দেবী কালীর পরিচয়
বঙ্গদেশের শক্তিপূজার সবচেয়ে বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় রূপ হলো দেবী কালিকা। এজন্য বিভিন্ন দেশে আদ্যাশক্তির বিভিন্ন রূপে পূজার প্রাধান্য প্রসঙ্গে ব্রহ্মযামলে উল্লেখিত আদ্যাস্তোত্রে বলা হয়েছে-- 'কালিকা বঙ্গদেশে চ, অযোধ্যায়ং মহেশ্বরী'। অবশ্য কালীমাতার এই প্রভাব বুঝতে আমাদের শাস্ত্র পর্যন্ত না গেলেও চলবে; যেকোনো এলাকার প্রধান ও সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্দিরটি সাধারণত কালী মন্দির, যা বাঙালি সংস্কৃতিতে কালীর শক্তিশালী প্রভাবকেই চিহ্নিত করে। ভারতের অন্য অঞ্চলে কালী মন্দিরের এতো আধিক্য চোখে পড়ে না।
'কালী' শব্দের অনেক রকম অর্থ পাওয়া যায়। একটি অর্থে কালী অর্থ ঘোর কৃষ্ণবর্ণা। আবার, যিনি কালস্বরূপা, প্রলয়কালে যিনি কালরূপে জগৎকে গ্রাস করেন, তিনিই কালী। আবার, যিনি মহাকালের (শিব) প্রকৃতিস্বরূপা, তিনিই মহাকালী। আরেক অর্থে, যিনি কালকে কলন করেন, তিনিই কালী। দেবী দুর্গা ও কালী দু'জনেই অভিন্ন, দু'জনেই আদ্যাশক্তির দুটি রূপ মাত্র; রজোগুণে দুর্গা এবং তমগুণে তিনি কালীরূপা। তাইতো বলা হচ্ছে-
"জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে॥"
0 Comments