-বৈষ্ণব সার্বভৌম সিদ্ধ শ্রীল জগন্নাথ দাস বাবাজী মহারাজের কয়েকটি উপদেশামৃতঃ-
.
১) কখনো বিষয়ীর অন্নগ্রহণ করিও না, গ্রহণ করিলে বিষয়ী হইয়া যাবে।
.
২) সাংসারিক অমঙ্গলকে ভগবানের দয়া বলিয়া জানিবে।
.
৩) 'সেবা করিয়াছি' বলিয়া ঢাক পিটাইয়ো না, তখন আর ইহাকে 'সেবা' বলা যাইবে না।
.
৪) গৌরধাম কৃপা করিলেই ব্রজবাস হয়।
.
৫) কখনো মর্কটবৈরাগীর (বিরক্তবেষী কপট সাধু) সহিত মিশিও না।
.
৬) অন্তরে ঐকান্তিক কৃষ্ণসেবার জন্য অনুরাগ না আসিলে বাহিরে বেষগ্রহণ করিলে তাহাকে পরমহংস বলা যায় না।
.
৭) নির্জনভজনের ছলনায় অলস হইও না।
.
৮) অপরাধের সহিত লক্ষ লক্ষ মালা টানিবার চেয়ে বৈষ্ণবসেবার জন্য বাগানে চাষ ও গাছে জল দেওয়া অধিক মঙ্গলজনক।
বৈষ্ণবসেবার ফলে শ্রীহরিনামে অকপট রুচি আসিবে।
.
৯) বৈষ্ণবের অনুকরণ করিও না, পুড়িয়া মরিবে। তাঁহার অকপট সেবা যাচনা কর।
.
১০) যিনি হরিসেবার অর্থ ভোগ করেন, তিনি মহাপাষণ্ডী।
.
১১) সাধারণ চোরের কখনো কখনো মঙ্গল হইয়া থাকে, কিন্তু গুরু-বৈষ্ণবের নামে অর্থ ভোগকারীর কখনোই মঙ্গল হয় না।
.
.
১২) অন্যাভিলাষের সহিত গুরু-বৈষ্ণবের সেবা করলে তাঁহারা সেবকাভিমানীকে লাভ-পূজা-প্রতিষ্ঠা দিয়া সরে পড়েন।
.
.
১৩) আনুগত্যময় আচরণই সদাচার, স্বতন্ত্রতাই কদাচার।
১৪) কৃত্রিম অষ্টকালীন লীলা স্মরণপদ্ধতি রূপানুগ ভজনরীতি নহে শ্রীনামকীর্তনযোগে স্মরণই গোস্বামীগণের সিদ্ধান্ত।,,
0 Comments