**--*******ভক্ত গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুর ********

মহাপ্রভুর মহিমা কীর্তন

একদিন এক ভক্তের গৃহে ভোজন শেষ করিয়া মহাপ্রভু মুখশুদ্ধির জন্য একটু হরীতকী চাহিলেন।


ঘটনাক্রমে সেইদিন সেই গৃহে হরীতকী ছিল না।

অন্যান্য ভক্তগণ মহাপ্রভুর প্রসাদ গ্রহণে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু গোবিন্দ ঘোষ অতিশয় ক্ষুধার্ত থাকা সত্ত্বেও প্রসাদ গ্রহণ না করিয়াই হরীতকী সংগ্রহের জন্য নানা স্থানে ছুটাছুটি করিতে লাগিলেন। 


শেষ পর্যন্ত বহুদূরে বনের মধ্যে এক হরীতকী গাছ 

দেখিতে পাইলেন। অনেক বিলম্ব হইল দেখিয়া তিনি তাড়াতাড়ি গাছে উঠিয়া কতকগুলি হরীতকী 

পাড়িলেন।তারপর ফিরিয়া আসিয়া মহাপ্রভু্কে একটি হরীতকী দিয়া অবশিষ্ট চাদরের আঁচলে বাঁধিয়া রাখিলেন।


পরের দিন আর এক বাড়িতে ভোজন হইলে মহাপ্রভু হরীতকী চাহিলেন। গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুর আঁচল খুলিয়া মহাপ্রভুকে তখনই একটা হরীতকী দিলেন। মহাপ্রভু জিজ্ঞাসা করিলেন, " গোবিন্দ!  

গতকাল হরীতকী সংগ্রহ করিতে তোমার এত  বিলম্ব হইয়াছিল,


আর আজ এখনই ইহা পাইলে কোথায় ❓'' 

গোবিন্দ  ঘোষ  ঠাকুর বলিলেন, " প্রভু  ! 

কাল আপনার সেবায় বিঘ্ন হইয়াছিল দেখিয়া কয়েকটি হরীতকী আঁচলে বাঁধিয়া রাখিয়াছিলাম।

তাহা হইতে এখন একটি দিলাম।'' 


মহাপ্রভু বিরক্তির ভাব দেখাইয়া বলিলেন, " গোবিন্দ  !  তোমার এখনও সঞ্চয়ের বাসনা দূর হয় নাই।তুমি আর অধিক দূর আমার সঙ্গে যাইতে 

পারিবে না।


এখান হইতে গৃহে ফিরিয়া যাও।সেখান স্বধর্ম পালন কর, " মহাপ্রভুর এই আদেশ গোবিন্দের হৃদয়ে শেলের ন্যায় বিদ্ধ হইল।তিনি কাঁদিয়া আকুল হইলেন।


"গদাধর দাস আর শ্রীগোবিন্দ ঘোষ।

যাঁহার প্রকাশ দেখি, প্রভুর সন্তোষ।। -- দেবকীনন্দন। 


এ হেন গোবিন্দ এই দশায় উপস্থিত ভক্তগণ বড়ই 

ব্যথিত হইলেন। তাঁহারা মহাপ্রভুকে অনুনয় করিয়া বলিলেন, " প্রভুপাদ, আপনার সেবার আশায় গোবিন্দ স্ত্রী- পুত্র ঘর সংসার সবই ছাড়িয়া আসিয়াছে।


আপনার সেবা ভিন্ন সে আর কিছুই চাহে না।

আপনার সেবার বিঘ্ন সহ্য করিতে না পারিয়াই সে 

হরীতকী সঞ্চয় করিয়া রাখিয়াছিল।তাহাকে একবার ক্ষমা করুন!  প্রভু। ''

কিন্তু ইহাতেও মহাপ্রভু আদেশ প্রত্যাহার করিলেন 

না।ভক্তগণ প্রমাদ গণিলেন। 


" মহাপ্রভু কৃপাসিন্ধু কে পারে বুঝিতে।

নিজ ভক্তে দণ্ড করে ধর্ম বুঝাইতে।।'' চৈঃচঃ।। 


গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুর হাউ হাউ করিয়া কাঁদিতে লাগিলেন। কিন্তু মহাপ্রভুর আদেশ লঙ্ঘন করা 

তাঁহার সাধ্য ছিল না।

তাই বিষন্ন বদলে তিনি মহাপ্রভুকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম 

করিলেন। 

তারপর ভক্তগণে চরণ বন্দনা করিয়া চোখের জল মুছিতে মুছিতে ফিরিয়া আসিতে লাগিলেন।

সেই সময় মহাপ্রভু ডাকিয়া বলিলেন, " গোবিন্দ! 

ফিরিয়া যাও, হতাশ হইও না।

ঘরে থাকিয়া আমাকে পাইবে। '' 

গোবিন্দ এই কথার অর্থ বুঝিলেন না।তাঁহার এই 

বিষম দুঃখে এই কথায় কোনো সান্ত্বনাও মিলিল

না। --------- কি হবে গোবিন্দ ঘোষ ঠাকুরের---

পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন - অপেক্ষা থাকুন। 


হরে কৃষ্ণ হরে  কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে  হরে।।

জয় নিতাই গৌর হরিবোল। 

জয় গৌর  বিষ্ণুপ্রিয়া। 

জয় রাধে গোবিন্দ।। 

জয় শ্রীকৃষ্ণই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ''*********

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏।

Post a Comment

0 Comments