#যীশুর পরীক্ষা# শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ

 যীশুর পরীক্ষা

শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ



একদিন যীশু তার শিষ্যদের মধ্যে একজনকে উপবাস করার নির্দেশ দিলেন। সেই শিষ্য ছিলেন খুবই রোগা, কিন্তু যীশু তাকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৪৮ দিনের উপবাস করার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু অন্য শিষ্যরা তার এই নির্দেশ শুনে চিন্তা করলেন। বলাবলি করতে লাগলেন যীশু কিভাবে এই নির্দেশ দান করলেন? তারা বলল আমরা জানতাম তিনি করুনাময়। কিন্তু তিনি তো সেই রোগা লোকটিকেই উপবাস করতে বললেন। টানা ৪৮ দিনের উপবাসে লোকটি পাতলা ও দুর্বল হয়ে পড়লেন। যীশু এক কাপ মধু মিশ্রিত দুধের উপর ঘি নিয়ে আসলেন। যীশু বললেন তোমার মুখ খোল। লোকটি চরম আশান্বিত হলেন এবং ভাবলেন যাক অবশেষে আমি কিছু খেতে পাচ্ছি। যখন সেই কাপটি তার জিহ্বার উপর আনলেন, যীশু বললেন, “এটি পান করবে না। আর এটিই তোমার পরীক্ষা।” যেহেতু সে ছিল একজন একনিষ্ঠ শিষ্য এবং একটানা ৪৮ দিন উপবাসের পর দুধের সেই মিষ্টি গন্ধে তার ক্ষুধার আকাঙ্ক্ষা আরো তীব্রতর হয়ে উঠলো। প্রকৃতপক্ষে সে উপবাসের ফলে তার অবস্থা মৃত্যুর দিকেই এগুচ্ছিল। কিন্তু যীশু বললেন, “তুমি মুখ খুলে রাখবে কিন্তু এটি পান করবেনা।” তো যাদের যীশুর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো তারা জানতো যে যীশু যা বলতে তা তাদের সকলের জন্যই মঙ্গলদায়ক। তাই তারা এর প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু যারা বিশ্বাস রাখতে পারেনি তারা চলে গিয়েছিল, আর কখনো ফিরে আসেনি। শিষ্য তার মুখ বেশ কিছু সময়ের জন্য খোলা রেখেছিল এবং যীশু সেই রূপার পাত্রটিকে তার মুখের নীচে অনেক সময় ধরে রাখলেন। লোকটি পূর্বে অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন এবং তিনি যাই খেত না কেন, কিন্তু তার উপর খাবারের কোন প্রভাবই পড়ত না। এভাবে আধাঘন্টা থাকার পর, একটি ফিতাকৃমি তার মুখ থেকে বের হয়ে আসছিল। তার পাকস্থলিতে যে কৃমিটি বাস করত, তা যা খেত তার সব পুষ্টিই কৃমি শোষণ করে নিত। এখন যখন লোকটি টানা ৪৮ দিন কিছুই খায়নি, তখন ফিতা কৃমিটিও না খেয়ে ছিল। তা দেখে সকলেই খুবই বিস্মিত হলো যে কৃমিটি দুধের মিষ্টি গন্ধে বের হয়ে এসেছিল। যীশু দুই টুকরা পাথরের সাহায্যে এই কৃমিটিকে মেরে ফেললেন। যীশু বললেন এখন তুমি এটি পান করতে পার।

। হিতোপদেশ।

গুরুদেবের নির্দেশ অনুসরণ করার ফলে জাগতিক ও পারমার্থিক জীবনে উভয়ই মঙ্গল সাধিত হয়।

Post a Comment

0 Comments