💁🏼♂️
➡️ #জীবন_বাজিরেখেও_কৃষ্ণসেবা_করা_উচিত!
রাম লীলায় যখন সীতাদেবীকে রাবণ হরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন ভক্ত পাখি জটায়ু সীতাদেবীকে রক্ষা করতে রাবণকে আক্রমণ করেছিলেন। তাঁর কোন সাদৃশ্যই ছিল না। তিনি ইতোমধ্যেই বৃদ্ধ ছিলেন। রাবণের সাথে তাঁর কোন সমকক্ষতাই ছিল না। তবুও তিনি সীতাদেবীকে হরণ হতে দেখে অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি।
তাই তিনি যে নিশ্চিত ভাবেই রাবণের সম-কক্ষ হতে পারবেন না সেটি জানা সত্ত্বেও তিনি নির্ভয়ে তার মাংসপেশি চিরে, থাবা ও ঠোঁট দিয়ে আচড় কেটে সীতাদেবীকে হরণে বাঁধা দেবার চেষ্টা করেছিলেন।
অবশ্যই তাঁর আক্রমণে অত্যন্ত বিভ্রান্ত হয়ে, রাবণ সীতাদেবীকে নিয়ে যেতে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল। প্রথমে সে তার তলোয়ার বের করল এবং জটায়ুর পাখাগুলি কেটে দিল। অবশ্যই রামচন্দ্রের আগমন ও সীতাদেবীকে কে হরণ করে নিয়ে গিয়েছে সে খবর দেওয়া পর্যন্ত জটায়ু বেঁচে ছিলেন।
শ্রীল প্রভুপাদ আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে জটায়ুর এই মনোভাব যে যা কিছুই হোক না কেন, সে জিতবে নাকি না, সেটি বিবেচনা না করে, ভক্ত কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করে যায়, এমনকি তা নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও। "
~শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ!🙌🏾
[ ২৯ শে এপ্রিল, ১৯৮০ ]
0 Comments