ভক্তি ও ব্যবসা - শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ
আর্থিক লাভের জন্য ভক্তিমূলক তৎপরতা চালানো উচিত নয়। কারও উচিত নয় পেশাদারি কীর্তনের দলে যোগ দেওয়া; শিষ্যদের কাছ থেকে প্রণামী গ্রহণের উদ্দেশ্যে গুরু হওয়া এবং টাকার বিনিময়ে ভাগবত পাঠ করা। এতে করে নিজের আধ্যাত্মিক জীবন নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্যরা প্রতারিত হয়। অবশ্য কেবলমাত্র কৃষ্ণের সেবার জন্য একজন প্রকৃত প্রচারক দান গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু কৃষ্ণনাম এবং ভাগবতকে পরিবার চালানোর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত হীন কাজ, সকল শুদ্ধ বৈষ্ণব এর নিন্দা করেন। ভক্তির নামে আত্মপ্রতারণা উচিৎ নয়। এটা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষার পরিপন্থী। বৈষ্ণবরূপে নিজেকে জাহির করে সম্মান, পূজা ও প্রতিষ্ঠা অর্জন খুবই সহজ। কিন্তু প্রকৃত বৈষ্ণব হওয়া এবং কৃষ্ণপ্রেম লাভ করা তত সহজ নয়।
'সাধু শাস্ত্র গুরুবাক্য চিত্তেতে করিয়া ঐক্য
আর না করিহ মনে আশা'।
( নরোত্তম দাস ঠাকুর)
এটাই আধ্যাত্মিক সফতার পথ। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের মধ্যে নিজের মন গড়া ভাবে কাজ করার ঝোঁক রয়েছে, মূল বিষয়ের নিজস্ব দর্শন জুড়ে দেওয়া, নির্ধারিত মানসম্মত নিয়মাবলীর পরিবর্তন সাধন করা অথবা তাল গোল পাকিয়ে ফেলা, কাউকে ধর্মীয় নেতা রূপে মেনে নেয়ার ইচ্ছা ও আমাদের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ-এর ফলে আমরা সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাব। প্রত্যেকের উচিৎ অতীতের আচার্যদের নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করা। তাহলেই জীবন সার্থক হবে।
0 Comments