প্রিয় আন্টি
শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ
একটি এতিম ছেলে তার আন্টির বাসায় অত্যন্ত স্নেহে বেড়ে উঠেছিল। তার আন্টি তাকে অত্যন্ত ভালবাসত, খাওয়ার সময় বলে আর একটু খাও, আর একটু নাও, এটি ঘি দিয়ে রান্না করেছি- এভাবে। সেই ছেলে স্কুলে গিয়ে তার খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত। এটি জানা সত্ত্বেও তার আন্টি স্নেহের বশবর্তী হয়ে তাকে কখনো শুধরানোর চেষ্টা করেনি। অসৎ সঙ্গের কারনে সেই ছেলে ক্রমেই চোর হয়ে গেল। একদিন সে ডাকাতি করে অনেক মনি-মুক্তা নিয়ে আসলেন এবং সেগুলো তার আন্টিকে দেখালেন। তার আন্টি, তা দেখে বলতে লাগলেন, লাল রুবীর নেকলেসটা আমার খুব পছন্দের। ছেলেটি বলল, এসব তোমারই জন্য, তোমাকে এসব উপহার দিব। আন্টি তাকে উৎসাহিত করে বলতে লাগল, ও এটিতো খুব ভাল পেশা, তুমি একদিনে এত কিছু নিয়ে এসেছ কোনো পরিশ্রম ছাড়াই। এরই মধ্যে সে ছেলে খুনী হয়ে গেল। একদিন তাকে গ্রেফতার করা হল এবং তার ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হলো। জেলখানায় জেলরক্ষী তাকে জিজ্ঞেস করল- তোমার ফাঁসি হবে। তোমার শেষ ইচ্ছা কি? সেই ছেলে বলল, আমার শেষ ইচ্ছা আন্টির সাথে কথা বলা, যিনি সারাজীবন আমাকে লালন-পালন করেছে। তার আন্টি জেলখানায় তাকে দেখতে এসে সমবেদনা জানাচ্ছে- ও আমার সোনা জাদুমনি- কী দূর্ভাগ্য? এতিম ছেলে তার আন্টিকে বলতে লাগল আন্টি তুমি আরও কাছে আস। আমার শেষ ইচ্ছা হিসেবে আমি তোমার সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ গোপন কথা বলতে চাই।
আন্টি- সজল নয়নে বলল, বাব কি বলবে? তিনি তার দিকে শোনার জন্য যেমনি এগিয়ে এসেছে অমনি ছেলেনি তার আন্টির কান কামড়ে দিয়েছে। আন্টি- চিৎকার করে- ও মাই গড, এ তুমি কী করেছ? ছেড়ে দাও।
ছেলে- তারপর সে তার আন্টিকে তিরষ্কার করতে লাগলেন- মাই ডিয়ার আন্টি স্নেহের পরিবর্তে আমাকে তোমার শাসন অথবা কারেকশন করা উচিত ছিল। আর তা না করার কারনে আমি সবকিছু হারিয়েছি। যদি তুমি আমাকে শাসন করতে তাহলে আজকে আমাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হত না এবং তোমাকেও বিলাপ করতে হত না।
। হিতোপদেশ।
দয়া দেখানো উচিত জ্ঞানের মাধ্যমে, অজ্ঞতা দিয়ে নয়।
0 Comments