"প্রভুপাদ কথামৃত।"

--------------------------------

"এটা শিক্ষা নয়।"

--------------------------

সতধন্য দাস:--পশ্চিমবঙ্গে তখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমি মহামান্য ব্যক্তি, মন্ত্রীগণ, আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং শিক্ষা মন্ত্রী মৃত্যুঞ্জয় ব্যানার্জীর সহিত সংঘবদ্ধ ছিলাম। আমি শিক্ষা মন্ত্রীকে মায়াপুরে নিয়ে গিয়েছিলাম, প্রভুপাদ তখন মায়াপুরে ছিলেন। আমি তাঁকে কক্ষের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে প্রভুপাদ-কে বলেছিলাম, "আমি পশ্চিম বাংলার শিক্ষা মন্ত্রীকে নিয়ে এসেছি এবং তিনি এখানে আছেন। তিনি কি ভিতরে প্রবেশ করে আপনার সাথে কথা বলতে পারেন?"প্রভুপাদ বলেছিলেন,"হ্যাঁ, ওকে ভিতরে নিয়ে আসো।"আমি তাঁকে কক্ষের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং তিনি প্রভুপাদ-কে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। প্রভুপাদ তাঁকে কক্ষের ভিতরে প্রভুপাদের লেখার টেবিলের সামনে বসতে বলেছিলেন। তারপর আমি প্রভুপাদকে বলেছিলাম,"প্রভুপাদ,ইনি পশ্চিম বাংলার শিক্ষা মানণীয় শিক্ষা মন্ত্রী।"ভদ্রলোক প্রভুপাদের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন প্রভুপাদও তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখেছিলেন কিন্তু কিছুই বলেন নি। আমি বিব্রত বোধ করছিলাম। আমি ভেবেছিলাম প্রভুপাদ হয়তো আমার কথা শুনতে পান নি। আমি পুনরায় বলেছিলাম,"শ্রীল প্রভুপাদ,ইনি পশ্চিম বাংলার শিক্ষা মন্ত্রী।"তারপর প্রভুপাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন,"এটা শিক্ষা নয়।"আমি তখন লজ্জায় মৃতপ্রায়। প্রভুপাদ পুনরায় নীরব হয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি তাঁকে কিছু কথা বলেছিলেন।সব কথা শেষ হবার পর আমি তাঁকে বাইরে নিয়ে এসেছিলাম। প্রভুপাদ বলেছিলেন বাস্তব শিক্ষা হ'লো দেহ বা পদার্থ এবং আত্মার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে শিক্ষা দান করা। এবং এই কথা বোঝানোর জন্য প্রভুপাদ তাঁকে কয়েকটি যোগ্য কথা বলেছিলেন এবং এই শিক্ষাটি বিতরণ করা উচিত বলে লোকটিকে ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন। কখনও কখনও প্রভুপাদ লোকেদের যখন বোঝাতেন প্রকৃতপক্ষে তারা কে, তাদের প্রকৃত পরিচয় কি তখন সেই বিষয়টি কে এড়িয়ে যাওয়া সহজ ছিল না।

Post a Comment

0 Comments