শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ
বেশ্যাসক্ত ব্যক্তি
একজন ধনী বিবাহিত লোক ছিল যে বেশ্যার প্রতি খুবই আসক্ত ছিল। তার স্ত্রী একজন বিশ্বস্ত মহিলা ছিল। দীর্ঘদিন নীরবতার পর তিনি চিন্তা করলেন, বেশ্যার প্রতি আসক্ত এর ব্যাপারে তার সাথে কথা বলবে।
স্ত্রী- আমার মধ্যে কিসের অভাব আছে যে, তুমি বেশ্যার কাছে যাওয়া শুরু করেছো।
লোক- আমি সেখানে যাই কারন সে নাচতে ও গাইতে পারে। সুতরাং, সেই লোকের স্ত্রী নৃত্য ও গান শিখে ফেলল। এভাবে সে একে একে নৃত্য, গান এবং ড্রিঙ্ক করা শিখল। তার স্বামী তবুও বেশ্যার কাছে এখন পর্যন্ত যাচ্ছে। তারপর সে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করল-
বেশ্যারা যা কিছু করে আমি তার সবকিছুই আমি শিখেছি। তবুও তুমি কেন যাচ্ছ?
লোক- আমি তবুও সেখানে যাচ্ছি একটি জিনিসের জন্য।
স্ত্রী- সেটা কী?
লোক- তুমি আমার বাবা-মাকে গালিগালাজ করোনা। এইসব বেশ্যারা তাদের বাবা-মাকে তাচ্ছিল্য করে গালি দেয়।
স্ত্রী- ঠিক আছে! থাম। আমি তোমার স্ত্রী হই। আমি তোমার বাবা-মাকে অপমান করতে পারবনা। এটি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমি সবকিছু শিখেছি শুধুমাত্র তোমর সন্তুষ্টির জন্য। কিন্তু আমি তো খারাপ ভাষা শিখতে পারিনা।
। হিতোপদেশ।
বেশ্যারা শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরই অসম্মান করে না, তাদের পিতা, মাতা, পরিবার, সংস্কৃতি সবকিছুকেই তারা তাচ্ছিল্য করে। তোমরা যদি বেশ্যার সমাজ গড়তে চাও সেখানে ব্রাহ্মণ সমাজ গড়ার আশা কোথায়?
..............
0 Comments