গৌড়ীয় ভক্তিসন্দর্ভের দৃষ্টিতে মহাদেব

গৌড়ীয় ভক্তিসন্দর্ভের দৃষ্টিতে মহাদেব


গৌড়ীয় বৈষ্ণব কূলশেখর শ্রীল জীব গোস্বামী "ভক্তিসন্দর্ভ " গ্রন্থ লিখেছিলেন।#ভক্তিসন্দর্ভ না পড়লে ভাগবতধর্মে প্রবেশ করা যায় না।
স্কন্দপুরাণে লেখা আছে,যে ব্যক্তি ভগবান বাসুদেবকে পরিত্যাগ করে অন্যদেবতার উপাসনা করে সেই মূঢ় চিত্ত ব্যক্তি অমৃত ত্যাগ করে হলাহল বিষ পান করে।
বুদ্বিমান ব্যক্তি সহস্ত্র জন্ম শিবের পূজা দ্বারা পাপক্ষয় করে বৈষ্ণবত্ব লাভ করে। স্বতন্ত্র ঈশ্বর বুদ্বিতে শিবের পূজা করলে ভৃগু মুনির পাষন্ডিত্ব রূপ অভিশাপ লাগে।কেননা বেদ বিরুদ্ধ শৈব তান্ত্রিকগন পাষন্ডি বলে গণ্য (?)
বৈষ্ণবদের বিষ্ণু পূজা করা কর্তব্য কিন্তু অন্যদেবতার নিন্দা করা অনুচিত।
পদ্মপুরাণে লেখা আছে –
#হরিরেব_সদারাধ্যা_সর্বদেবেশ্বরেশ্বর
#ইতরে_ব্রহ্মরুদ্রাদ্যা_নাবজ্ঞেয়_কদাচন।।
সর্বদেবতার ঈশ্বর ব্রহ্মা শিবের আরাধ্য শ্রীহরিকে সর্বদা আরাধনা করবে কিন্তু কখনো ব্রহ্মা রুদ্রাদিদেবগনের নিন্দা করবে না।
যে ব্যক্তি গোপাল পূজা করে কিন্তু অন্যদেবতার নিন্দা করে, তার পরম ধর্ম দূরে থাক, পূর্ব ধর্মও বিনষ্ট হয়। এখন বুঝুন বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ শিব নিন্দার পাপ কিরূপ হতে পারে।
বিদ্রঃ- বৃহৎ গ্রন্থের সব কিছু লেখা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচিত শ্লোক তুলে ধরেছি। অনেকের মনে হতে পারে এখানে শিবকে ছোট করা হয়েছে কিন্তু এগুলো নিছক ভ্রান্ত ধারণা। বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ শিবের চরনধূলির এক কণাও মস্তকে ধারণ করার যোগ্যতা আমাদের নেই। উনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল। সব শ্লোক শাস্ত্র থেকেই উদ্বৃত করা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments