পঞ্চম পুরুষার্থ কৃষ্ণপ্রেম




শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

‘’হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

‘’অনর্পিতচরীং চিরাৎ করুণয়াবতীর্ণঃ কলৌ

সমর্পয়িতুংউন্নতোজ্জ্বলরসাং স্বভক্তিশ্রিয়ং।

হরিঃ পুরটসুন্দরদ্যুতিকদম্বসন্দীপিতঃ

সদা হৃদয়কন্দরে স্ফুরতু বঃ শচীনন্দনI I‘’ (বিদগ্ধমাধব )

অর্থাৎ,- যে উন্নতোজ্জ্বল মধুর রস জগতে কখন অর্পিত হয়নাই, সেই স্বীয় ভক্তিসম্পদ প্রদান করিবার জন্য যিনি করুণা করিয়া এই কলিযুগে অবতীর্ণ হইয়াছেন ; যাঁহার দেহদ্যুতি কনককান্তি হইতে ও অতি উজ্জ্বল শোভাযুক্ত, সেই শচীনন্দন হরি (সিংহ) তোমাদের হৃদয় কন্দরে সর্বদা প্রকাশিত থাকুন।

শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বর্ণণা করেছেন যে, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু জীবদের প্রতি দয়া করে অত্যন্ত দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম দান করার জন্য অবতীর্ণ হয়েছেন।

''শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু জীবে দয়া করি।

স্বপার্ষদ স্বীয় ধাম সহ অবতরি।।

অত্যন্ত দুর্লভ প্রেম করিবারে দান।

শিখায় শরণাগতি ভকতের প্রাণ।।‘’

শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। দ্বাপরে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ব্রজলীলা বিলাস করার পর তিনি এই কলির প্রথম সন্ধ্যায় আবির্ভূত হয়েছেন ভক্তরূপে । ভগবান এই অবতারে তাঁর ভগবত্তা প্রকাশ করে আসেননি। তিনি এসেছেন ভক্তরূপে । শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুরূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং। শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমতী রাধারাণীর ভাব এবং অঙ্গকান্তি অবলম্বন করে অবতীর্ণ হয়েছেন এই নবদ্বীপ মায়াপুরে।

‘’শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য রাধাকৃষ্ণ নহে অন্য’’

শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের কোন পার্থক্য নেই। তারা অন্য কেউ নন। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যই হচ্ছেন রাধাকৃষ্ণের মিলিত তনু। রাধা এবং কৃষ্ণ যখন একত্রীভূত হন তখন তিনিই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু। শ্যামসুন্দর শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধারাণীর অঙ্গকান্তি এবং ভাব অবলম্বন করেন…শ্রীমতী রাধারাণীর অঙ্গকান্তি হচ্ছে তপ্ত কাঞ্চনের মতো, কাঁচা সোনার মতো এবং শ্রীমতী রাধারাণীর অন্তরের ভাব হল ভক্তির মহাভাব। তাঁর অঙ্গকান্তি ও ভাব অবলম্বন করে শ্রীকৃষ্ণ যখন আসেন, তখন তিনিই হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু। শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ঠিক তেমনই শ্রীকৃষ্ণের ধাম বৃন্দাবন এবং মায়াপুরের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বৃন্দাবন হচ্ছে এই জড় জগতের উর্ধ্বে চিন্ময় জগৎ। সেই চিন্ময় জগতের সর্বোচ্চ স্থান।

এই জড় এবং চিৎ জগতের যে ভূগোল,তার বর্ননা করে বলা হচ্ছে, এই জড় জগতের ঊর্ধ্বে হচ্ছে বিরজা অর্থাৎ কারণ সমুদ্র। এই ব্রহ্মাণ্ড ভেদ করে যদি আমরা যাই তবে কারণ সমুদ্র দেখতে পাব। সেই কারণ-সমুদ্রের ঊর্ধ্বে ব্রহ্মজ্যোতি। এভাবে সেই ব্রহ্মজ্যোতিতে অসংখ্য বৈকুন্ঠলোক রয়েছে। চিন্ময় জগতে অসংখ্য বৈকুন্ঠ লোক রয়েছে। সেই বৈকুন্ঠের সর্বোচ্চ স্থান বা সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে গোলোক বৃন্দাবন। সেই গোলোকের একদিক হচ্ছে বৃন্দাবন এবং অপর দিক হচ্ছে নবদ্বীপ। গোলকের একটি প্রকোষ্ঠ বৃন্দাবন এবং আর একটি প্রকোষ্ঠ নবদ্বীপ। শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে যে লীলাবিলাস করছেন তারই প্রতিরূপ এই নবদ্বীপ। বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ ব্রজগোপিকাদের সঙ্গে রাস লীলা-বিলাস করছেন তাঁর পার্ষদদের সঙ্গে। আর সেই কৃষ্ণ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রূপে তাঁর পার্ষদের সঙ্গে সংকীর্ত্তন লীলা বিলাস করছেন। তিনি বৃন্দাবনে যে কৃষ্ণপ্রেম আস্বাদন করছেন, নবদ্বীপে তিনি সেই প্রেম বিতরণ করছেন। পার্থক্য কেবল একই লীলার দুটি দিক।

এক লীলায় শ্রীকৃষ্ণ প্রেম আস্বাদন করছেন, আর অন্য লীলায় সেই প্রেম বিতরণ করছেন শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুরূপে। তিনি মাধুর্যলীলায় কৃষ্ণপ্রেম বা প্রেমভক্তি আস্বাদন করছেন আর নবদ্বীপে ঔদার্যলীলায় অত্যন্ত উদারভাবে তিনি সেই প্রেম বা প্রেমভক্তি বিতরণ করছেন। বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণের যে লীলা সেটি সর্বোত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ।

‘’জয় জয়োজ্জ্বল-রস সর্বরসসার।

পরকীয়া ভাবে যাহা ব্রজেতে প্রচার ॥‘’

রস হচ্ছে আনন্দ আস্বাদনের বা সম্পর্ক স্থাপনের ভিত্তি। যে বস্তুটির দ্বারা ভাবের বিনিময় হয় বা সম্পর্ক স্থাপন হয় সেটিই হচ্ছে রস। এখন সমস্ত রসের মধ্যে এই রস বারো প্রকার। তার মধ্যে ৫টি মুখ্য এবং ৭ট গৌণ। ৫ টি মুখ্যরস হচ্ছে শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর। আর ৭টি গৌণরস– হাস্য, অদ্ভুত, বীর, রৌদ্র, ভয়ানক, করুন, বীভৎস্য। এখন এই ১২টি রসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ–‘জয় জয়োজ্জ্বল রস সর্বরস সার।

সমস্ত রসের যে সারাতি সার সেইটি ব্রজে ‘পরকীয়া ভাবে যাহা ব্রজেতে প্রচার।’ সেই বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণের যে লীলা তা মাধুর্য-উজ্জ্বল রসের প্রকাশ। এখন সেই ব্রজের সম্পদটি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুরূপে নবদ্বীপে তা বিতরণ করছেন ঔদার্য রসে। তিনি অকাতরে কোন রকমের যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিচার না করে সেই বস্তুটি তিনি সকলকে দান করছেন। এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর লীলাস্থলী হচ্ছে সেই মায়াপুর। নবদ্বীপ হচ্ছে ৯ টি দ্বীপ। এই দ্বীপটি ভগবদ্ধাম। আর তার রূপটি–

‘’সহস্রপত্রকমলং গোকুলাখ্যং মহৎপদম্’’– গোকুল সেটি সহস্র পত্র সমন্বিত, হাজার হাজার পাপড়ি সমন্বিত একটি পদ্মের মতো। এই পদ্মের মাঝখানে রয়েছে একটি কোরক। কোরকের চারপাশে প্রথম পংক্তিতে রয়েছে ৮টি পাপড়ি বা পত্র। সেই কোরকটি হচ্ছে এই অর্ন্তদ্বীপ বা মায়াপুর। আর তার চার পাশে ৮টি পাপড়ি হচ্ছে আটটি দ্বীপ– সীমন্ত দ্বীপ, গোদ্রুম দ্বীপ, মোদদ্রুম দ্বীপ, জহ্নুদ্বীপ, কোলদ্বীপ, ঋতুদ্বীপ ও রুদ্রদ্বীপ।

এই অন্তর্দ্বীপে ঠিক মাঝখানে রয়েছে যোগপীঠ। সেই যোগপীঠে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আবির্ভূত হয়েছেন। যেটি হচ্ছে তাঁর জন্মলীলা স্থান। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই নবদ্বীপে লীলা বিলাস করেছেন তাঁর প্রথম ২৪ বছর। অর্থাৎ তাঁর জন্মলীলা থেকে কৌমারলীলা। বাল্যলীলা, কৌমার লীলা, কৈশোর লীলা এভাবে গার্হস্থ্য লীলা। গার্হস্থ্য লীলার পর শ্রীচেতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ২৪ বছর বয়সে। সেই সন্ন্যাস লীলায় মহাপ্রভু বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন এবং বিশেষভাবে তিনি জগন্নাথপুরীতে অবস্থান করেছিলেন। বাকি ২৪ বছরের মধ্যে ৬ বছর তিনি ভ্রমণ লীলা করেন। আর বাকি ১৮ বছর তিনি জগন্নাথপুরীতে ছিলেন। শ্রীজগন্নাথপুরীতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যে লীলা করেছেন সেটি বিপ্রলম্ভের পরাকাষ্ঠা। শ্রীকৃষ্ণের বিরহে ভক্তের যে আকুলতা, কৃষ্ণের বিরহে রাধারাণীর যে আকুলতা, সেই আকুলতাটি চৈতন্য মহাপ্রভু জগন্নাথপুরীতে আস্বাদন করেন।

এইভাবে বিপ্রলম্ভ ভাব প্রকাশ করে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের শিক্ষা দিলেন কিভাবে ভক্ত হতে হয়। সম্ভোগ আর বিপ্রলম্ভ, প্রেমের সম্পর্ক। মহাপ্রভু দেখিয়ে গেলেন বিপ্রলম্ভই হচ্ছে ভগবদ্ভক্তি আস্বাদনের সর্বশ্রেষ্ঠ স্তর। এবং সেই বিপ্রলম্ভ ভাব অবলম্বন করে বা সেই বিরহে আকুল হয়ে ভগবানের প্রতি ভক্তি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রদর্শন করে গেছেন। সেই বস্তুটি শ্রীল প্রভুপাদ সারা পৃথিবী জুড়ে বিতরণ করে গেছেন। সুতরাং যারা এই কৃষ্ণভক্তি অর্জন করতে পারে তাদের বুঝতে হবে এটি এক মহা সৌভাগ্যের ফল স্বরূপ। কৃষ্ণ ভক্তির কাছে ‘কৈবল্যং নরকায়তে’–মুক্তি নরক সদৃশ বলে মনে হয়। ‘ত্রিদশপুরাকাশপুষ্পায়তে’–স্বর্গসুখকে আকাশ কুসুম বলে মনে হয়। দুর্দান্ত-ইন্দ্রিয়-কালসর্পপটলী ‘প্রোৎখাত দংষ্ট্রায়তে’–অদ্যম, দুর্দমনীয় এই সমস্ত ইন্দ্রিয়গুলি যাকে কিছুতেই বশ করা যায় না। যে ইন্দ্রিয়সুখ ভোগের জন্য সর্বদা লালায়িত হয়ে কত রকমের কুকার্য্য করা হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় যখন এই কৃষ্ণভক্তি লাভ হয় তখন সেই ইন্দ্রিয়গুলি দাঁত ভাঙা সর্পের মতো মনে হয়।

‘প্রোৎখাত দংষ্ট্রায়তে’। বিষধর সাপের দাঁতগুলি যদি ভেঙ্গে দেওয়া হয়, তখন কি আর ভয় থাকে! ঠিক তেমন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় যখন কৃষ্ণভক্তি লাভ হয় ইন্দ্রিয়গুলি প্রকৃষ্টরূপ উৎখাত - দন্ত সাপের মতো হয়ে যায়। সেগুলি তখন ক্ষতি করতে পারে না। ইন্দ্রিয়গুলির কার্যকলাপ থাকে কিন্তু তা থেকে কোনো রকমের ভয়ের কিছু থাকে না। এমনই এক অপূর্ব সুন্দর সম্পদ হচ্ছে এই কৃষ্ণভক্তি। যা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় আজকে আমরা লাভ করতে পেরেছি। এখন এই সম্পটিকে আমাদের যথাযথভাবে সদ্ব্যবহার করতে হবে। নিজে গ্রহণ করাটাই যথেষ্ট হবে না। নিজে গ্রহণ করে সেটি অন্যদের কাছে বিতরণ করতে হবে। এই কাজটি মহাপ্রভু স্বয়ং দিয়ে গেছেন। এই দায়িত্বভার। মহাপ্রভু বলেছেন,- ‘’যারে দেখ তারে কহ কৃষ্ণ উপদেশ।‘’ যাকে দেখ তাকে কৃষ্ণের বাণী, কথা উপদেশ দাও।

‘’পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম।

সর্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম।।‘’

ভগবদগীতায় যে কথাগুলি শ্রীকৃষ্ণ বলে গেছেন সেই কথাগুলি প্রচার কর। জীবকে এই বস্তুটি দান কর। তার ফলে শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন হন। শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন যারা কৃষ্ণভক্তির প্রচার করে তারা সবচাইতে প্রিয়। অতএব শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি সাধনের জন্য অথবা কৃষ্ণের কৃপালাভের জন্য আমাদের এই কৃষ্ণভক্তি প্রচারে যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত এবং আমাদের যতটুকু ক্ষমতা সেই ক্ষমতা অনুসারে আমাদের প্রচার করতে হবে। কারো ক্ষমতা অনেক বেশী থাকে সে অনেক ব্যাপক ভাবে প্রচার করবে। যাদের ক্ষমতা কম তারা অল্প বা স্বল্পভাবে প্রচার করবে। কিন্তু প্রচার আমাদের সকলকে করতে হবে।

‘’কলের্দোষনিধেরাজন্ অস্তি হ্যেকো মহানগুণঃ I

কীর্ত্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ I I‘’ (শ্রীমদ্ভাগবত)

কলি সমস্ত দোষের বটে, তথাপি হে রাজন ! কলির একটি মহানগুণ এই যে, কৃষ্ণকীর্ত্তনে জীব মায়াবদ্ধ হইতে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণরূপ পরতত্ত্ব লাভ করেন।

‘’নাম - সংকীর্ত্তন যস্য সর্বপাপ প্রণাশনম্।

প্রণামো দুঃখশমনস্তং নমামি শ্রীহরিং পরম্।।‘’

যে হরিনাম সংকীর্ত্তন করিলে ইহকাল ও পরকালের পাপরাশি নিঃশেষে দগ্ধ হয়,আমি সেই নামরূপী পরমাত্মা স্বরূপ শ্রীহরিকে প্রণাম করি। পরমকরুণাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতী রাধারাণী এবং সকল বৈষ্ণব ভক্ত - পার্ষদদের শ্রীচরণকমলে নিরন্তর প্রার্থনা করি, সকলের জীবন যেনো রাধা-কৃষ্ণময়তায় পূর্ণ হয়ে, মঙ্গলময়, কল্যাণময়, ভক্তিময়, সুন্দরময় আর আনন্দময় হয়ে উঠুক।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে !

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে !!"


Post a Comment

0 Comments