আপনি জানেন কি..?? 

পৌষ সংক্রান্তি কি.???

এটা পালন করা হয় কেনো.. ? 


১৫ই জানুয়ারী ২০২৩ইং: রোজ রবিবার পৌষ সংক্রান্তি এবং উত্তরায়ণ শুরু৷ প্রতিমাসের শেষ দিন অর্থাৎ যে দিন মাস পূর্ণ হবে সেই দিনকে সংক্রান্তি বলা হয়৷ সংক্রান্তি অর্থ সঞ্চার বা গমন করা৷ সূর্যাদির এক রাশি হতে অন্য রাশিতে গমন করাকেও সংক্রান্তি বলা হয়৷ সং+ ক্রান্তি অর্থ সঙ মানে সাজা ক্রান্তি সংক্রমন বা গমন করাকে বুঝায়৷ অর্থাৎ ভিন্ন রুপে সেজে অন্যত্র গমন করা বা সঞ্চার হওয়াকে বুঝায়৷ মাঘ,ফাল্গুন,চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ় এই ছয় মাস উত্তরায়ণ কাল এবং শ্রাবন,ভাদ্র,আশ্বিন,কার্ত্তিক,অগ্রহায়ন,পৌষ, এই ছয় মাস দক্ষিনায়ন কাল৷ পৌষ মাসের শেষ দিনে সূর্য উত্তরায়নের দিকে যাত্রা শুরু করে বলে একে উত্তরায়ণ সংক্রান্তিও বলা হয়৷ অর্থাৎ মানুষের উত্তরায়নের ছয়মাস দেবতাদের একটি দিন এবং মানুষের দক্ষিনায়ণের ছয়মাস দেবতাদের একটি রাত৷ রাতে মানুষ যেমন দড়জা জানালা, প্রধান ফটক বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন তেমনি দেবতাগনও রাত্রে অর্থাৎ দক্ষিনায়নে সবকিছু বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন৷ এসময় বাহির থেকে প্রবেশ করার সুযোগ নেই অর্থাৎ দক্ষিনায়নে দেবলোক পুরোপুরি বন্ধ থাকে৷ আবার দেবতাগনের রাত পৌষ সংক্রান্তির দিন শেষ হয় বলে পরবর্তি সূর্য উদয়ের ব্রহ্মমুহূর্ত থেকে দেবতাগনের দিবা শুরু হয়৷ উক্ত সময়ে স্বর্গবাসী ও দেবলোকের সকলের নিদ্রা ভঙ্গ হয় এবং নিত্য ভগবৎ সেবামূলক ক্রিয়াদী শুরু হতে থাকে৷ এই জন্য সনাতন ধর্মাম্বলম্বীগন ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান, নামযজ্ঞ, গীতাপাঠ, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে আনন্দময় করে তুলেন৷ 


 অন্যদিকে গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম তাঁর পিতা শান্তনু থেকে বর পেয়েছিলেন যে তিনি যখন ইচ্ছা মৃত্যুবরন করতে পারবেন৷ মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বীশ্ববিখ্যাত বীর, মহাপ্রজ্ঞ, সর্বত্যাগী ও জীতেন্দ্রিয় মহাপুরুষ ভীষ্মের মহাপ্রয়ানের স্মৃতির জন্য পৌষ


সংক্রান্তি আরও মর্যাদা পূর্ণ হয়েছে৷ উলেক্ষ্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরব পক্ষের চারজন সেনাপতির মধ্যে তিনিই প্রধান সেনাপতি ছিলেন৷ উভয় পক্ষের আঠার দিন যুদ্ধের দশম দিবসে সূর্যাস্তের কিছুক্ষন পূর্বে পান্ডব পক্ষের সেনাপতি অর্জুনের শরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে ভীষ্মদেব রথ থেকে পড়ে যান৷ কিন্তু তিনি মাটি স্পর্ষ না করে আটান্নদিন তীক্ষ্ণ শরশয্যায় শুয়ে উত্তরায়নের অপেক্ষা করে পৌষ সংক্রান্তির দিনে যোগবলে দেহত্যাগ করেন৷


গ্রাম বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভোরবেলা আগুন লাগানো হয় খর ও বাঁশ দিয়ে বানানো স্তুপে৷ ৷এটা মূলত পিতামহ ভীষ্মদেবের চিতার স্বরুপ৷৷ পৌষ সংক্রান্তির দিন সূর্য উত্তর মেরুতে হেলে পড়তে থাকে যার জন্য একে মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি বলে৷ শাস্ত্রমতে ভীষ্মদেব মৃত্যুর পরে ভাগবদ্ ধামে যাননি৷ তিনি ছিলেন দৌ মতান্তরে দ্যু নামক অষ্টবসু৷ যিনি মহর্ষি বশিষ্টের অভিশাপ গ্রস্ত হয়ে ইহলোকে মনুষ্য হিসাবে কৃতকর্ম ভোগের জন্য জন্ম নিয়েছিলেন৷ তাই তাঁর পুনরায় দেবলোকে যাবার কথা৷ কারন তিনি সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা৷ দক্ষিনায়ণের সময়ে দেবলোকে রাত্রি,সেই সময় সেখানকার সব কিছুই বন্ধ থাকে,ভীষ্মদেব যদি দক্ষিনায়ণে দেহত্যাগ করতেন তবে তাঁকে তাঁর লোকে প্রবেশ করার জন্য বাইরে প্রতিক্ষা করতে হতো৷ তিনি ইচ্ছামৃত্যু বরন করেছিলেন বলে ভেবে দেখলেন,  দক্ষিনায়ণে মহাপ্রয়ান করলে দেবলোকে গিয়ে বাইরে প্রতিক্ষা করার চেয়ে এখানে থেকে উত্তরায়নের প্রতিক্ষা করাই ভালো৷ কারন এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দর্শণ লাভ হবে এবং সৎসঙ্গ হতে থাকবে৷ যার ফলে সকলেরই মঙ্গল হবে৷ দেবলোকে একলা প্রতীক্ষা করে কী হবে৷ এই ভেবে তিনি দক্ষিনায়ণে শরীর ত্যাগ না করে উত্তরায়ণে শরীর ত্যাগ করেছিলেন৷ দীর্ঘ আটান্নদিন শরশয্যায় অবস্থানের পর পৌষ সংক্রান্তির নিশান্তে পিতামহ ভীষ্মদেব যোগবলে দেহত্যাগ করে দেবলোকে গমন করেন৷


5000 বছর পূর্ব হইতে আমরা প্রতিবৎসর পৌষ সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণে প্রাতকালে খরকুটো জড়ো করে পিতামহ ভীষ্মদেবের প্রতিকী শবদাহ করে থাকি, অনেকে এই শবদাহকে বুড়ির ঘরবামেড়ামেড়ির ঘর জ্বালানো বলে থাকেন এবং এই দিনে মাছ,মাংস আহার করে থাকেন যাহা সম্পূর্ণ অনুচিত৷ কারণ উত্তরায়ণ বা পৌষ সংক্রান্তি অন্তোষ্টিক্রিয়া ও শ্রাদ্ধ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান৷ অন্যদিকে এই দিনটি এতই গুরুত্বপূর্ন যে, এই দিন প্রাতঃকালে দেবলোকের সকল দেবতাগন ও স্বর্গবাসী পূর্বপুরুষগন নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন৷ এই জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীগন ব্রহ্মমুহূর্তে স্নান, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, গ্রামে নগড়ে সংকীর্তন, গীতাপাঠ, ইত্যাদি মঙ্গলজনক কাজ করে থাকেন৷ প্রতিবৎসর আমরা শাস্ত্রসন্মতভাবে ভাবগাম্ভীর্যের সহিত এই অনুষ্ঠান পালন করার আশা ব্যক্ত করে

 সবাইকে মহা সংক্রান্তির  কৃষ্ণপ্রীতি ও শুভেচ্ছা৷

হরেকৃষ্ণ।


আগামী ১৫ই জানুয়ারী ২০২৩ রবিবার।


★পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি তিথি কোন কোন কারণে মাহাত্যপূর্ণ.......... চলুন দেখে নিই😊.........


১. পৌষ বা মকর সংক্রান্তি থেকেই মা যশোদা কৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাবার জন্য তপস্যা শুরু করেছিলেন;


২.ভগবান বিষ্ণুর সহায়তায় এই দিনেই দেবতারা অসুরদেরকে যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন;


৩.অষ্টবসুর মধ্যে এক বসু যিনি মহাভারতের আজীবন ব্রহ্মচর্য চরিত্র ও দ্বাদশ মহাজনের মধ্যে অন্যতম ভীষ্মদেব এই দিনে মহাপ্রয়াণ হয়েছিলেন;


৪. উক্ত মকর সংক্রান্তিতে কলিযুগাবতার ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্যাস গ্রহণ করেছিলেন,,,


★এই মকর সংক্রান্তিকে তিল সংক্রান্তি ও বলা হয়।।


★তাই এই দিনে  তিল ও দুগ্ধজাত পিঠাপুলি ভগবানকে নিবেদন করে ভগবানের শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্তদেরকে সেই প্রসাদ ভোজন করানোর কথা মৎস পূরাণে বর্ণিত আছে।।


তাই এই দিনে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে, শুদ্ধ ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবকে সেবা প্রদান করা এবং দান করা পরিশেষে দরিদ্রদের প্রসাদ ভোজন  ও দানকরা।।


উক্ত দিনে যেহেতু গঙ্গাসাগর স্নান মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

তাই প্রাতঃকালে গঙ্গাসাগরে অথবা পবিত্র নদীতে অথবা গঙ্গাদেবীকে আহ্বান পূর্বক ★গঙ্গা ★গঙ্গা ★গঙ্গা বলে প্রাতঃস্নান করতে হয়।।


🌾 *পৌষ সংক্রান্তি কি..কেন পালন করা হয় ?* 


১৫ই জানুয়ারী ২০২৩ইং: রোজ রবিবার পৌষ সংক্রান্তি এবং উত্তরায়ণ শুরু ৷ প্রতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ যে দিন মাস পূর্ণ হবে সেই দিনকে সংক্রান্তি বলা হয়৷ সংক্রান্তি অর্থ সঞ্চার বা গমন করা৷ সূর্যাদির এক রাশি হতে অন্য রাশিতে গমন করাকেও সংক্রান্তি বলা হয়৷ সং+ ক্রান্তি অর্থ সঙ মানে সাজা ক্রান্তি সংক্রমন বা গমন করাকে বুঝায়৷ অর্থাৎ ভিন্ন রুপে সেজে অন্যত্র গমন করা বা সঞ্চার হওয়াকে বুঝায়৷ মাঘ,ফাল্গুন,চৈত্র, বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ় এই ছয় মাস উত্তরায়ণ কাল এবং শ্রাবন,ভাদ্র,আশ্বিন,কার্ত্তিক,অগ্রহায়ন,পৌষ, এই ছয় মাস দক্ষিনায়ন কাল৷


 পৌষ মাসের শেষ দিনে সূর্য উত্তরায়নের দিকে যাত্রা শুরু করে বলে একে উত্তরায়ণ সংক্রান্তিও বলা হয়৷ অর্থাৎ মানুষের উত্তরায়নের ছয়মাস দেবতাদের একটি দিন এবং মানুষের দক্ষিনায়ণের ছয়মাস দেবতাদের একটি রাত৷ রাতে মানুষ যেমন দড়জা জানালা, প্রধান ফটক বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন তেমনি দেবতাগনও রাত্রে অর্থাৎ দক্ষিনায়নে সবকিছু বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন৷ এসময় বাহির থেকে প্রবেশ করার সুযোগ নেই অর্থাৎ দক্ষিনায়নে দেবলোক পুরোপুরি বন্ধ থাকে৷ আবার দেবতাগনের রাত পৌষ সংক্রান্তির দিন শেষ হয় বলে পরবর্তি সূর্য উদয়ের ব্রহ্মমুহূর্ত থেকে দেবতাগনের দিবা শুরু হয়৷ উক্ত সময়ে স্বর্গবাসী ও দেবলোকের সকলের নিদ্রা ভঙ্গ হয় এবং নিত্য ভগবৎ সেবামূলক ক্রিয়াদী শুরু হতে থাকে৷ এই জন্য সনাতন ধর্মাম্বলম্বীগন ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান, নামযজ্ঞ, গীতাপাঠ, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে আনন্দময় করে তুলেন৷ 


অন্যদিকে গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম তাঁর পিতা শান্তনু থেকে বর পেয়েছিলেন যে তিনি যখন ইচ্ছা মৃত্যুবরন করতে পারবেন৷ মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের বীশ্ববিখ্যাত বীর, মহাপ্রজ্ঞ, সর্বত্যাগী ও জীতেন্দ্রিয় মহাপুরুষ ভীষ্মের মহাপ্রয়ানের স্মৃতির জন্য পৌষ সংক্রান্তি আরও মর্যাদা পূর্ণ হয়েছে ৷ উলেক্ষ্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরব পক্ষের চারজন সেনাপতির মধ্যে তিনিই প্রধান সেনাপতি ছিলেন৷ উভয় পক্ষের আঠার দিন যুদ্ধের দশম দিবসে সূর্যাস্তের কিছুক্ষন পূর্বে পান্ডব পক্ষের সেনাপতি অর্জুনের শরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে ভীষ্মদেব রথ থেকে পড়ে যান৷ কিন্তু তিনি মাটি স্পর্ষ না করে আটান্নদিন তীক্ষ্ণ শরশয্যায় শুয়ে উত্তরায়নের অপেক্ষা করে পৌষ সংক্রান্তির দিনে যোগবলে দেহত্যাগ করেন৷


গ্রাম বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভোরবেলা আগুন লাগানো হয় খর ও বাঁশ দিয়ে বানানো স্তুপে৷ ৷ এটা মূলত পিতামহ ভীষ্মদেবের চিতার স্বরুপ৷৷ পৌষ সংক্রান্তির দিন সূর্য উত্তর মেরুতে হেলে পড়তে থাকে যার জন্য একে মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি বলে৷ শাস্ত্রমতে ভীষ্মদেব মৃত্যুর পরে ভাগবদ্ ধামে যাননি৷ তিনি ছিলেন দৌ মতান্তরে দ্যু নামক অষ্টবসু৷ যিনি মহর্ষি বশিষ্টের অভিশাপ গ্রস্ত হয়ে ইহলোকে মনুষ্য হিসাবে কৃতকর্ম ভোগের জন্য জন্ম নিয়েছিলেন৷ তাই তাঁর পুনরায় দেবলোকে যাবার কথা৷ কারন তিনি সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা৷ দক্ষিনায়ণের সময়ে দেবলোকে রাত্রি, সেই সময় সেখানকার সব কিছুই বন্ধ থাকে, ভীষ্মদেব যদি দক্ষিনায়ণে দেহত্যাগ করতেন তবে তাঁকে তাঁর লোকে প্রবেশ করার জন্য বাইরে প্রতিক্ষা করতে হতো৷ তিনি ইচ্ছামৃত্যু বরন করেছিলেন বলে ভেবে দেখলেন, দক্ষিনায়ণে মহাপ্রয়ান করলে দেবলোকে গিয়ে বাইরে প্রতিক্ষা করার চেয়ে এখানে থেকে উত্তরায়নের প্রতিক্ষা করাই ভালো৷ কারন এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দর্শণ লাভ হবে এবং সৎসঙ্গ হতে থাকবে৷ যার ফলে সকলেরই মঙ্গল হবে৷ দেবলোকে একলা প্রতীক্ষা করে কী হবে৷ এই ভেবে তিনি দক্ষিনায়ণে শরীর ত্যাগ না করে উত্তরায়ণে শরীর ত্যাগ করেছিলেন৷ দীর্ঘ আটান্নদিন শরশয্যায় অবস্থানের পর পৌষ সংক্রান্তির নিশান্তে পিতামহ ভীষ্মদেব যোগবলে দেহত্যাগ করে দেবলোকে গমন করেন৷


5000 বছর পূর্ব হইতে আমরা প্রতিবৎসর পৌষ সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণে প্রাতকালে খরকুটো জড়ো করে পিতামহ ভীষ্মদেবের প্রতিকী শবদাহ করে থাকি, অনেকে এই শবদাহকে বুড়ির ঘর বা মেড়ামেড়ির ঘর জ্বালানো বলে থাকেন এবং এই দিনে মাছ, মাংস আহার করে থাকেন যাহা সম্পূর্ণ অনুচিত৷ কারণ উত্তরায়ণ বা পৌষ সংক্রান্তি অন্তোষ্টিক্রিয়া ও শ্রাদ্ধ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান৷ অন্যদিকে এই দিনটি এতই গুরুত্বপূর্ন যে, এই দিন প্রাতঃকালে দেবলোকের সকল দেবতাগন ও স্বর্গবাসী পূর্বপুরুষগন নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন৷ 


এই জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীগন ব্রহ্মমুহূর্তে স্নান, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, গ্রামে নগরে সংকীর্তন, গীতাপাঠ, ইত্যাদি মঙ্গলজনক কাজ করে থাকেন৷ প্রতিবৎসর আমরা শাস্ত্রসন্মতভাবে ভাবগাম্ভীর্যের সহিত এই অনুষ্ঠান পালন করার আশা ব্যক্ত করে সবাইকে মহা সংক্রান্তির প্রণাম, প্রীতি ও শুভেচ্ছা ৷

Post a Comment

0 Comments