# ভবসাগর_পার_হব_কিভাবে ?
একটা শিক্ষনীয় গল্প।
এক গোয়ালিনী এক সাধুর আশ্রমে দুধ
নিয়ে আসতে প্রতিদিন দেরী করতো।
একদিন সাধু তাকে জিজ্ঞাসা
করলেন
কেন প্রতিদিন দেরী হয়। উত্তরে
গোয়ালিনী বলল, নদী পার হতে এবং
নৌকার জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়।
তাই
রোজ দেরী হয়। সাধু বললেন, আজ
থেকে তুমি হরিনাম কর। দেখবে নদী
হেটে হেটে পার হতে পারবে
তোমার আর নৌকার প্রয়োজন
হবে না।
তিনি বললেন,এ ভব সাগর হবে
বালুচর,চ
হাটিয়া হইবি পার, হরিনাম কর সার।
পরদিন থেকে সত্যি সত্যি
গোয়ালিনী হরিনাম
করে হেটে হেটে নদী পার হয়ে
যথাসময়ে আশ্রমে
দুধ দিয়ে যেতে লাগল।একদিন সাধু
বলল তাকে এখন কেন দুধ দিতে দেরী
হয় না।গোয়ালিনী
উত্তর দিল কেন আপনি যে হরিনাম
দিয়েছেন তা জপ করতে করতে নদী
পার হয়ে যাই।নৌকার জন্য দাড়িয়ে
থাকতে হয় না।সাধু ভাবলেন
গোয়ালিনী মাত্র কয়েকদিন হরিনাম
জপ করেই যদি নদী হেটে হেটে পার
হয়ে যেতে পারে,তাহলে আমি বহু
বছর ধরে হরিনাম করছি,আমি
তারচেয়ে বেশী শক্তিশালী ও
শুদ্ধভক্ত,আমিও অনায়াসে নদী পার
হয়ে যাব।তাই পরীক্ষা করার জন্য
গোয়ালিনীর সাথে নদী পার হতে
গেলেন।
গোয়ালিনী হরিনাম করতে করতে নদী
পার হয়ে ওপার থেকে সাধুকে
ডাকছে,গুরুদেব আসুন। গুরুদেব নদীতে
নামছেন এবং তার পা জলে ডুবে
যাচ্ছে আর তিনি একটু একটু করে
ধুতি উপরে তুলছেন।তখন গোয়ালিনী
বলছে,গুরুদেব আপনি
হরিনাম করবেন আবার কাপড়ও
তুলবেন,
তাহলে কিভাবে নদী পার হবেন।তেমনি
আমরাও যদি সাধুবাবার মত
হরিনামের প্রতি বিশ্বাস না করে শুধু
জাগতিক বিষয়ের চিন্তা করি তবে
অন্তিম লক্ষ ভবসাগর কিভাবে পার
হব!!
হরিনামের বাধা জড়বিদ্যা, জ্ঞান,
ধন, রুপ, যশ, কুল ও অহংকার।
কৃষ্ণকৃপা বিনে নহে দুঃখের মোচন,
থাকিল বা বিদ্যা, কুল, কোটি-কোটি
ধন।
বহু জন্ম করে যদি শ্রবন,কীর্ত্তন,
তবু ত না পায় কৃষ্ণপদে প্রেমধন।
।।চৈতন্যচরিতামৃত।।
আসুন আমরা বিষয়চিন্তা বাদ দিয়ে
হরি নাম নিষ্ঠা সহকারে জপ ও
কীর্ত্তন করি।
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে
0 Comments