হিন্দুদের দুটি পাখির উদাহরণ থেকে শিখতে হবে


1:- বার্ড নাম্বার ওয়ান ডোডো


ডোডো পাখি মরিশাস এবং ভারত মহাসাগরের কিছু দ্বীপে পাওয়া যেত. এই দ্বীপে মানুষ বসবাস করতো না.


ডোডো পাখিরা এই দ্বীপে আরামে বাস করত এবং যেহেতু এই দ্বীপে আর কোন প্রাণী ছিল না, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত এরা রক্ষণাত্মকতা এবং আগ্রাসন ভুলে গিয়েছিল।


যেহেতু এই দ্বীপে তাদের প্রচুর খাবার ছিল, তাই তারা এই দ্বীপে আরামে বাস করত।


তাদের দ্রুত দৌড়াতে হয়নি,  উড়তেও হয়নি, কাউকে তাড়া করে শিকার‌ও করতে হয়নি। তাই ধীরে ধীরে তাদের পায়ের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। 


ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা মরিশাসে যায় এবং ডাচরা বিস্মিত হয় যে পাখিটি খুব স্বচ্ছন্দে মানুষ দ্বারা ধরা পড়ে এবং তারপর ডাচ রা তাদের শিকার করতে শুরু করে।


ডাচ রা তাদের পোষা কুকুর, ইঁদুর ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল, এবং ধীরে ধীরে কুকুরও ডোডো শিকার শুরু করে, এবং ইঁদুর তাদের ডিম খাওয়া শুরু করে।  ডোডো পাখিটি একেবারেই রক্ষণাত্মক ছিল. কারণ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা এমন এক পরিবেশে ছিল যেখানে তাদের আক্রমণ ও আত্মরক্ষার প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু যখন তাকে আক্রমণাত্মক হতে হয়, তখন তারা কিভাবে আক্রমণ করতে হয় ভুলে যায়।


ফলস্বরূপ, এই পৃথিবী থেকে ডোডো পাখি 1710 পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়, পাখির মাত্র দুই মমি রাখা হয়েছে, একটি ব্রিটেনের রাজকীয় জাদুঘরে, অন্যটি মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ।


2:- পাখি সংখ্যা দুই কেসোভারী 


কেসোভারি পাপুয়া নিউ গিনি অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড গ্রুপ, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবিয়ান মহাসাগরের অনেক দ্বীপে বাস করত, এটি উটপাখি ইমু এবং ডোডো পরিবারের একটি পাখি ছিল।


কিন্তু এটা এমন এক পরিবেশে বাস করতে হয়েছিল যেখানে অনেক শিকারী ছিল, এমনকি মানুষ‌ও এদের শিকার করার চেষ্টা করত, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, ফলে এই পাখি আক্রামক ও খুব ক্রোধী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।


আজকের পরিস্থিতি এমন যে এরা মানুষ এদের দৃষ্টিতে এলে পায়ের নখ দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, এটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারে এবং নখ ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং একটি ধারালো ছুরির মত। যখন ব্রিটিশরা ক্যারিবিয়ান পাপুয়া নিউ গিনি, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দখল করে, ব্রিটিশরাও তাদের শিকার করতে চেয়েছিল, কিন্তু কেসোওয়ারি ইতিমধ্যে এমন পরিবেশে ছিল, তাই তারা হিংস্রভাবে প্রতিশোধ নেয় এবং চোরাশিকারিদের ছিঁড়ে ফেলে, এমনকি দলে দলে পাখি এসে আক্রমণ করে, পরে ব্রিটিশরা তাদের বন্দুক নিয়ে শিকার করার চেষ্টা করে, কিন্তু শিকার করতে এলে পিছনের দিক থেকে এসে দলবদ্ধ হয়ে শিকারীকে আক্রমণ করে।


আজ, পরিস্থিতি এমন যে জঙ্গলে বড় সতর্কীকরণ বোর্ড আছে যেখানে লেখা আছে যে, এখানে কেসোওয়ারি পাখি পাওয়া যায়, কারণ এরা মানুষ দেখলে  আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, সাবধান।


আজ কেসওভারি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত নয় কিন্তু তার প্রাকৃতিক আবাসস্থলে আরামে আছে।


উপসংহার


উভয় পাখির উদাহরণ একই শিক্ষা দেয় যে প্রজাতি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, তাদের সন্তানদের আত্মরক্ষা করতে শেখাবে না তারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।


পাকিস্তানে, হিন্দুরা বড় বড় বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছিল, কিন্তু আজ সেখানে শান্তিকামী দলের লোকেরা আছে। কাশ্মীরে, পণ্ডিতেরা বড় বড় বাড়ি তৈরি করেছিল, আজ সেখানে শান্তিকামীরা আছে। কেরালার কাসরগোড সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুরা আজ তাদের বড় বড় বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে, সেখানে আজ শান্তিকামীরা বাস করে।


যদি হিন্দুরা ইতিমধ্যেই কেসোওয়ারি পাখি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আক্রমণাত্মক হতো, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো  না।


🙏🙏


(সংগৃহীত)

Post a Comment

0 Comments