এক শিষ্য তার গুরুর আদেশে ভিক্ষা করতে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষা করতে করতে গ্রামের এক প্রান্তে পৌঁছে এক তান্ত্রিকের বাড়িতে গিয়ে দরজাতে কড়া নাড়তে তান্ত্রিক বাড়ির দরজাতে আসে ও বলে এখন থেকে কাউকে ভিক্ষা দেওয়া হয় না , এবং ওই শিষ্য কে অভিসম্পাত করে আর বলে আজ রাত্রি তোর মৃত্যু অনিবার্য আমার বাড়িতে কেউ আসে না। আর আমার অভিসম্পাত কখনো বিফল হয় না। তান্ত্রিক খুব অহংকারী ছিল । ওখানে থেকে শিষ্য আশ্রমে ফিরে আসে গুরুদেবের কাছে গুরুদেব জিজ্ঞাসা করে তাকে তুমি আমার জন্য ভিক্ষা করে কি এনেছ গুরুদেব কে ওই শিষ্য বললেন প্রভু আপনার জন্য আমি মৃত্যু ভিক্ষা করে এনেছি। এবং গুরুদেব কে সমস্ত ঘটনা টি খুলে বলেন ওই শিষ্য । গুরুদেব সমস্ত ঘটনা শুনে মৃদু হেঁসে বললেন তুমি আহার করে বিশ্রাম নাও । শিষ্য চিন্তা করছে আর তো মাত্র কিছু সময় বাঁচবো আমি । বিকেল হয়ে যখন সন্ধ্যা হতে চলেছে তখন ওই শিষ্য খুব চিন্তায় পড়ে গেলো আর ভাবছে আর সময় নেই মরণ আমার দোর গড়ায় । গুরুদেব রাত্রের আহার সেরে ওই শিষ্য কে আদেশে দিলেন আজ রাত্রে গুরুদেবের পা টিপে দেওয়ার জন্য আর বললো যত বিপদ আসুক না কেনো পা ছেড়ে চলে না যায় । গুরুদেবের কথা অনুযায়ী শিষ্য গুরুদেবের পা ধরে বসে ছিলেন । এদিকে তান্ত্রিক তার দেওয়া অভিশাপ কার্যকর করার জন্য এক দেবী কে পাঠালেন ওই শিষ্য এর কাছে ওই দেবী আশ্রমের দরজাতে এসে ওই শিষ্য কে ডাকলেন আর বললেন আমার কাছে অনেক ধনসম্পত্তি আছে তা ওই শিষ্য কে দিতে চায় । ওই শিষ্য উত্তর দিলেন গুরুর আদেশে আমি যেনো তার পা ছেড়ে না যাই । তাই যদি দিতে হয় তাহলে এসে দিয়ে যান প্রথম পহরে ওই দেবী ফিরে গেলেন । দ্বিতীয় পহরে এক পিচাশ কে ওই শিষ্য র মায়ের রূপ নিয়ে যেতে বললেন ওই তান্ত্রিক ঠিক একই ভাবে মায়ের রূপ ধরে আশ্রমের দরজাতে এসে দাঁড়ান আর বলেন খোকা অনেক দিন তোকে দেখিনি কাছে আয় বাবা । ওই শিষ্য বললেন মা গুরুর আদেশে আমি তার পা ছেড়ে যাব না তুমি আমার কাছে আসো । মা রুপী পিচাশ ফিরে গেলেন । তৃতীয় পহরে জম দূত রূপে আসে আরো একজন তাকেও ওই একই উত্তর দিলেন যমদূত ফিরে গেলেন তখন প্রায় ভোর হয়ে গেছে পাখিরা আহারের খোঁজে নিজ বাসাথেকে বেরিয়ে পড়েছে । গুরুদেব নিদ্রথেকে উঠে শিষ্য কে বললেন তুমি এখনও জীবিত আছো মরণ তোমাকে পর্শ করতে পারেনি তান্ত্রিকের অভিশাপ কোনো কাজে লাগেনি ।
### যদি কেউ গুরুর চরণ ধরে থাকে যত বিপদ আসুক না কেনো কিছুই হবে না ###
0 Comments