*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*

     _*বাস্তবিক অমৃত কোথায় পাওয়া যায়?*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*

_*❈❀━┉শাস্ত্রে বলা হয়েছে--*_

   _*“অবধৌ বিধৌ বধূমুখে ফণিনাং নিবাসে*_

     _*স্বর্গেসুধা বসতি বিবুধা বদন্তি,*_

  _*ক্ষারং ক্ষয়ং পতিমৃতং গরলং পতন্তম্॥*_

    _*কন্ঠে সুধা বসতি বৈ ভাগবতজনানাঃ॥”*_


_*❈❀━┉অর্থাৎ পণ্ডিতগণের মধ্যে কেউ বলেন, অমৃত পাওয়া যায় মহাসাগরে কারণ সমুদ্রমন্থনে অমৃত উত্থিত হয়েছিল।*_


_*❈❀━┉কেউ বলেন অমৃত পাওয়া যায় চন্দ্রলোকে কারণ সেখানে সোমরসের সন্ধান মেলে।*_


_*❈❀━┉কেউ বলেন অমৃত পাওয়া যায় বধূমুখে, কারণ সুন্দরী পতিব্রতা স্ত্রীমুখের মিষ্টি কথা অমৃততুল্য।*_


_*❈❀━┉কেউ বলেন অমৃত পাওয়া যায় সর্পের বসতি নাগলোকে কারণ যুধিষ্ঠির ভ্রাতা ভীম নাগলোকে গিয়ে দশ কলসী অমৃত পান করে দশহাজার হস্তির সমান বল পেয়েছিলেন।*_


_*❈❀━┉কেউ বলেন অমৃত পাওয়া যায় স্বর্গলোকে কারণ স্বর্গের আর এক নাম অমরাবতী।*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*


_*❈❀━┉প্রতিপক্ষের পণ্ডিতগণ বললেন--*_

_*❈❀━মহাসাগরে যদি অমৃত পাওয়া যায় তাহলে পুরো মহাসাগরের জলটাও অমৃতসম হতে পারত, সেখানের জল কেন ক্ষারযুক্ত লবানাক্ত?*_


_*❈❀━কেউ বললেন, চন্দ্রলোকে যদি অমৃত পাওয়া যায় তাহলে পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত চন্দ্রের কেন ক্ষয় হয়, প্রত্যেক রাত্রিতেই তো পূর্ণচন্দ্র থাকতে পারত?*_


_*❈❀━কেউ বললেন, সুন্দরী পতিব্রতা বধূমুখে যদি অমৃত থাকত তাহলে সেই স্ত্রীর নিত্য কন্ঠসুধা আস্বাদনকারী, মুখশ্রী দর্শনকারী পতির কেন মৃত্যু হয়?*_


_*❈❀━কেউ বললেন, স্বর্পের নিবাস নাগলোকে যদি অমৃত পাওয়া যায়, তাহলে স্বর্পের কন্ঠে বিষ কেন থাকে?*_


_*❈❀━কেউ বললেন, স্বর্গলোকে যদি অমৃত পাওয়া যায়, স্বর্গলোকবাসী যদি অমর হয় তাহলে পূণ্য ক্ষয়ে সেখান থেকে অধঃপতন কেন হয়?*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*


_*❈❀━তাহলে, প্রকৃত অমৃত তো কোথাও পাওয়া যায় না, যা পান করলে চির অমরত্ব লাভ করা যায়! মহাসাগরেও নয়, চন্দ্রলোকেও নয়, সুন্দরী বধূমুখেও নয়, সর্পলোকেও নয় এবং স্বর্গেও নয়! কোথাও প্রকৃত অমৃত মেলে না! তাহলে কোথায় প্রকৃত অমৃত মেলে যা পান করলে নিত্য শাশ্বত অমরত্ব লাভ হয়?*_

   _*শাস্ত্র বললেন--*_

    _*কন্ঠে সুধা বসতি বৈ ভাগবতজনানাঃ॥”*_


_*❈❀━অর্থাৎ, একমাত্র যাঁরা মহাভাগবত,শাস্ত্র তত্ত্ববেত্বা, প্রেমিক, করুণাময় সাধুগণের শ্রীকন্ঠে সেই পরমামৃতের নিবাস যা আস্বাদন করলে অনন্ত কোটি বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত জীবাত্মা নিত্য শাশ্বত চিন্ময় ধামে গমন করে চির অমরত্ব লাভ করে ধন্যাতিধন্য হতে পারে! সুতরাং সেই মহাভাগবত প্রেমিক কৃষ্ণভক্ত গণের সঙ্গ যদি কখনও লব পরিমাণও কারও হয়ে থাকে তবে যে কেউ সেই পরমামৃত একবিন্দু পান করেও সর্বসিদ্ধি ও অমরত্ব লাভ করতে পারবে!*_

*•••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••••*


  _*❀কে বড়?জীবের কোন্ কীর্তি বড়?❀*_

*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*

_*'কীর্তিগণ-মধ্যে জীবের কোন্ বড় কীর্তি?'*_

_*কৃষ্ণভক্ত বলিয়া যাঁহার হয় খ্যাতি॥'*_

*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*


_*❈❀━┉┈❈শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু রামানন্দ রায়কে জিজ্ঞাসা করলেন,"সমস্ত কীর্তির মধ্যে কোন্ কীর্তি শ্রেষ্ঠ?" রামানন্দ রায় উত্তর দিলেন,"কৃষ্ণভক্ত বলে যিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন, তিনিই সবচাইতে বড় কীর্তিমান।"*_

*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*

_*❈গরুড়-পুরাণে বলা হয়েছে--*_

_*"কলৌ ভাগবতাং নাম দুর্লভং নৈবলভ্যতে।*_

_*ব্রহ্মরুদ্র পদোৎকৃষ্টং গুরুণা কথিতং মম॥"*_

                *┈┉━❀❈❀━┉┈*

_*❈❀━┉┈কলিযুগে 'ভাগবত' নামক খ্যাতি অত্যন্ত দুর্লভ। অথচ, এই পদটি ব্রহ্মা, রুদ্র আদি মহান দেবতাদের পদের থেকেও উৎকৃষ্ঠ।আমার গুরুগণ আমাকে এই কথা বলেছেন।"*_

*••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*


_*❀গরুড় পুরাণে আরও বলা হয়েছে-*_

_*"ব্রাহ্মণানাং সহস্রেভ্যঃ সত্রযাজী বিশিষ্যতে।*_

_*সত্রযাজি-সহস্রেভ্যঃ সর্ববেদান্ত পরাগঃ॥*_

_*সর্ববেদান্তবিৎকোট্যা বিষ্ণুভক্তো বিশিষ্যতে॥*_

_*বৈষ্ণবানাং সহস্রেভ্যঃ একান্ত্যেকো বিশিষ্যতে॥*_

_*একান্তিনস্তু পুরুষা গচ্ছন্তি পরমং পদম্॥"*_

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

_*❀"হাজার হাজার ব্রাহ্মণের মধ্যে কদাচিৎ দুই একজন যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার যোগ্যতাসম্পন্ন হন এবং এইরকম হাজার হাজার যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণের মধ্যে কদাচিৎ দুই-একজন সর্ববেদান্ত-পারগ হন। এইরকম কোটি কোটি বেদান্তের মধ্যে কদাচিৎ দুই-একজন বিষ্ণুভক্ত পাওয়া যায় এবং এইরকম হাজার হাজার বিষ্ণুভক্তের মধ্যে কদাচিৎ দুই একজন কৃষ্ণভক্ত দেখা যায়, যারা সর্বতোভাবে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত। এইভাবে দেখা যায় যে, ঐকান্তিক 'কৃষ্ণভক্তের' স্থান সবার উপরে।"*_

*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*


_*❀শ্রীমদ্ভাগবতেও(৩/১৩/৪) বলা হয়েছে--*_

_*❈❀━┉┈কঠোর পরিশ্রম করে যিনি গভীর বৈদিক জ্ঞান লাভ করেছেন,তিনি অবশ্যই অত্যন্ত যশস্বী।কিন্তু যিনি সর্বক্ষণ তাঁর হৃদয়ে মুকুন্দ-পদারবিন্দের মহিমা শ্রবণ ও কীর্তন করেছেন, তিনি অবশ্যই তাঁর থেকেও শ্রেষ্ঠ।"*_

*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*


_*"ভবদ্বিধা ভাগবতাস্তীর্থভূতাঃ স্বয়ং প্রভো।*_

_*তীর্থিকুর্বন্তি তীর্থানি স্বান্তঃস্থেন গদাভৃতা॥"*_

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

_*🌼" 'আপনার মতো ভাগবতেরা নিজেরাই তীর্থস্বরূপ। তাঁদের পবিত্রতার জন্য ভগবান সর্বদা তাঁদের হৃদয়ে অবস্থান করেন; এবং তাই তাঁরা পাপীগণের পাপ দ্বারা মলিন তীর্থস্থানগুলিকে পবিত্র করেন।"*_

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

_*🌼এই শ্লোকটি শ্রীমদ্ভাগবতে (১/১৩/১০) বিদুরের প্রতি মহারাজ যুধিষ্ঠিরের উক্তি। তীর্থ ভ্রমণের পর বিদুর যখন গৃহে ফিরে আসেন, তখন যুধিষ্ঠির মহারাজ তাঁর মহাভাগবত পিতৃব্যকে এই স্তুতিবাক্যের দ্বারা বন্দনা করেন "আপনার মতো ভাগবতেরা স্বয়ং তীর্থস্থান সদৃশ, কেননা শ্রীবিষ্ণু সর্বদা আপনাদের হৃদয়ে বিরাজ করেন। পাপীদের আগমনের ফলে পঙ্কিল তীর্থস্থানগুলি আপনাদের পদার্পনে পুনরায় পবিত্র হয়।"*_

     _*পাপী মানুষেরা পবিত্র হওয়ার জন্য তীর্থস্থানে যায়। তীর্থস্থানে বহু সাধু-সন্ত বাস করেন এবং শ্রীবিষ্ণুর বহু মন্দির সেখানে রয়েছে; কিন্তু বহু পাপীর আগমনে তীর্থস্থানগুলি দূষিত হয়। কোনও ভাগবত যখন তীর্থ স্থানে দূষিত হন, তখন তাঁর আগমনের প্রভাবে তীর্থক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের সঞ্চিত পাপসমূহ বিনষ্ট হয়। তাই মহারাজ যুধিষ্ঠির বিদুরকে একথা বলেন।*_

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

Post a Comment

0 Comments