শ্রীগদাধর পণ্ডিতের তিরোভাব তিথি

শ্রীগদাধর পণ্ডিতের তিরোভাব তিথি


গৌরশক্তি শ্রীগদাধর পণ্ডিতের শুভ তিরোভাব তিথি মহোৎসব।
🌻 শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামী শ্রীমন্মহাপ্রভুর অন্তরঙ্গ ভক্তগনের মধ্যে সর্বপ্রধান। মধুর রসের শুদ্ধ ভক্তগণ শ্রীশ্রী গৌর-গদাধরকে শ্রীশ্রী রাধা-মাধব রূপে দর্শন করেন। শ্রীমন্মহাপ্রভুকে গদাধরের জীবন বলা হয়।
🌻 শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামী ১৪০৮ শকাব্দে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বেলেটি নামক গ্রামে আবির্ভূত হন। তাঁর পিতার নাম শ্রীমাধব মিশ্র এবং মাতার নাম শ্রীমতী রত্নাবতী দেবী। শ্রী গদাধর পন্ডিত বৃষভানু অবতার শ্রী পুন্ডরীক বিদ্যানিধির শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম।
🌻 শ্রীগৌরগণেদ্দেশ দীপিকায় (১৪৭-১৫০) বলা হয়েছে,
শ্রীরাধাপ্রেমরূপা যা পুরা বৃন্দাবনেশ্বরী।
সা শ্রীদাধরো গৌর বল্লভঃ পণ্ডিতাখ্যক।।
নির্ণীতঃ শ্রীস্বরূপৈর্যো ব্রজলক্ষীতয়া যথা।
পুরা বৃদাবনে লক্ষীঃ শ্যামসুন্দর বল্লভা।
সাদ্য গৌরপ্রেমলক্ষী শ্রীগদাধর পন্ডিতঃ।।
🌻 পূর্বে যিনি প্রেমরূপা শ্রীমতীরাধা তথা বৃন্দাবনের ঈশ্বরী ছিলেন তিনিই গৌরবল্লভ শ্রীগদাধর। যিনি শ্রীস্বরূপ কর্তৃক ব্রজলক্ষীত্ব রূপে নির্ণীত হয়েছেন। পূর্বকালে যিনি বৃন্দাবনে শ্যামসুন্দরের প্রিয়তমা লক্ষী ছিলেন তিনিই এখন শ্রীগৌরচন্দ্রের প্রেমলক্ষী শ্রী গদাধর পন্তিত।
জয় জয় গদাধর গৌরাঙ্গের শক্তি।
তোমার কৃপায় হয় শুদ্ধপ্রেম ভক্তি।।
জয় জয় হিতকারী মাধবনন্দন।
গৌর প্রেমময় মূর্তি পতিত পাবন।।
🌻 প্রেমবিলাস গ্রন্থে বলা হয়েছে-
ইহ গৌরাঙ্গের প্রিয় গদাধর হয়।
শ্রীরাধার প্রকাশ মূর্তি এই মহাশয়।।
অর্থাৎ- শ্রীমতী রাধারানীর প্রকাশ মূর্তি হলেন শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামী।
প্ৰভু শক্তি অবতার পণ্ডিত গদাধর।
যাহারে দেখিলে প্ৰভু আনন্দ অন্তর ॥
🌻 শ্ৰীস্বরূপ গোস্বামীর কড়চায়-
‘পঞ্চতত্ত্বাত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম।
ভক্তাবতারং ভক্তাখ্যং নমামি ভক্ত শক্তিক্‌ম ॥
🌻 চৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে-
“পঞ্চতত্ত্ব একবস্তু নাহি কোন ভেদ।
রস আস্বাদিতে তত্ত্বে বিবিধ বিভেদ ॥
----মহাপ্রভুর অন্তর্দ্ধানের এগার মাস পরে চৈতন্য বিরহে শ্রীক্ষেত্রধামে শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামী নিত্যলীলায় প্রবিষ্ঠ হন।

Post a Comment

0 Comments