⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜
*꧁বৃন্দাদেবীর শ্রীবিগ্রহ প্রকট রহস্য꧂*
*☆☆꧁বৃন্দাদেবীর সৌন্দর্য꧂☆☆*
*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*
*💠⚜💠লীলা পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অবসানে বজ্রনাভ ব্রজে দেবী চতুষ্টয়ের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। তার মধ্যে শ্রীবৃন্দাবনের বৃন্দাদেবীর বিগ্রহ অন্যতম। কাল প্রভাবে বৃন্দাদেবীর শ্রীবিগ্রহ বৃন্দাবনের ব্রহ্মকুণ্ডতটে সংগোপনে অবস্থান করছিলেন।*
*💠⚜💠এক সময় শ্রীল রূপগোস্বামী স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ব্রহ্মকুণ্ড তট হতে শ্রীবৃন্দাদেবীর বিগ্রহ প্রকট করেন। "শ্রীভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে শ্রীল নরহরি সরকার ঠাকুর বলেছেন--*
*"শ্রীরূপে শ্রীবৃন্দা স্বপ্নচ্ছলে জানাইলা।*
*ব্রহ্মকুণ্ড তট হইতে তাঁরে প্রকাশিলা॥*
*শ্রীবৃন্দাদেবীর শোভা মহিমা অপার।*
*সর্বকার্য সিদ্ধ হয় হৈলে কৃপা তাঁর॥"*
*💠⚜💠"সাধন দীপিকা"_গ্রন্থে বলা হয়েছে--*
*ব্রহ্মকুণ্ডতটোপান্তে বৃন্দাদেবী প্রকাশিতা।*
*প্রভোরাজ্ঞা বলেনাপি শ্রীরূপেনকৃপাদ্ধিনা*
'
*💠⚜💠"মহাপ্রভুর আদেশ বলে কৃপাসিন্ধু শ্রীরূপ গোস্বামী ব্রহ্মকুণ্ডের তট সমীপে শ্রীবৃন্দাদেবীকে প্রকট করেছিলেন।*
*💠⚜💠তাঁর দিব্য সৌন্দর্য সম্পর্কে বন্দনা করে বলা হয়েছে-*
*"চুড়ায়াং চারুরত্নাম্বর মণি মুকুটং*
*বিভ্রতীং মূধ্নি দেবীং*
*কর্ণদ্বন্দ্বে চ দীপ্তে পুরট বিরচিতে*
*কুণ্ডলে হারিহারান্।*
*নিষ্কং কাঞ্চীং সুহাসাং ভূজকট কতুলা*
*কোটি কাদীং চ বন্দে*
*বৃন্দাং বৃন্দাবনান্তঃ সুরুচির বসনাং*
*শ্রীল গোবিন্দ পার্শ্বে॥"*
*💠⚜💠"শ্রীবৃন্দাবন মধ্যে শ্রীল গোবিন্দ দেবের পার্শ্বে বিরাজিতা, মস্তক চূড়ায় চারু রত্নাম্বর ও মণি মুকুট, কর্ণ যুগলে স্বর্ণ রচিত উজ্জ্বল কুণ্ডলদ্বয়, বক্ষে সুচারু হার ও পদক কটিতে সুবিকশিত চন্দ্রহার, হস্তে বলয়, চরণে নূপুর প্রভৃতি অলঙ্কার ধারিণী, অতিমনোহর বস্ত্র পরিহিতা শ্রীবৃন্দাদেবীকে বন্দনা করি।*
🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇🙇
*"শ্রীবৃন্দায়া পাদাব্জেং সুরমুণি-*
*সকলৈশ্চাপি ভক্তানুবন্দং*
*প্রেম্না সংসেব্যমানং কাল-*
*কলুষ হরং সর্ববাঞ্ছা প্রদঞ্চ।*
*বক্তব্যং চাত্র কিম্বানু যদনু-*
*ভজতো দুর্লভে দেবলোকেঃ*
*শ্রীমদ্বৃন্দাবনেঽস্মিন্ নিবসতি-*
*মনুজঃ সর্বদুঃখৈ বিমুক্তঃ॥"*
*💠⚜💠দেবতা ও মুনিগণের সর্বদা ভক্তি সহকারে বন্দনীয় শ্রীবৃন্দাদেবীর পাদপদ্ম প্রেমভরে সম্যগ রূপে সেবিত হলে কলিকলুষ হরণ করেন এবং সর্ব অভীষ্ট প্রদান করেন। সেই পাদপদ্মে নিত্য ভজন পরায়ণ ব্যক্তি সর্ববিধ দুঃখ হতে মুক্ত হয়ে দেবগণেরও দুর্লভ শ্রীবৃন্দাবনে বাস করেন।🙇*
'
*💠⚜💠একসময় বৃন্দাবনে যবন অত্যাচার হলে ব্রজের বিগ্রহগণ জয়পুরে স্থানান্তরিত হয়। বৃন্দাদেবীর বিগ্রহ অনুরূপভাবে জয়পুরের রাজা রাজধানী জয়পুরে স্থানান্তরিত করা কালীন নন্দ গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে গুপ্তকুণ্ডের সন্নিকটে রেখে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম করেছিলেন। সেই জন্য ঐ স্থানের নাম বৃন্দাস্থলী এবং নিকটস্থ কুণ্ডের নাম বৃন্দাকুণ্ড। বর্তমানে সেখানে একটি বৃন্দাদেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বিগ্রহ জয়পুরে স্থানান্তরকারী লোকজন গাড়ী নিয়ে কাম্যবনে প্রবেশ করেন। ব্রহ্মকুণ্ডের তটে প্রাপ্ত এখন কাম্যবনেই বিরাজিত। কাম্যবনে বৃন্দাদেবীর অবস্থান সম্পর্কে "ভক্তমাল" গ্রন্থে বলা হয়েছে--*
*"ব্রহ্মাকুণ্ড হইতে বৃন্দাদেবী উঠিলা।*
*এবে কাম্যবনে যেহ যাইয়া রহিলা॥*
*রাজা জয় সিংহ জয়পুরে লয়্যা যায়।*
*কাম্যবনে যাই তথা বিশ্রাম করয়॥*
*রাত্রে রহি প্রাতঃকালে গমনে উদ্যোগে।*
*লইয়া যাইতে চাহে রথের সংযোগে॥*
*উঠাইতে না পারিল দশজনে ধরি।*
*যাইতে বাসনা নহে হইলেন ভারি॥*
*আশয় বুঝিয়া রাজা নিরস্ত হইল।*
*তথায় মন্দিরাদি বানাইয়া দিল॥"*
*💠⚜💠অদ্যাবধি শ্রীমতী বৃন্দাদেবী কাম্যবনে অবস্থান করছেন এবং ভক্তগণকে দর্শন দান করছেন।*
⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜⚜
*☆꧁🙌জয় জয় ভক্তিদেবী🙌꧂☆*
*☆꧁🙌জয় জয় শ্রীরাধে🙌꧂☆*
*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*
0 Comments