শিক্ষণীয় গল্প:
একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল।
একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত।
পুরো দুই বছর ধরে,এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন।
অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না।
দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না।
বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ,তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি! আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুল গুলিকে তুমি নিজের অজান্তে প্রতিদিন যখন আমরা ফিরে যাই,
তুমি তাদের জল দাও।
আমি দু'বছর ধরে ওখান থেকে ফুল তুলে এনে আমার টেবিলের সাজিয়ে রাখি। তুমি অপূর্ন না হতে তাহলেই ফুল ফুটতো না, এ ফুল আমি পেতাম না
গল্পের নৈতিক:
আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্বতন্ত্র ত্রুটি রয়েছে। এগুলি নিয়ে খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই। জীবনকে নিজের ছন্দে, নিজের মতো করে চলতে দেয়া উচিত। এতে জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। ত্রুটিযুক্ত মানুষের ভেতরে যে সৎ গুনাবলী আছে, সেগুলোর সদব্যবহার যদি আমরা করতে পারি তাতে সুন্দর হয় সমাজ, সমৃদ্ধ হয় দেশ।
0 Comments