*রামের বোন শান্তা***
ত্রেতাযুগে অযোধ্যায় সগর নামে সূর্যবংশের এক রাজা ছিলেন । তার পুত্র অংশুমান। অংশুমানের পুত্র দিলীপ। দিলীপের দুই পুত্র ভগিরথ ও রঘু। রঘুর পুত্র বসু। বসুর পুত্র অজয়। অজয়ের পুত্র দশরথ। রামায়নে এই দশরথ রাজার এক মেয়েও ছিলেন। নাম তার শান্তা। তবে বাল্মিকী রামায়নে নেই। তিনি ছিলেন রাজা দশরথের প্রথম সন্তান। অর্থাৎ রামচন্দ্রের দিদি।দশরথ আর কৌশল্যার কোল আলো করে এসেছিল এই কন্যাসন্তান। শান্তাকে দত্তক নিয়েছিল অঙ্গদেশের রাজা রোমপাদ এবং তার স্ত্রী ভার্ষিনী।এই ভার্ষিনী আবার কৌশল্যার বোন। জন্মের পর থেকে মাসি মেসোর কাছে বড় হতে থাকেন শান্তা। একবার এক ব্রাহ্মণ অপমানিত হন রাজা রোমপাদের কাছে। তার অপমানে কুপিত হন দেবরাজ ইন্দ্র। ইন্দ্রের অভিশাপে অঙ্গদেশে ক্ষরা দেখা দেয়।
বৃষ্টি আনার জন্য যজ্ঞ করেন রোমপাদ। তার প্রধান ঋত্ত্বিক ছিলেন ঋষি ঋষ্যশৃঙ্গ। যজ্ঞের ফলে বৃষ্টি নামে। ক্ষরার হাত থেকে বাচে অঙ্গদেশ। পুরস্কারস্বরূপ শান্তার সঙ্গে ঋষি শৃঙ্গের বিয়ে হয়।
পরবর্তীকালে ঋষ্যশৃঙ্গকে আহ্বান করেন রাজা দশরথ।
পুত্রকামেষ্টি যজ্ঞ করার জন্য। স্বামীর সঙ্গে যান শান্তাও। সেখানে শান্তার পরিচয় পেয়ে অবাক হয়ে যান দশরথ রাজা।
যাই হোক সেই যজ্ঞের ফলে পুত্র লাভ হয় দশরথের। রাম , ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন। সনাতন ধর্মে রামকে বিষ্ণুর অর্ধেক অবতার ধরা হয়। ইনি বিষ্ণুর সপ্তম অবতার।
0 Comments