আজ শুভ অক্ষয় তৃতীয়া ।
অক্ষয় শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে যার কোনো ক্ষয় বা বিকার নেই। এ জগতে সবকিছুই ক্ষয়িষ্ণু। জড় জগতে মানুষ সাধারণ দুটো কর্মই করে পুণ্য ও পাপ এবং দুটোই ক্ষণস্থায়ী ফল প্রদান করে।
কোন কাজ অক্ষয়? অক্ষয় হচ্ছে অধোক্ষজ ভগবানের প্রতি প্রেমময়ী সেবা অর্থাৎ ভক্তিযোগ।
“নেহাভিক্রমনাশোহস্তি প্রত্যবায়ো ন বিদ্যতে।
স্বল্পমপ্যস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ।” (ভ.গী. ২.৪০)
ভক্তিযোগের ফল যেমন অক্ষয় তেমনি অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত পুণ্যকর্ম বা সকাম কর্মকে ভক্তিমূলক সেবা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। অক্ষয় কর্মের ফল অক্ষয় লোকে গিয়ে ভোগ করতে হয়। আর সেই অক্ষয় লোক হচ্ছে ভগবদ্ধাম, সেখানে গেলে কাউকে আর এ জড়জগতে ফিরে আসতে হয় না।
সাধারণ জীবগণও যাতে ভগবানের ভক্তিতে উন্নতি করতে পারেন, সেজন্য ভগবান এসকল তিথির মাধ্যমে তাদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন, যাতে তারাও সুদুর্লভ ভক্তি অত্যন্ত স্বল্পমূলে ক্রয় করতে পারেন।
অক্ষয় তৃতীয়াতে যা হয়েছিল
১। সত্য যুগের সূচনা।
২। গঙ্গাদেবীর মত্যেলোকে আগমন।
৩। পরশুরামের আবির্ভাব।
৪। মহাভারতের সূচনা।
৫। যজ্ঞের উপাদানের উৎপত্তি।
৬। সীমাচলমে জিয়ুর নৃসিংহদেবের দর্শন।
৭। দ্রৌপদীর অক্ষয় পাত্র লাভ।
৮। বদরিকাশ্রমের দরজা খোলে।
৯। পাবন চন্দন যাত্রা শুরু।
১০। রামচন্দ্রের রাজ্যভিষেক।
১১। কৃষ্ণ সুদামা মিলন।
১২। কুবের পদ লাভ।
১৩। দ্রৌপদীকে বস্ত্র হরণ থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেছেন
১৪। মা অন্নপূর্ণা দেবীর আবির্ভাব
১৫। দ্বাদশ গরুড়দেবের সেবা
১৭। বাঁকে বিহারীর চরণ দর্শন
১৮। ব্রহ্মার পুত্র অক্ষয় কুমারের জন্ম
১৯। জগন্নাথদেবের রথের নির্মাণ কাজ শুরু
0 Comments