রাধাকুন্ডের সাথে গুরুমহারাজের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক.....‼️
পুন্ডরিক ধামে রাধাকুণ্ড রয়েছে। আর গুরু মহারাজ যখন পুন্ডরিক ধামে আসতেন সে রাধাকুণ্ডে পদ্মাসনে শুয়ে জলের উপরে একটা ভেলার মত ভাসতেন। ভেসে ভেসে পরিক্রমা করতেন। আর এই রকম সাতবার পরিক্রমা করে শেষে মাঝখানে ডুব দিতেন। ডুব দিয়ে উনি দুই ঘণ্টা নিখোঁজ থাকতেন। তো সব ভক্তরা ভাবতেন আরে কি করে উনি এতক্ষণ জলে ডুব দিয়ে আছেন। নিশ্চই জলের নিচে ধ্যান করছেন। কারণ চট্টগ্রামের লোকেরা বেশির ভাগই যোগী ছিলেন। তো তারা মনে করতেন গুরু মহারাজ বুঝি ধ্যান করছেন। তো উনি কি করতেন কাউকে বলতেন না। পরে এই ৮৭ সনের দিকে আমাদের ধামের দক্ষিণ পাশে শীল বাড়ির একটা ছোটো বাচ্চা ছেলে, রাধাকুণ্ডের ঘাটে আম গাছ থেকে আম পারছিল।খুব সুমিষ্ট আম ছিল। তো ওই আম রাধাকুন্ডের জলে পড়েছে, সেই ছেলেটা আম তুলতে গিয়ে জলের মধ্যে ডুবে গিয়ে ছিল। বাকি ছেলেরা যারা দেখেছিল তারা বাড়ি গিয়ে বলেছে। ওরা ডুবুরি আনলো, অনেক কিছু আনলো। অনেক খোঁজ খবর করলো। কিন্তু পেলো না। দুইদিন অতিক্রম হবার পরে সেই বাচ্চা ঘরে ফিরে এসেছিল এবং সেই বাচ্চার শরীরে প্রচণ্ড তেজ সৌন্দর্য্য, মানে আগে অনেকটা কালো ছিল, এখন অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। তো এখন মা জিজ্ঞাসা করেছেন, তুমি কোথায় ছিলে? ছেলেটি কিছুই বলছিল না। এখন বাবা জিজ্ঞাসা করছে, কিছু বলছে না। তো তাদের একটু সন্দেহ হয়েছে। এইজন্য যে দুইদিন তার কোনো খোঁজ ছিল না।ভাবছে বাচ্চাটা মিথ্যা বলেছে কি না। কোনো ভূত প্রেত পেয়েছে কি না। কোনো উত্তর না পেয়ে মা বাবা ছেলেটাকে খুব প্রহার করেছে। আর যখন অসহ্য প্রহার করেছে, বাচ্চাটা আর না সহ্য করতে পেরে বলে দিয়েছে যে, আমি রাধা কুণ্ডের নিচে একটা অন্তঃ কুন্ড আছে,ওখানে লক্ষ্মী-জনার্দনের দিব্য বিগ্রহ আছে। সুবর্ণ বিগ্রহ, স্বর্ণ নির্মিত বিগ্রহ, দেবতারা গন্ধর্বরা ওখানে এসে পূজা করেন। আর ওখানে ওরা পায়েস ভোগ লাগায়।প্রমাণ স্বরুপ এখনও লক্ষ্মী-জনার্দনের যে বিগ্রহ আছে পুন্ডরিক বিদ্যানিধির আরাধ্য কালাচাঁদ ঠাকুর বোয়ালখালিতে, সেখানে এখনও পায়েস ভোগ হয় অন্ন ভোগ হয় না। বৎসরে একদিন অন্ন ভোগ হয়। তো সেই বিগ্রহের পরমান্ন আমাকে দিয়েছে, যার ফলে আমার আর ক্ষুদা আসে না। আর বলছে একথা আর কাউকে না বলতে। বললে আমি মরে যাবো। এই কথা বলার পর পরই তার মুখ দিয়ে রক্ত বমি হতে হতে বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। তখন সবাই বুঝতে পরে গুরু মহারাজ সেই অন্তঃ কুণ্ডের মধ্যে লক্ষ্মী-জনার্দনের সেবাই করতেন। এই হচ্ছে আমাদের পরমারাধ্য গুরু মহারাজ।
0 Comments