্টারে যাও তাদের সঙ্গ কর।


কয়েকমাস পর গুরুমহারাজের সাথে আবার সাক্ষাৎ করতে এসে আবার বললেন, "গুরুমহারাজ এখন যেখানে আছি সেখানকার ভক্তরাও ভালো না,তাদের অনেক অনেক সমস্যা। তাদের সঙ্গ আমার ভালো লাগে না"


উত্তরে মহারাজ একই কথা বললেন অন্য কোন সেন্টারে ভক্ত সঙ্গ কর। এভাবে মাতাজি বহুবার একই অভিযোগ নিয়ে গুরুমহারাজের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন। 


গুরুমহারাজ তার শিষ্যকে বললেন, কেউ যখন আত্নকেন্দ্রীক সুখের অনুসন্ধান করে তখন তার কাউকে ভালো লাগে না কারো সঙ্গ ভালো লাগে না,কাউকে সহ্য করতে পারে না। কারো ভালো কারো সুখ কারো জনপ্রিয়তা কারো প্রশংসা সহ্য হয় না। 


গুরুমহারাজ তখন শিষ্যাকে বললেন অল্প কয়েকজন ভক্তের সাথে মিলেমিশে চলতে পারছোনা তাহলে গোলক বৃন্দাবনে তুমি এত এত ভক্তের সাথে কিভাবে থাকবে?


দুঃখালয় এ সংসারে আত্নকেন্দ্রীক সুখের আশায় আমরা যখন বিভোর হয়ে যায় তখন সদগুরুদেবের কৃপাও আমাদের পরিবর্তন করতে পারে না। অপরকে সহ্য করার শক্তি না অর্জন করলে শাস্ত্রজ্ঞানও কাজে লাগে না। 


আমাদের উচিত বৈষ্ণব হিংসা পরিহার করে উদার হওয়া। আর কেন আমরা অন্যদের সহ্য করতে পারছিনা তার কারনগুলো নিজের মধ্যে আবিষ্কার করা। নিজের এ চরম দুর্দশা থেকে মুক্তির প্রচেষ্টা করলেই কেবল অন্য ভক্তদের সহ্য করতে পারবো।

Post a Comment

0 Comments