🏵ভগবান
শ্রী কৃষ্ণের দুই চরণের নূপুর ছোট বড়ো হয়🏵
ভগবান শ্রী রামচন্দ্র, সীতাকে হারানোর পর রামধনুক মাটিতে রেখে তার উপর ভর দিয়ে কাদঁছেন । লক্ষ্মণ দেখে দাদা কাঁদছে, আর মাটিতে নয়ন বারি ঝরে পড়ছে । কিন্তু সেখানে রক্ত !
লক্ষ্মণ বলে, "দাদা তুমি কাঁদছ ? তবে তোমার চরণের নিকট রক্ত কেনো ?"
রামচন্দ্র তার ধনুক সরিয়ে দেখে একটা ব্যাঙ্ চাপা পরে আছে , এটা তার ই রক্ত । আর সেই রামচন্দ্রের চোখের জলে মিশে গিয়ে বয়তত্রনী নদীর সৃষ্টি হলো ।
রামচন্দ্র ব্যাঙটিকে হস্তে তুলে নিয়ে প্রশ্ন করলো, "ওরে ব্যাঙ ! তুই আমার ধনুকের তলে চাপা পরে মারা যাচ্ছিস, তবুও চিৎকার করছিস না কেনো ? সর্প এ যখন তোকে ধরে তখন তুই খুব চিৎকার করিস কেন ?"
ব্যাঙ্ বলে, "প্রভু ! সর্প তে যখন আমাকে ধরে তখন আমি চিৎকার করে তোমার কাছে নালিশ জানাই , এই বলি প্রভু তুমি এর বিচার করো । কিন্তু আজ আমার-প্রভু আমার-ভগবান আমাই মারছে । আমি কার কাছে নালিশ করবো ? কার কাছে বিচার চাইবো, প্রভু ? এ তো, আমার পরম সৌভাগ্য যে আমার ভগবানের হাতে মৃত্যু হচ্ছে।"
তখন রামচন্দ্র বললো , "ওরে ব্যাঙ্ তুই আগের জন্মে কে ছিলি ?"
ব্যাঙ্ বললো, "আমি ছিলাম কর্ণব মুনি । আমার গুরু ছিলো বিশ্বাবসু মুনি । একদিন গুরু চরণ সেবা করতে গিয়ে গুরু-অঙ্গে নখের-আঁচর দিয়ে ফেলি । গুরু আমাকে অভিশাপ দেয় যে, তোর ব্যাঙ কূলে জন্ম হবে ।"
আমি বলেছিলাম, "অভিশাপ দিলে যখন আশীর্বাদটাও দিও, যেন ভগবানের হাতে মরণ হয় আমার ।"
রামচন্দ্র বললেন, "ওরে ব্যাঙ্ রে কর্ণব-মুনি তোর শেষ ইচ্ছে কি ?"
ব্যাঙ্ বললো, "আমার শেষ ইচ্ছে আমার গুরুদেব যেন তোমার শ্রী চরণে ঠাঁই পায় প্রভু ।"
রামচন্দ্র বলিলেন, "এ জন্মে নই । দ্বাপরে আমি হবো কৃষ্ণ । আর তুই কর্ণব-মুনি আমার ডান চরণের নূপুর এবং তোর গুরু বিশ্বাবসু আমার বাম চরণে নূপুর থাকবে । কিছুটা ছোট বড়ো হয়ে থাকবি তোরা গুরু-শীর্ষ ।"
🌿🌸🌿🌸🌿🌸🌿🌸🌿🌸🌿🌸🌿🌸🌿
💝হরে কৃষ্ণ💝
💝জয় শ্রী কৃষ্ণ💝
0 Comments