|| গল্পে উপদেশ || এক লোক রাতের বেলা নদীর পার ধরে অলসভাবে হাঁটছিল।

|| গল্পে উপদেশ ||



এক লোক রাতের বেলা নদীর পার ধরে অলসভাবে হাঁটছিল। হঠাৎ তার পা একটা পাথরের বস্তার সাথে ধাক্কা খেল। তখন সে ঐখানে বসে বস্তা থেকে একটা একটা করে পাথর নিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করতে লাগলো।
এইভাবে একটার পর একটা পাথর নদীতে ছুড়ে মারতে মারতে সে সময় অতিবাহিত করতে লাগলো। এক সময় রাত শেষ হয়ে ভোর হতে শুরু করল এবং তার হাতের সব পাথর গুলো শেষ হয়ে এলো।
যখন সে শেষ পাথরটা ছুঁড়ে মারল, তখন সূর্যের আলোতে দেখতে পেল যে, সে এতক্ষন যা পাথর মনে করে ছুড়ে মারছিল, তা আসলে পাথর নয়, তা ছিল সবচেয়ে অমূল্য ধন হীরা!
তার আফসোস হল, কিন্তু যতক্ষনে সে তা দেখতে পেল তার আগেই সেই সব হীরা নদীর স্রোতে তলদেশে হারিয়ে গেছে!

|| হিতোপদেশ ||

আসলে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিনের মহামূল্যবান সময় আমরা হেসে খেলে অপচয় করে নষ্ট করে ফেলছি, ছুড়ে দিচ্ছি বয়ে চলা সময়ের নদীতে। কিন্তুু এমন একটা সময় আসবে, যখন মনে হবে প্রতিটি মুহূর্ত কত মূল্যবান ছিল! আর তখন হয়ত আমাদের হাতে আর কোন সময় অবশিষ্ট থাকবে না, তাই সবার উচিত জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা।
নারদ মুনি যুধিষ্ঠির মহারাজকে (শ্রীমদ্ভাগবত ৭/১৪/২৪) বলেছেন,

''ত এতে শ্রেয়সঃ কালা নৃণাং শ্রেয়োবিবর্ধনাঃ ।
কুর্যাৎ সর্বাত্মনৈতেষু শ্রেয়োহমোঘং তদায়ুষঃ ।।

অর্থাৎ, "এই সমস্ত কাল মানুষের পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গলজনক বলে বিবেচনা করা হয়। এই সময়ে সমস্ত মঙ্গলজনক কার্য করা উচিত, কারণ সেই সমস্ত কার্যকলাপের ফলে মানুষ তার অল্প আয়ুস্কালের মধ্যে সাফল্য অর্জন করে।"

তাই, কেউ যখন প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলে ৮৪ লক্ষ জন্ম লাভের পর মনুষ্য শরীর প্রাপ্ত হয়, তখন সেই মানুষের উচিত নিজেকে সর্বতোভাবে পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত করে সুদুর্লভ এ মানব জনমকে সার্থক করা।

Post a Comment

0 Comments