🍀সাধারণত যখন আমরা কস্টের মধ্যে থাকি,আমাদের কস্টের কারন-খুজতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় আমরা উপনিত হই,যে এইটা অন্যের কারন..


🍀অন্যের জন্যে আমরা কস্ট পাই,..সাধারণত এইটি ই আমাদের মনোভাব..


🍀আমার কোন দোষ নেই,আমি তো ঠিক ই ছিলাম,ও আমাকে কস্ট দিলো..


🍀ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলছেন যে,"নিজ কর্ম গুনে দোষে,যে যে জন্ম পায়"..


🍀আমাদের কর্ম অনুসারে আমরা বিভিন্ন পরিবারে জন্মগ্রহণ করি..আমরা কি এইরকম ভেবেছিলাম নাকি যে,উনি আমার বাবা হবেন বা উনি আমরা মা হবেন,"চলো আমরা, ধরাধামে যাই..


🍀ভক্তিবিনোদ ঠাকুর গেয়েছেন,"ভুলিয়া তোমারে সংসারে আসিয়া পেয়ে নানাবিধ ব্যাথা"...আমাদের কস্টের কারন হচ্ছে- কৃষ্ণকে ভুলে যাওয়া...


🍀 কৃষ্ণ ভুলি যেই জীব অনাদি বর্হিমূখ,অতএব মায়া তারে দেয় সংসার আদি দুখ"


🍀 কৃষ্ণকে ভুলে আমরা কস্ট পাচ্ছি,.এর জন্য,ওর জন্য না...


🍀যেহেতু আমরা কৃষ্ণকে ভুলে গেছি,তাই আমরা এত কস্ট পাচ্ছি...


🍀কৃষ্ণকে ভুলা যদি আমাদের কস্টের কারন হয়,তাহলে কৃষ্ণকে স্মরণ করাই, কৃষ্ণভক্ত হওয়াই,সমস্ত দুঃখ-কস্ট থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে..


🍀আমরা বড় ভুল করবো,যদি কৃষ্ণকে বাদ দিয়ে,ভগবতভক্তিকে বাদ দিয়ে,আমরা যদি বিভিন্ন উপায় খুজি,আমাদের কস্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার তাহলে আমরা বড় ভুল করবো..


🍀যদি আমি ভাবি যে  অর্থনৈতিক দিকটাই সব,এইটা ঠিক হয়ে গেলে,কস্ট থাকবে না,.ওর সাথে আমার মনোমালিন্য,ওইটা যদি ঠিক হয়ে যায়,তবে সব ঠিক হয়ে যাবে,আমি এখন কুড়েঘরে থাকছি,একটা পাকা বাড়ি  যদি হয়,তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে..আমার একটা সাইকেল আছে,যদি একটা মোটরসাইকেল থাকে তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে,এইগুলো সব সাময়িক...


🍀এইজগতে দুঃখ-কস্টের শেষ নেই..ভগবান তো পৃথিবীটা এইভাবেই বানিয়েছে,যাতে আমরা বুঝতে পারি,...


🍀প্রভুপাদ তো বলেছেন- এই জগৎ ভদ্রলোকের জন্য না..


🍀একজন ভক্ত সে এইটা কিন্তু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে,সে এইটা কিন্তু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে,কৃষ্ণকে ভুলে আমি এত কস্ট পাচ্ছি...যত ভালো কৃষ্ণভক্ত হতে পারি,ভগবানের কাছে যেতে পারি,তাহলে সমস্ত দুঃখ-কস্ট নিরসন হবে...


🍀এই ভুলটা বুঝতে পারে এবং উপলব্ধি করে সে ভগবানের কাছে আসে এবং স্বীকার করে,"তোমার চরণে আসিয়া আমি,বলিবো দুঃখের কথা"..


🍀কি দুঃখের কথা বলবে,এইটাই যে প্রভু  আমি এতদিন ভেবেছিলাম,"এর কারনে,ওর কারনে,বিভিন্ন কারনে আমি কস্ট পাচ্ছি,নিজেকে নির্দোষ ভেবেছি  সব সময়,আমার কোন দোষ নেই,.."


🍀আমি পরীক্ষায় পাশ করতে পারছি না,কারন শিক্ষকদের জন্য,..আমি পড়াশোনা করবো না,সেইটা ঠিক আছে..কিন্তু শিক্ষক আমাকে পাশ করালো না..,সেইটা শিক্ষকের দোষ...


🍀হে প্রভু আমি বুঝতে পেরেছি,"তোমাকে ভুলেই আমার যত দুঃখ-কস্টের কারন...


🍀"জননী জঠরে ছিলাম যখন,বিষম বন্ধন পাশে,আমার কর্ম অনুযায়ী,মাতৃজঠরে প্রবেশ করেছিলাম...সেইসময় তুমি একবার দর্শন দিয়েছিলে,কিন্তু এইটা তোমার কোন দোষ নেইপুরোটাই আমার.."এতদিন যে চিন্তাধারা ছিলো আমার,পুরোটাই ভেঙে গেছে..


🍀কারন জন্মগ্রহণের পর পরই,প্রকৃত জ্ঞানতো আমার হলো না..জন্ম হওয়ার সাথে সাথে আমি মায়ার জ্বালে পড়ে গেলাম..


🍀আদরের ছেলে,স্বজনের কোলে হাসিয়া-কাটানু কাল"..

পিতা-মাতা,আত্মীয় স্বজন কত আদর করেছে,এইভাবেই হেসে হেসে,খেলাধুলা করেই আমার ছোট্ট শিশুজীবনটা কাটিয়ে উঠলাম আমি..."সংসার লাগিলো ভালো" সবাই আমাকে আদর করতো,সবাই ভালো বাসতো,তাই এই জায়গাটা ভালো লেগে গেছিলো..


🍀তারপর একটু বড় হলাম,অভ্যস্ত হয়ে গেছি,এবং সেইটার অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার ফলে,সবার সাথে খেলে ধুলে,পড়াশোনা করে,চাকরি করে অনেক বছর অতিবাহিত হলো..সব কিছুই হয়েছে,কিন্তু তোমার ভজনা হলো না...


🍀"বার্ধক্যে এখন ভক্তিবিনোদ,কাঁদিয়াকাতর অতি,না ভজিয়া তোরে দিন বৃথা গেলো এখন কি হবে গতি"..


🍀ভক্তিবিনোদ ঠাকুর যে বার্ধক্য শব্দটা ব্যবহার করছে,এইটা যে কোন অবস্থা,সেইটা বুঝা কিন্তু দায়,..যে ১০ বছর বয়সে মারা গেছে,সে কিন্তু ১০ বছর বয়সে বৃদ্ধ হয়ে গেছিলো..এবং আমরা যে কয়দিন বাঁঁচবো আমাদের তো কোন নিশ্চয়তা নেই...তাই আমাদের সবার কাছেই বার্ধক্য অবস্থা কিন্তু এখন..এইটা ভুল ধারনা হবে,যে ভাবি বার্ধক্য মানে যখন আমরা লাঠি ভর করে হাটবো,যখন কথা বলতে পারবো না,যখন খেতে পারবো না..


🍀সেইজন্য যে যেই অবস্থায় আছে,সেই অবস্থায় কৃষ্ণ ভাবনামৃত গ্রহন করা উচিত,কোন জাগতিক অজুহাত না...একটু শান্ত মনে বিবেচনা করুন,দিনের মধ্যে কতটা সময় আমরা অপচয় করি...


🍀ভক্তিবিনোদ ঠাকুর আমাদের সামনে দেখিয়ে দিচ্ছে,তুমি নিজেকে চিনতে পারছো না..তুমি জানো না তুমি কেমন..


#শ্রীপাদ_নাড়ু_গোপাল_দাস_প্রভু (জপক্লাস,১৩-০৪-২০২১)


****আপনারাও সকলে হরিনামের আরো অধিক মাহাত্ম্য ও জীবনকে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রনের বিশেষ উপায় প্রভুর শ্রীমুখ থেকে শ্রবন করতে চাইলে,প্রতিদিন জপ ক্লাসে অংশ নিতে পারেন.

Post a Comment

0 Comments