"প্রভুপাদ লীলামৃত।"

------------------------------

"প্রভুপাদ তাঁর ভগ্নী, পিসিমার সহিত সাক্ষাৎ করেছিলেন।"

---------------------------------------------------


মহাবুদ্ধি:-- একদিন প্রভুপাদ বসে তাঁর লেখার টেবিলের উপর লিখছিলেন, আমি তখন তাঁকে একটি ডাবের জল পান করতে দিয়েছিলাম।তারপর আমি কিছু জিনিষ সোজা করে উপরে তুলে রেখে, প্রভুপাদ যখন লিখছিলেন আমি দরজার পাশে বসে জপ করছিলাম। তখন প্রভুপাদের ভগ্নী, পিসিমা এখানে এসেছিলেন। আমি দরজায় তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলাম এবং তাঁকে দেখতে পেয়ে প্রভুপাদ- কে বলেছিলাম,"প্রভুপাদ আপনার ভগ্নী এখানে এসেছেন, আপনি কি তাঁর সাথে কথা বলবেন?"তিনি বলেছিলেন,"হ্যাঁ, ওকে ভিতরে নিয়ে এসো।"আমি দরজা খুলে দিয়েছিলাম এবং পিসিমা ভিতরে গিয়ে নীচে বসেছিলেন।তাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিলেন এবং আমি সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য উঠেছিলাম,কারণ সন্ধ্যা বেলায় লোক আসার পূর্বে আমার কিছু কাজ করার ছিল। প্রভুপাদ আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,"তুমি কোথায় যাচ্ছ?"আমি বলেছিলাম,"আমি বাইরে যাচ্ছি।"তিনি বলেছিলেন,"না, না, তুমি এসে বসো।"তিনি তাঁর বোনের সাথে প্রায় কুড়ি মিনিট যাবৎ কথা বলেছিলেন এবং আমাকে সেখানে বসিয়ে রেখেছিলেন।

    

আমি ভেবেছিলাম,"ওহ্, আমি আবার শাস্তি পাচ্ছি, আমি আবার কোন গন্ডগোল করেছি।"আমি জপ করছিলাম এবং আমি জানি না তাঁরা কি বলছিলেন,কারণ সবটাই ছিল বাংলায়। প্রভুপাদ আমার দিকে ফিরে তাকিয়ে বলেছিলেন,,"সন্ন্যাসী কখনও কোন মহিলার সহিত, এমনকি তাঁর মা অথবা বোনের সহিত ও একাকী একটি কক্ষে থাকেন না," এবং তখন তিনি একটি সংস্কৃত শ্লোক উদ্ধৃতি করেছিলেন।


প্রভুপাদের এই দৃষ্টান্ত টি অত্যন্ত শিক্ষানীয় ছিল। যদিও প্রভুপাদের ভগ্নী বৃদ্ধা ছিলেন, প্রভুপাদ সমস্ত সন্ন্যাসীদের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিলেন। এটা নয় যে, প্রভুপাদ বলতেন এক আর করতেন অন্য কিছু। তাঁর এই বিশুদ্ধতাই আমাদের সকলের হৃদয়কে প্রভাবিত করেছিল। আমরা প্রচার করার চেষ্টা করছিলাম এবং প্রভুপাদের সহিত অল্প সময় কাটিয়েছিলাম যা আমাদের জীবনকাল কে মর্যাদা দান করেছিল।

প্রভুপাদ তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন এবং তাঁর পুস্তকে লিখেছিলেন যে, কিভাবে তিনি তাঁর জীবনযাপন করেছিলেন।এই ধরনের পথ প্রদর্শক কে আপনি যে কোন স্থানে অনুসরণ করতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments