🏵 পানিহাটি চিড়া দধি (দন্ড) মহোৎসব-২০২৪ 🏵

*************************"*******************

💥  আজ ২০ জুন , বৃহস্পতিবার , ২০২৪, 

বাংলা ৫ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ l

  💥  পানিহাটি চিড়া দধি (দন্ড) মহোৎসবে সকল  সাধু  গুরু  বৈষ্ণব গনের  শ্রী চরণে  জানাই  কৃষ্ণময়  শুভেচ্ছা ও অগনিত ভক্তিপূর্ণ  দন্ডবৎ  প্রনাম l🙏

 

🏵 পানিহাটি চিড়াদধি 

উৎসব মাহাত্ম্য :- 🏵

*******************"*************************

💥  শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু দীনহীন পাপী সকলকেই প্রেমভক্তি দান করেন। রাজার ছেলে রঘুনাথ দাস পালিয়ে রাজকীয় জীবন ও রাজকন্যা বিসর্জন দিয়ে পুরীতে মহাপ্রভুর নিকট যান প্রেমভক্তি লাভ করার জন্য। কিন্তু মহাপ্রভু এই প্রেমভক্তি ধন দিলেন না। কারন যার ধন তাকে না জানিয়ে যদি কেউ তা নিয়ে যাবার চেষ্টা করে তবে তাকে চোর বলে।

মহাপ্রভু নিত্যানন্দ প্রভুর সম্পত্তি। রঘুনাথ নিত্যানন্দ প্রভুকে না জানিয়ে, মহাপ্রভুর চরন লাভের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মহাপ্রভু তাকে ফিরিয়ে দেন দুই দুইবার।🙏


💥  একবার নিত্যানন্দ প্রভু পানিহাটিতে হরিনাম ও ভক্তসঙ্গ করবেন জেনে রঘুনাথ সেখানে উপস্থিত হলেন। দূর থেকে নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথকে দেখতে পেলেন ও তাকে কাছে আসার আদেশ দিলেন।

এবার রঘুনাথ নিত্যানন্দ প্রভুর হাতে ধরা পড়লেন, তাই তখন নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথকে চোর বলে সন্বোধন করলেন।


💥   তখন নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথ দাসকে নিকটে এনে স্বীয় কোটি চন্দ্র সুশীতল শ্রীচরন রঘুনাথ দাসের মস্তকে ধারন করে বললেন, ''চোর তোকে আজ শাস্তি দেব। তুমি আমার ভক্তগনকে চিড়াদধি ভোজন করাও''।

নিত্যানন্দ প্রভুর নির্দেশে রঘুনাথ দাস চিড়াদধির মহোৎসব করলেন।

সেই থেকে আজও পানিহাটিতে চিড়াদধি মহোৎসব হয়ে পালিত হয়ে আসছে।🙏


💥  সেই মহোৎসবে স্বয়ং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু অপ্রাকৃত দেহে হাজির হয়ে নিত্যানন্দ প্রভুর আশ্রয়ে রঘুনাথ দাসকে সংসার বিষ্ঠা থেকে উদ্ধার করেন।।🙏



🏵  শ্ৰীরঘুনাথ দাস গোস্বামী কে ছিলেন :- 🏵

*********************************************

💥  শ্ৰীরঘুনাথ দাস গোস্বামী হুগলী জেলার অন্তৰ্গত শ্ৰীকৃষ্ণপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম শ্ৰীগোবৰ্দ্ধন দাস । জ্যেঠার নাম — শ্ৰীহরিণ্যঔম দাস তারা কায়স্থ কুলোদ্ভুত সম্ৰান্ত ধনাঢ্য ভূম্যধিকারী জমিদার ছিলেন । তাদের রাজপ্রদত্ত উপাধি ছিল "মজুমদার'’ । ৫০০ বছর আগে বিশ লক্ষ মুদ্ৰা তাদের বাৎসরিক আয় ছিল । শ্ৰীরঘুনাথ শৈশবে পুরোহিত আচাৰ্য্য শ্ৰীবলরাম দাসের গৃহে অধ্যয়ন করতেন 

শ্ৰীবলরাম দাস শ্ৰীহরিদাস ঠাকুরের কৃপা পাত্ৰ ও শিষ্য ছিলেন । শ্ৰীহরিদাস ঠাকুর মাঝে মাঝে তার গৃহে শুভাগমন করতেন ।🙏


💥  এসময় শ্রীরঘুনাথ শ্ৰীহরিদাস ঠাকুরের মুখে কৃষ্ণের কৃপা প্ৰাপ্তি ও চৈতন্য মহাপ্রভুর তত্ত্ব উপদেশ প্রভৃতি শ্রবণের সৌভাগ্য লাভ করেন । শ্ৰীরঘুনাথ দাস হিরণ্য - গোবৰ্দ্ধানের একমাত্ৰ পুত্র ছিলেন । তার আদর যত্নের সীমা ছিল না। রাজপুত্রের ন্যায় প্রতিপালিত হতেন। কিন্তু শ্রীহরিদাস ঠাকুরের মত সৎসঙ্গ প্ৰভাবে অল্পবয়সে সংসারের অনিত্যতা উপলব্ধি করতে পারলেন । এ সংসারের ধন ,জন , পিতা - মাতা ও স্বজনাদির প্রতি অনাসক্তি ভাবের উদয় হল । ক্ৰমে ভক্ত পরম্পরায় শ্ৰীগৌর - নিত্যানন্দের মহিমা শ্ৰবণ - পূৰ্ব্বক তাদের শ্ৰীচরণ দৰ্শন করবার জন্য উৎকণ্ঠাযুক্ত হয়ে পড়লেন । 


 💥 অতঃপর তিনি যখন শুনলেন শ্ৰীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাস গ্ৰহণ করে নদীয়া থেকে চির বিদায় নিয়ে চলেছেন দেশান্তরে তখন তিনি পাগল প্ৰায় হয়ে ছুটে এলেন শান্তিপুরে শ্ৰীঅদ্বৈত আচাৰ্য্যর গৃহে । সেখানে শ্ৰীগৌরসুন্দরের শ্ৰীচরণ দৰ্শন লাভ করলেন । লুটিয়ে পড়লেন শ্ৰীীরঘুনাথ প্রভুর শ্ৰীচরণ যুগলে । প্ৰভু দেখে বুঝতে পেরেছেন এ তার নিত্যপ্রিয়জন ।আনন্দে শ্ৰীরঘুনাথকে দৃঢ় আলিঙ্গন করলেন । শ্ৰী রঘুনাথ কাঁদতে কাঁদতে বললেন আপনার সঙ্গে আমিও যাব । 

তখন মহাপ্ৰভু বললেন, ''মৰ্কট বৈরাগ্য না কর লোক দেখাএা । যথাযোগ্য বিষয় ভুঞ্জ অনাসক্ত হঞা।

 অন্তরে নিষ্ঠা কর , বাহ্য লোক ব্যবহার। 

অচিরাৎ কৃষ্ণ তোমায় করিবে উদ্ধার।

এত কহি ’ মহাপ্ৰভু তারে বিদায় দিল। 

ঘরে আসি ’ মহাপ্রভুর শিক্ষা আচরিল''।। 

— ( চৈঃচঃ মধ্যঃ)🙏


 💥 মহাপ্ৰভুর — এ আদেশ শুনে শ্ৰীরঘুনাথ ঘরে ফিরে গেলেন এবং বিষয়ী প্ৰায় অবস্থান করে সংসারে কাৰ্য্য করতে লাগলেন । ইহাতে পিতা - মাতা অতিশয় সুখী হলেন। যাতে তাদের পুত্র গৃহে থাকে সেইজন্য শ্রীরঘুনাথকে এক জমিদারের অপ্সরা ন্যায় কন্যার সহিত বিবাহ দিলেন। এক বছর না যেতেই আবার সে সংসার থেকে পালাবার উদ্যত হল। কিন্তু শ্রীগোবর্ধন অনেক গার্ড রাখলেন যেন ও পালাতে না পারে। একদিন শ্ৰীরঘুনাথ চিন্তা করলেন , করুণাময় শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর কৃপা ছাড়া বোধ হয় শ্ৰীগৌরসুন্দরের কৃপা পাওয়া যাবে না । আগে তার শ্ৰীচরণ একবার দৰ্শন করি ।🙏


💥  শ্ৰীরঘুনাথ একদিন বাপ - মাকে বললেন — আমি পানিহাটিতে শ্ৰীরাঘব পণ্ডিতের ঘরে কীৰ্ত্তন - মহোৎসব দৰ্শন করতে যাব । এবার বাপ - মা বাধা দিলেন না , যাবার অনুমতি দিলেন । তার নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে কয়েকজন ভৃত্য দিলেন ও অৰ্থ - কড়ি দিলেন । গঙ্গার পাড় পানিহাটি স্থান শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর প্রভাবে আনন্দময় । গৃহে গৃহে শ্ৰীহরিসংকীৰ্ত্তন মহোৎসব । শ্ৰীরঘুনাথ দাস পানিহাটিতে এসে পরম সুখী হলেন । ক্ৰমে তিনি গঙ্গাতটে যেখানে ভক্তসঙ্গে শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভুবসে আছেন সে স্থানে উপস্থিত হলেন।  অদূর থেকে শ্ৰীরঘুনাথ দেখলেন , গঙ্গাতট আলোকিত করে একটা বৃক্ষমূলে ভক্তগণ সঙ্গে শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভু বসে আছেন । শ্ৰীরঘুনাথ দেখেই দূর থেকে সাষ্টাঙ্গে দণ্ডবৎ হয়ে পড়লেন ।

 শ্রীহিরন্য-গোবর্ধন প্ৰসিদ্ধ জমিদার ।সৰ্ব্বত্র তাদের খ্যাতি । তারা ব্ৰাহ্মণ - বৈষ্ণবের সেবা - পরায়ণ ।


💥  শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্যও  শ্ৰীজগন্নাথ মিশ্ৰ প্ৰভৃতি নবদ্বীপ- শান্তিপুরাদি-নিবাসী পণ্ডিতগণেকে বহু অৰ্থ - কড়ি দানাদি করে সাহায্য করেন।তাদের পুত্ৰ শ্ৰীরঘুনাথ দাস এসেছেন সৰ্ব্বত্ৰ সাড়া পড়ে গেল । শ্ৰীরঘুনাথ দাসের কথা ভক্তগণ শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর শ্ৰীচরণে নিবেদন করলেন । শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভুরঘুনাথ দাসের নাম শুনেই বললেন — ''রে রে চোরা ।

আয় তোকে আজ দণ্ড দিব''।ভক্তগণ শ্ৰীরঘুনাথ দাসকে শ্ৰীনিতানন্দ প্রভুর শ্ৰীচরণে নিয়ে এলেন । শ্ৰীচরণ মূলে রঘুনাথ দাস লুটিয়ে পড়লেন ।করুণাময় নিত্যানন্দ অভয়চরণ তার শিরে ধারণ করলেন , শ্ৰীরঘুনাথের সেই শ্ৰীচরণ - স্পৰ্শমাত্ৰ যেন সব বন্ধন কেটে গেল ।


 💥  সহাস্য বদনে শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু বলতে লাগলেন — ''তুমি আমার ভক্তগণকে চিড়া - দধি ভোজন করাও । এ তোমার দণ্ড''। একথা শুনে শ্ৰীরঘুনাথের আনন্দের সীমা রইল না । তখনই দই-চিড়া মহোৎসবের আয়োজন আরম্ভ হল ।

চারিদিকে লোক প্রেরণ করে দই - চিড়া আনতে লাগলেন । উৎসবের নাম শুনে পসারিগণ দই চিড়া পাকাকলাদি নিয়ে পসার বসাল । শ্ৰীরঘুনাথ দাস মুল্য দিয়ে সমস্ত দ্রব্য খরিদপূৰ্ব্বক নিতে লাগলেন ।

 এদিকে গ্ৰাম গ্ৰামান্তর থেকে ভক্তগণ সজন ব্ৰাহ্মণগণ আসতে লাগলেন । বড় বড় মৃৎকুণ্ডিকার মধ্যে পাঁচ-সাত জন ব্ৰাহ্মণ চিড়া ভিজাতে লাগলেন ।একজন ভক্ত শ্ৰীনিত্যানন্দ ও শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্ৰভুর জন্য চিড়া ভিজাতে লাগলেন । অৰ্দ্ধেক চিড়া দই কলাদিয়ে , আর অৰ্দ্ধেক ঘন দুধ , চিনি চাপা কলা দিয়ে মাখতে লাগলেন ।অনন্তর শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভু বৃক্ষমূলে পিণ্ডার উপর উপবেশন করলেন । তখন তার সামনে চিড়া-দইপূৰ্ণ সাতটা মৃৎকুণ্ডিকা রাখা হল । শ্ৰীনিতানন্দ প্রভুর চারিপার্শ্বে রামদাস , সুন্দরানন্দদাস , গদাধর , শ্ৰীমুরারি , কমলাকর , শ্ৰীপুরন্দর , ধনঞ্জয় , শ্ৰীজগদীশ , শ্ৰীপরমেশ্বর দাস , মহেশ পণ্ডিত , শ্ৰীগৌরীদাস , হোড়কৃষ্ণ দাস , ও উদ্ধারণ দত্ত ঠাকুর প্রভৃতি ভক্তগণ উপবেশন করলেন । 🙏


 💥   নীচে বসলেন অভ্যাগত পণ্ডিত ভট্টাচাৰ্য্যগণ ।

গঙ্গাতটে স্থান না পেয়ে কেহ কেহ গঙ্গায় নেমে চিড়া - দই নিচ্ছেন । সেদিন শ্ৰীরাঘব পণ্ডিতের ঘরে শ্ৰীনিতানন্দ প্রভুর আমন্ত্ৰণ ছিল।বিলম্ব দেখে শ্ৰীরাঘব পণ্ডিত স্বয়ং এলেন । দেখলেন — বিরাট মহোৎসবের ঘটা ঠিক যেন সখীগণ সঙ্গে শ্ৰীকৃষ্ণের বন্য- ভোজন লীলা ।শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু বললেন — রাঘব ! তোমার ঘরের প্রসাদ রাত্ৰে গ্ৰহণ করব ।এখন রঘুনাথ দাসের উৎসব হউক । তুমিও বসো ।এ বলে তাঁকে নিকট বসালেন এবং দই চিড়া ও দুধ - চিড়াপূৰ্ণ দুটা মৃৎকুণ্ডিকা এনে দিলেন ।সকলের চিড়া দেওয়া শেষ হলে শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু মহাপ্রভুর ধ্যানে বসলেন । অন্তৰ্য্যামী শ্ৰীগৌরসুন্দর তার ধ্যানে জানতে পেরে তথায় স্বদেহে এলেন।“মহাপ্ৰভু আইল দেখি নিতাই উঠিলা, তারে লঞা সবার চিড়া দেখিতে লাগিলা''। 🙏


( চৈঃচঃ অন্ত্যলীলা )


 💥   শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু হাস্য করতে করতে সবাকার হোলনা থেকে এক এক গ্ৰাস নিয়ে মহাপ্ৰভুর মুখে দিতে লাগলেন । এইরুপ লীলাপূৰ্ব্বক শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু কিছুক্ষণ ভ্ৰমণ করতে লাগলেন । তারপর নিজ আসনে তিনি বসলেন ও ভক্তগণকে ভোজন করতে আদেশ দিলেন।হাজার হাজার ভক্তগনের মহাস্বরে ''হরি ’ হরি'' ধ্বনিতে দশদিক মুখরিত করতে লাগলেন । শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু ভোজন করছেন না দেখে কেহই ভোজন করছেন না । 

ভক্তগণ অগ্ৰে শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভুকে ভোজন করবার প্রার্থনা জানালেন , শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভু ভোজন আরম্ভ করলেন ।সমস্ত ভক্তগণ আনন্দভরে ভোজন করতে লাগলেন ।সকলের পুলিন ভোজনের কথা মনে হতে লাগল । ভোজন শেষ হলে শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভু শ্ৰীরঘুনাথ দাসকে ডেকে অবশেষ প্ৰদান করলেন ।


💥  এবার শ্ৰীরঘুনাথ দাস শ্ৰীনিতানন্দ কৃপা - প্ৰসাদে শ্ৰীগৌরসুন্দরের কৃপা পাবেন এবিষয়ে নিঃসন্দেহ হলেন ।তারপর শ্ৰীনিত্যনন্দ প্ৰভু তার শিরে হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন, ''অচিরাৎ প্ৰভু তোমাকে কৃপা করবেন ”।অতঃপর শ্ৰীরঘুনাথ দাস প্ৰভু ভক্তগণের সেবাৰ্থে কিছু কিছু মুদ্ৰাদি দিয়ে গৃহে যাবার জন্য বিদায় চাইলেন । ভক্তগণ সকলেই কৃপা আশীৰ্ব্বাদ করলেন ।শ্ৰীরঘুনাথ এরপরে গৃহে ফিরে এলেন ।

 শ্ৰীরঘুনাথকে দেখে পিতা মাতা সুখী হলেন । 

এইভাবে পানিহাটির উৎসব করে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আদেশমত শ্ৰীরঘুনাথ বাহ্য ব্যবহার ঠিকমত করতে লাগলেন।। 🙏


💥   এই দধিচিড়া মহোৎসবে যারা অংশ গ্রহন করবেন অর্থ বা যা পারেন মন্দিরে বা বাসায় জিনিস দ্রব্যাদী ক্রয় করে নিয়ে যেতে পারেন।তারা সকলে যারা প্রসাদ পাবেন বা পরিবেশনা বা সাহায্য করবেন সকলে রঘুনাথ দাস, নিতানন্দ প্রভু মহাপ্রভুর কৃপা লাভ করবেন।🙏


 🙏 জয় পানিহাটি চিড়া দধি (দন্ড) মহোৎসব-২০২৪🙏


 💥 তাই আসুন সকলে আমরা প্রতিদিন 

শ্রীমদ্ভগবদ গীতা অধ্যায়ন করে শ্রবণ করি।এবং আমরা এই তুচ্ছ জড় জগত আর ক্ষনিকের বিলাসিতাকে কাম্য না করে পরমেশ্বর শ্রী কৃষ্ণের সুমধুর হরিনাম করি। 🙏 🙏


💥   সবাই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন।এই নামে শুধু আপনি নই আপনার পুর্ব পুরুষ ও উদ্দার হবে।ভাত খাওয়া যেমন আপনার নিত্যকাজ,স্নান করা যেমন আপনার নিত্য কাজ,ঠিক তেমনি জপটাও আপনার আরও নিত্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ,,তাই এই হরি নামকে অবজ্ঞা করবেন না🙏

জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে🙏


💥 আমাদের কখনো হরি নাম জপকে হেলার সহিত নেয়া উচিত নয়। হরিনাম সাধারণ কোন মন্ত্র নয়। হরিনাম সাক্ষাৎ শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন রূপ। তাই আমাদের খুব যত্নের সহিত হরিনাম জপ করা উচিত।🙏


💥  হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।  🙏

 💥   হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।   🙏

Post a Comment

0 Comments