একবার রাধারাণী আর অষ্ট সখী ফুল তুলতে কুসুম সরোবর গোবর্ধন পৌছালেন। সব সখী আর রাধারাণী ফুল তুলতে লাগলেন। রাধা রাণী পথ হারিয়ে, সখীদের হারিয়ে ফেলেন। ফুল গাছের কাটাতে রাধারাণীর শাড়ী আটকে যায়।
এদিকে কৃষ্ণ জানতে পারলেন, রাধারাণী অষ্ট সখীদের সাথে কুসুম সরোবরে ফুল তুলতে আসছে। এমনি মোহন মালীর বেশ ধারণ করে সরোবরে পৌঁছালেন। আর রাধারাণীর শাড়ী কাঁটা থেকে ছাড়িয়ে আর বললেন আমি এই বনের মালী। তখন সব সখীরা রাধার কাছে এল। মালীর রূপধারী কৃষ্ণ সখী আর রাধারাণীকে বললেন, আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা সব বনকে উজাড় করে দিলে, সখীরা বিভিন্ন কথা বলতে ফুল সব মাটিতে পড়ে গেল।
রাধারানী
তখন মালীর বেশধারী কৃষ্ণের বাঁশী দেখে ফেলল। তখন রাধা বলল, বন মালী না তুমি
বনবিহারী।
রাধারাণী
বলল, মাটি সব ফুল ফেলে দিলে শ্যাম, সব ফুলে মাটি লেগে গেল।
কৃষ্ণ বলল, তুমি মন খারাপ করো না রাধে, আমি সব ফুল যমুনায় ধুয়ে
আনছি।
রাধা
বলল, অনেক দেরি হয়ে যাবে শ্যাম আমার বর্ষানা
যেতে হবে।
তখন
কৃষ্ণ নিজের বাঁশী দিয়ে এক সরোবর নির্মাণ করল। যাকে কুসুম সরোবর বলে। আর কৃষ্ণ জলে
পুষ্প ধুলল। আর রাধারানীর মাথার বেনীতে ফুল দিয়ে শৃঙ্গার করল। আর রাধারাণী হাতে
আয়না নিয়ে মালী রূপী কৃষ্ণকে প্রাণভরে দর্শন করতে লাগল। আজও কুসুম সরোবরে
প্রিয়া-প্রিয়তম ফুল দিয়ে শৃঙ্গার করে। আমরা সাধারণ দৃষ্টীতে এ লীলা দেখতে
পাই না।
জয়
রাধা বনবিহারী!
0 Comments